পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দশক্তি T- - - - বিপরীত দিকে বায়ু চলিতে থাকিলে সেরূপ আর শুনা যায় না। ছর্গের তোপধ্বনি তাহার প্রমাণ। গ্রীষ্ম কালে দক্ষিণ বায়ু ঐ শৰাকে উত্তরে চালিত করে এবং শীতের উত্তর-বাতাস তাহাকে দক্ষিণে লইয়া যায়। ঐ শব্দ আবার দূরত্বের বর্গানুসারে ক্রমেই মন্দীভূত হয়। ১•• হস্ত দূরে ঘণ্টা বাজিলে যেরূপ শৰ শুনা যায়, ৪• হস্ত দূরে ঐ ঘণ্টা ঐরূপ জোরে যদি বাজান হয় তাহা হইলে পূৰ্ব্বোত্ত ধ্বনির চারিগুণ শব্দ শ্রত হওয়া ধায়। আবার ৫• হাত দুরে ঘণ্টা বাজিলে যে শব্দ শুনা যায়, ১•• হাত দূরে সেই শব্দ শুনতে হইলে, ঐ ভাবে ঐন্ধপ চারিট ঘণ্টা না বাজাইলে হয় না । ইহা দ্বারা বুঝা যায় যে, দূরত্ব দ্বিগুণ হইলে শব্দের পরিমাণ চতুগুণ হ্রাস হয়। কোণ উচ্চ প্রাচীর, গৃহের দেওয়াল, অট্টালিকা কিংবা পৰ্ব্বতাদিতে শব্দ প্রতিহত হুইয়া প্রতিনিবৃত্ত হইলে প্রতিধ্বনি উখিত হয়। কোন কোন শব্দ ৪৫ ফিটু দূরে প্রতিবন্ধক পাইয়া প্রত্যাগমন কালে প্রতিধ্বনিত হইয়া থাকে। মানুষের কথার শব্দ যদি ১১২ ফিট দূরে প্রতিবন্ধক পাইয়া প্রতিফলিত হয়, তাছা হইলে সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি শুনিতে পাওয়া যায়, কখন কখন একটা শব্দ ছুইটী সমান্তরাল পদার্থে বারংবার প্রতিচালিত হইয়া পুনঃ পুনঃ প্রতিধ্বনি উৎপন্ন করে । শব্দবিরোধ ( পুং ) ১ শঙ্কবৈঞ্চল্য। ২ বিরুদ্ধ শব্দের ব্যবহার। গ্রন্থের একস্থলে ভিন্নরূপ ও ভিন্নার্থক শব্দের প্রয়োগ । শব্দবিশেষ (পুং ) বিশিষ্ট্র-শব্দ। বহুবচনে বিভিন্ন শব্দ পর্য্যায়কে বুঝায় । সাংখ্যকার বলেন, উদাত্ত, অগুদাত্ত ও স্বরিৎ এবং ষড়জ, খস্থ ১ গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত ও নিষাদ স্বরগ্রাম শব্দবিশেষ বলিয়া উক্ত । শব্দগুক্তি (স্ত্রী) শস্থের কার্য্য। (অলঙ্কারশান্ত্র) শব্দবেধ (পুং ) শব্দ শুনিয়া সেই শানুসারে শব্দকারী অদৃশু বস্তুকে বিদ্ধকরণ । শবদবেধিত্ব (ক্লী) শ্রুত শব্দানুসরণ দ্বারা (অদৃপ্ত বস্তুকে ) বেধনের ভাব বা কার্য্য । শব্দবেধি" (পুং) শব্দমচহত্য বেন্ধুং শীলমস্ত বিধ-ণিনি । ১ অর্জুন, ধনঞ্জয়। ২ বাণ বিশেষ। ৩ দশরথ রাজা । (রামায়ণ) শবদবেধ্য (ত্রি) শব্দানুসরণপূর্বক বেধের যোগ্য, শব্দ মাত্র অনুসরণ করিয়া যাহাকে বিদ্ধ করা যায়। শবদ শাসন ( ক্লা) ব্যাকরণের নিয়মাদি। শব্দশক্তি (স্ত্রী) শব্দস্ত শক্তি: সামর্থ্যং অর্থাৎ শব্দাদয়মর্থেীবোদ্ধব্য: ইতশ্বরেচ্ছ শক্তিঃ । শধের শক্তি অর্থাৎ এই শব্দ হইতে এইরূপ অর্থই বুঝিতে হইবে শব্দের এমন একটা ঈশ্বরেচ্ছ শক্তি। ব্যাকরণ, অভিধান, উপমান, আগুবাক্য ও [ ১৯৫ } শবদশক্তি লৌকিক ব্যবহার হইতে শব্দের এই শক্তির উপলব্ধি হয়। নিয়ে যথাযথভাবে ইগর বিবরণ বিবৃত হইতেছে,— “শক্তিগ্রহং ব্যাকরণোপমান-কোষাগুবাক্যাস্থ্যবহারতশ্চ (প্রাঞ্চ) ব্যাকরণোক্ত সুবন্ত, তিউস্ত, কৃদন্ত, সমাস ও তদ্ধিতান্ত শব্দগুলির শক্তি বা অর্থ নিম্নলিখিত প্রকারে উপলব্ধি হয়। ক্রমশঃ উদাহরণ স্বারা প্রদর্শিত হইতেছে ; যথা— “গামানয়” এই শব্দটী উচ্চারিত হুইবামাঞ্জ প্রথমতঃ (গো-অমৃ+আ-নী-হি ) গো অর্থাৎ গলকম্বলাদিবিশিষ্ট জন্তুবিশেষের অনুভূতি হইয় পরে ‘গে’ ও ‘অমৃ এই প্রকৃতি প্রত্যয়ের যোগে উৎপন্ন গাম্‌' শব্দ ও তাকার অর্থ গলকম্বলাবিশিষ্ট কোন জন্তুকে এইরূপ উপলব্ধি হইবে। আ =ৰৈপরীত, নী= লইয়া যাওয়া ; লেটি-ছি= অনুজ্ঞা, প্রকাশ করা, এই তিনের ( উপসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয় ) যোগে উৎপন্ন ‘আনয়' শব্দ স্বার লইয়া যাওয়ার বিপরীত ভাব অর্থাৎ আনয়ন করা সম্বন্ধীয় আজ্ঞা প্রকাশ করা হইতেছে, এইরূপ অর্থের বোধ হইবে । অধিকন্তু মধ্যম পুরুষীয় প্রত্যয় “হি ব্যবহৃত হওয়ায় ‘তু’ তুমি আনয়ন কর এই পৰ্য্যন্ত অর্থ প্রকাশ করিবে। এক্ষণে পরিষ্কার বুঝা যাইতেছ যে গামানয় এইরূপ শব্দ উচ্চারিত হইলে উক্ত প্রকারে তদন্তভূত পৃথক্ পুথষ্ণু বর্ণ বা শৰোঁর প্রত্যেকগত অর্থের সহিত তদীয় স্থলার্থ "ত্বং গাং আনয় তুমি গলকম্বলাদি বিশিষ্ট কোন জন্তু অর্থাৎ গোরুকে আনয়ন কর, এইরূপ উপলব্ধি হইবে। ব্যাকরণানভিজ্ঞ স্থলদশী ব্যক্তি বা অশ্রুতপূৰ্ব্বশদ বালক সম্বন্ধে উক্ত গামানয়’ শব্দের ভিন্নাকারে শব্দবোধ হইতে পারে, যথা—স্থলদশী ব্যক্তি কোন অভিজ্ঞের মুখে এবং বালক কোন বয়োবৃদ্ধের মুখে “গামানয়’ শব্দ শুমবার পর যদি ঐ কথামুসারেই দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে তদণ্ডেই একটী গোরু আনিতে দেথে এবং এইরূপ পল্প পর বহুবার দেখিতে পায়, তাই হইলে কালে যদি কেহ উছাদের উপরই লক্ষ্য করিয়া গামানয়? এইরূপ উক্তি করে, তবে উহারাও যে তখন একটী গোরু লইয়া আসিবে তাহাতে সন্দেহ নাই ; কেননা ইহাও একট ঈশ্বরেচ্ছ। শাক্ত । কুদস্ত—"পাচক (পচ-ণক ) শব্দ দ্বারা প্রথমে গুচ পাক করা বা পাকক্রিয় , পরে ঐ ধাতুর উত্তর কর্তৃবাচে শক প্রত্যয় হওয়াতে তদীয় ( পাকক্রিয়া ) আশ্রয় অর্থাৎ কৰ্ত্ত উপলব্ধি হইতেছে ; অতএব ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে উৎপন্ন পাচক শব্দে পাকক্রিয়াবান পুরুষকে বুঝাইবে। এইরূপ কৰ্ম্ম প্রভৃতি কোন বাচ্যে প্রত্যয় করিলেও তৎ প্রত্যয়াস্তপদ তদাশ্রিত বলিয়া নির্দিষ্ট হয়। সমােল—“নীলঘটঃ’ ( নীলঃ লীলাভিন্নঃ নীলগুণবিশিষ্ট ইক্তি ঘট: ) নীলঘট বলিলে ঐ ঘট বা ঘটায় যাবতীয় পরমাণুই নীলগুণযুক্ত ಇffರ್ಿಸ್ಥಳಿ |