পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہ:ییrsبیس ہے۔ ছাড়িতে স্থাখে। পূজার দিন তাহাকে খাইতে দেয় এবং পর দিল জাম্বাক্ষ বনে ছাক্ষিয়া দেয়। দাক্ষিণাত্যে অনেক স্থলে নাগ-মন্দিয় অাছে। মাঞ্জাজ শহরেই সর্বাপেক্ষ বেশী। মাত্রাজের উপকণ্ঠে বীরপাড় গ্রামে এক বৃহৎ নাগমন্দির অাছে। সেখানে প্রতি রবিবার গ্রাতে ব্রাহ্মণ-রমণীর পূজা দিতে যায়। এখানকার পূজক বন্ত য়েনড়ি জাতীয় । , কিরূপে নাগপুঞ্জ এদেশে প্রচলিত হয়, তাছা "নাগপুঞ্জা” শবো দ্রষ্টবা। নাগপতি (পুং) নাগানাং পতিঃ ৬তৎ। ১ সপদিগের অধি পতি, বাসুকি, অনন্ত, অষ্টনাগ । ২ গজপতি, ঐরাবত। নাগপত্তন,(নেগাপাটম্), দেশীয় লোকে নাগাই পত্তনম্ন বলে। আরবীয় ভৌগোলিকের ইহাকে মালিকত্ত্বন নামে উল্লেখ করেন। পূৰ্ব্বে পর্তুগীজের এই নগরকে চোড়মণ্ডল নগর ( City of Choramandel) of To ইহাই এখন মাগ্রাজের অন্তর্গত তঞ্জোর জেলার প্রধান বন্দর। অক্ষা ১০° ৪৫ ৩৭° উঃ এবং দ্রাঘি’ ৭৯° ৫৩' ২৮* পূং। তঞ্জোর হইতে ২৪ ক্রোশ পূৰ্ব্বে অবস্থিত। ইহার লোকসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এখানকার বন্দরে সিংহল, ব্ৰহ্ম প্রভৃতির সহিত বাণিজ্য চলে। এখান হইতে প্রধানতঃ সুপারি ও বস্ত্রাদি আমদানী হয় এবং চাউল ও ধান প্রধানতঃ রপ্তানী হয় । করমণ্ডল উপকূলের মধ্যে পর্তুগীজের অতি পূৰ্ব্বে এইখানেই আসিয়া বাস করে। ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ওলন্দাজের এই স্থান অধিকার করে, পরে ১৭৮১ খৃষ্টাব্দে ইংরাজাধিকারে আসিয়াছে। তরঙ্গবাড়ীনগর (ত্রাঙ্কুইবার) ক্রয় করিবার ; পূৰ্ব্বে এই নগরে তঞ্জোরের কালেক্টর থাকিতেন। লঙ্কই নামে একশ্রেণীর মুসলমান অধিকাংশ এই নগরে বাস করে, তাহারা আরব ও হিন্দুর মিশ্রণে উৎপন্ন। ইহারাই এই নগরের অধিকাংশ বাণিজ্য চালাইয়া থাকে। এখন ব্রহ্মে ও মলয় প্রায়োদ্বীপে ইহারা গিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছে। এই বন্দরে ৮০ ফিটু উচ্চ শ্বেত স্তম্ভের উপর চতুর্থ শ্রেণীর শ্বেত আলোকগৃহ (Light-house of white light) • TE ! ইহায় পার্শ্বস্থ মাগোর নামক বন্দরও এই নগরের অন্তর্নিবিষ্ট । বলিয়া গণ্য । এখানে ২৪টা অতি পুরাতন মন্দির আছে, তন্মধ্যে ১২ট শিবমন্দির ও ছুইটী বিষ্ণুমন্দির। কৈলাসনাথস্বামীর মন্দিরের প্রাচীর গাত্রে ১৭৭৭ খৃষ্টাব্দে মৃত এক ওলন্দাজের স্মরণার্থ ওলমাঞ্জীভাষায় উৎকীর্ণ এক প্রস্তরফলক আছে। এখানে “চীন পাগোডা" নামে পূর্কে এক স্তম্ভ ছিল। ইংরাজ গবমেণ্ট সেণ্টজোসেফ কলেজের পাদরীগণের প্রার্থনায় ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে তাহ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন। চীনপাগোড়ার প্রকৃত নাম জিনপাগোড়া। এক সময়ে এই স্থানে বিশেষ বৈৗদ্ধপ্রভাব ছিল। স্থানীয় লোকে জিনপাগোডাকে পুস্তুবেলি গোপুর বলিত, ইংরাজের কিছুদিন কৃষ্ণ পাগোড়া (Black pagoda) বলিতেন। এই স্তম্ভ ভাঙ্গিবার সময় একট অঙ্গ ধাতুর প্রতিমা পাওয়া যায়, কেহ তাহাকে বৌদ্ধ, কেহ তাছাকে শৈব প্রতিম বলির উল্লেখ করেন। ঐ প্রতিমার মূলে প্রাচীন তামিলাক্ষরে উৎকীর্ণ লিপি আছে। (যবদ্বীপে ) বটেক্তিয়ার চিত্রশালিকায় দুইখানি রৌপ্যফলক আছে। তাহার একখানি তঞ্জোরের শেষ নায়ক বিজয়রাঘবকর্তৃক ওলন্দাজদিগকে নেগাপাটম্ দানের দান-পত্র ও অপরপ্পানি মহারাষ্ট্র-রাজ একোলীকর্তৃক ১৬৭৬ খৃষ্টাব্দে ঐ দানের প্রতিপোষক অনুজ্ঞাপত্র। রামদেশের ( পেগুর ) রাজা ধৰ্ম্মচেটি (ধৰ্ম্মশ্রেষ্ঠ ) ১৪৭৬ খৃষ্টাব্দে সিংহল হইতে মহাবিহার সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ রীতিনীতি নিজ রাজ্যে প্রচলিত করিবার জন্য সিংহলরাজ ভুবনেকবাহয় নিকট ২৪ জন স্থবির এবং চিত্রদূত ও রাসদৃত নামক চুইজন দূত প্রেরণ করেন। ফিরিবার সময় জন্তু দ্বীপ ও সিংহলদ্বীপের মধ্যস্থ সিন্ন প্রণালীতে র্তাহাদের অর্ণবযান উপস্থিত হইলে মহা ঝড়ে উহ! এক জলমগ্ন পৰ্ব্বতের চূড়ায় বাধিয়া ভাঙ্গিয়া যায়। আরোহীর তন্মধ্যস্থ কাষ্ঠ ও বংশাদিদ্বারা এক ভেলা বাধিয়া নিকটস্থ জম্বুদ্বীপের উপকূলে উপস্থিত হন। সিংহলরাজদূত উপটৌকনের দ্রব্যাদি হারাইয়া এই স্থান হইতে স্বদেশে ফিরিয়া গেলেন। চিত্রদূত ও তৎসঙ্গী স্থবিরগণ পদব্রজে নাগপত্তনে উপস্থিত হন। সেখানে তাহারা পদরিকারাম নামক বৌদ্ধাশ্রমের স্থানদর্শন এবং এক গুহামধ্যস্থ বুদ্ধমূর্তির পূজা করেন। চীনদেশাধিপতি মহারাজের আদেশে এই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয়। যে স্থানে ঐ মূর্তি স্থাপিত হয়, তাহ সমুদ্রকুলে স্থাপিত। কথিত আছে, দস্তকুমার ও হেমমালার (পতিপত্নীয় ) তত্ত্বাবধানে যখন বুদ্ধদন্ত সিংহলে নীত হয়, তখন তাহ প্রেরণের নিমিত্ত এই স্থানেই আনিয়া রাখা হইয়াছিল। এখানে নাগনাথ নামে এক প্রাচীন নাগমন্দির আছে, তন্মধ্যে নাগনাথ অনন্তের মূৰ্ত্তি আছে। ঐ প্রতিমার নিকট এক বৃহৎ বস্ত্রীক বপ আছে। উহার মধ্যে বাস্তদেবতার অবস্থিতি বলিয়া ঐ উইঢিপির নিকটে নৈবেদ্যাদি দেওয়া হয়। এখানে "গঙ্গাক্ৰম” নামে এক ১৭০ ফিট উচ্চ ইষ্টকস্তম্ভ আছে। সম্ভবতঃ উহ জৈন বা বৌদ্ধনিৰ্ম্মিত হইবে। •.