পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দবৰ্দ্ধন হইল। এই পুথির বর্ণনাই যেন প্রকৃত বলিয়া বোধ হয়। অপরাপর পুথি-লেখকের দোষে কাশীরামের পরিচয় উল্টাপাণ্টা হইয়াছে। নন্দরামের পিতৃবা গদাধর দাস জগৎমঙ্গলের রচনাকাল এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন— “স্কন্দপুরাণের মত শুনিয়া বিচিত্র। কত ব্ৰহ্মপুরাণের প্রভুর চরিত্র। না বুঝয় পুরাণেতে ইত্যাদি লোকেতে। তে কারণে রচিলাম পাঁচালীর মতে ॥ ইহ শুনি কৃতাৰ্থ হইব সৰ্ব্বজন। ইহলোকে সুখ অন্তে গতি নারায়ণ ॥ সপ্তষষ্টি শকাব্দ। সহস্ৰ পঞ্চ শতে। সহস্র পঞ্চাশ সন দেথ লেখা মতে । নরসিংহ নামে দেখ উৎকলের পতি। পরম বৈষ্ণব জগন্নাথ ভজে নিতি ॥ মহালয় তাপী হয় বেরিজ সহর । উৎকল উত্তম শুনি নিকট নগবর ॥ মাখনপুরেতে গ্রাম তাছার ভিতর। বিশ্বাসের বাট স্থিতি সেই স্থানবর ॥ দুর্গাদাস চক্রবর্তী পড়িল পুরাণে। শুনিয়া পুরাণ বড় ইচ্ছা হইল মনে ॥ পাঁচালীর মত রচি স্ত্রীকৃষ্ণকীর্তন। নাহি সন্ধিজ্ঞান মোর না পড়ি ব্যাকরণ ॥” উক্ত প্রমাণ দ্বারা জানা যাইতেছে, ১০৫০ সনে বা ১৫৬৭ শকাব্দে গদাধর জগৎমঙ্গল রচনা করেন । তৎকালে উৎকলে নরসিংহ নামে একজন রাজা রাজত্ব করিতেন। এই সময়ে অথবা ইহারই অনতিপরে গদাধরের ভ্রাতুপুত্র কবি নন্দরাম বিদ্যমান ছিলেন, তাহ মোটামুটী ধরিয়ালওয়া যায়। নলবংশ, নলবংশী, উত্তরপশ্চিমপ্রদেশে ও বিহারে জাভীর গোপ বা গোয়ালাদিগের মধ্যে একটী বিভাগ। নন্দবক, বৈশ রাজপুতদিগের একটা শাখা। নলবন, নন্দন-কানন, মৰ্ত্তবাসীদিগের ভোগ-কাল শ্যে হইলে, তাহায়া এই স্বৰ্গীয় কাননে আসিয়া সহসা পুৰ্ব্বরূপ পরিহার পূৰ্ব্বক নুতন রূপ ধারণ করে। (পুরাণ) নলবন, আজমীর এবং তন্নিকটবর্তী স্থানবাসী এক শ্রেণীর । বণিক জাতি । নলবনিবোর, রাজপুতানার এক শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। এই শ্রেণীর ব্রাহ্মণদিগকে প্রধানতঃ মাড়বারে দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দবরিক, তৈলঙ্গের নিয়োগী ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে একটা থাক। নন্দবৰ্দ্ধন, মগধের একজন রাজ। কথিত আছে, ইনি অযোধ্যায় IX I &8& J নন্দ f ཅཐབས་སམ--ལམ་ཕབ་རྒྱུ་ মণিপৰ্ব্বত নামক কৃত্রিম পৰ্ব্বতটী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, এবং মগধ হইতে ব্রাহ্মণ ধৰ্ম্ম তুলিয়া দিয়া জাতিভেদ রহিত করেন। নন্দসুন্দর, একজন জৈন পণ্ডিত। হেমচন্ত্রের শাহুশাসন লঘুকৃত্তির অবচুরি-রচয়িতা। নন্দ, নদী এবং তাহার ভগিনী নলবাল, দুইজনে সেনানী নামক গ্রামের কোন সম্রাস্ত ব্যক্তির কন্ঠ । তাহারা শুনিয়াছিল যে বোধিসত্ব ভবিষ্যতে একজন রাজচক্ৰবৰ্ত্তী হইবেন ; এজন্য তাহারা পায়স প্রস্তুত করিয়া তাহাকে খাইতে দিয়া ছিলেন। বোধিসত্ত্ব একটা মণিমুক্তাখচিত স্ফটিক পাত্রে ঐ পায়স গ্রহণ করিয়া আহারাস্তে তাহ নদী মধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন এবং ভগিনীদ্বয়কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, তাহারা কোন বর প্রার্থনা করে কি না ? তাহারা বলিল, “আপনি যখন রাজচক্রবর্তী হইবেন, তখন যেন আমরা আপনার পত্নী হইতে পারি।” বোধিসত্ব তখন তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন যে, তিনি জ্ঞানে সকলের শ্রেষ্ঠ হইবেন, বিষয়-বিভবে নহে। ভগিনীদ্বয় তাহাকে “আপনার দিব্য জ্ঞান অচিরে লাভ হউক্‌” এই আশীৰ্ব্বাদ করিয়া প্রস্থান করিল। ( অবদান) নন্দ ( স্ত্রী) নন্দয়তীতি নন্দি-অচ্-টাপ্ত। ১ দুর্গ। “এবমুক্ত ভবং ব্রহ্মা পুনর্দেবীং স চাব্ৰবীৎ । ত্বয়া দেবি মহৎকার্য্যং কৰ্ত্তব্যঞ্চান্তদস্তি মঃ ॥ ভবিষ্যং মহিষাখ্যস্ত অসুরন্ত বিনাশনম্। এবমুক্ত ততো ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বে দেবাশ্চ পার্থিব ॥ যথাগতাস্ততে জগ দেবীং স্থাপ্য হিয়ে গিরে। সংস্থাপ্য নন্দিতা যম্মাতন্মায়দা তু সা ভবেৎ।” (বরাহপু ) ব্ৰহ্মা দেবী ভগবতীকে বলিয়াছিলেন, হে দেবি ! তুমি দেবতাদিগের মহৎকাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছ, আমাদের আর একটা কাৰ্য আছে, তুমি ভবিষ্যতে মহিষাসুর নামক অসুরকে বধ করিবে! ব্রহ্মা এই কথা বলিলে সকল দেবতা দেবীকে হিমালয়ে সংস্থাপিত করিয়া যথাস্থানে গমন করিলেন। দেবীকে হিমালয়ে স্থাপন করিয়া অতিশয় আনন্দিত হইয়াছিলেন বলিয়া দেবীর নাম নন্দ হইয়াছে। স্থানাস্তরে আরও লিখিত আছে—দেবী মুরলোক, নন্দনকানন এবং অতি পবিত্র হিমাচলে অবস্থান করিয়া আনন্দিত হন, এই জন্তও ইহার নাম নন্দা হইয়াছে। ২ অলিঞ্জর, নদী, জলের জালা । ৩ তিথিভেদ। “প্রতিপদেকাদশী যষ্ঠ নন্দাঞ্জেয়া মনীষিভিঃ ।” ( জ্যোতিঃসারসং) প্রতিপদ, একাদশী ও ষষ্ঠ তিথির নাম না। শুক্রবারে যদি এই নদী তিথি হয়, তাহাতে সিদ্ধিযোগ হই থাকে। ՏՏ)Գ