পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্ত =ജ്ജ ਾਂ সঞ্চালিত হয়। পরে ঐ রক্ত বৃহৎ ধমনী হইতে ক্ষুদ্র ধমনীসমূহে, তৎপরে ধমনীসমূহ হইতে স্বল্প স্বগ্ন কৈশিক নালী সকলে, কৈশিক নালী হইতে শিরাসমূহে এবং ঐ সকল শিরা হইতে দূষিত অবস্থায় রক্ত আবার হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়া আসে। জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত হৃৎপিণ্ডের সঙ্কোচন ও বিস্ফারণে রক্তের এইরূপ চলাচল হইতেছে। হৃৎকোষ্ঠে রক্তের পরিমাণ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ পরীক্ষা দ্বার স্থির করিয়াছেন যে, প্রত্যেক হৃদয়ে প্রায় ৪ হইতে ৬ ঔন্স রক্ত ধরে। হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেক সঙ্কোচনে ঐ পরিমণি রক্ত শরীরে সঞ্চালিত হইয়া থাকে, এবং হৃৎপিণ্ডের বিষ্ফারণে আবার ঐ পরিমাণে রক্ত ইহার কক্ষমধ্যে আসিয়৷ প্রবেশ করে । এইরূপে হৃৎপিণ্ড অবিরত সঙ্কোচিত ও বিস্ফারিত হইতেছে । এই অবিরত বিস্ফারণ ও সঙ্কোচনের জন্ত শরীরের কওরা, ধমনী ও শিরা প্রভৃতি শোণিতনালী সমুদায় পৰ্ব্বদা রক্তপরিপুর্ণ থাকে। শরীরের রক্ত দূষিত হইলে তাহ মোক্ষণ করিয়া ফেলা বিধেয়। কিন্তু ক্ষীণ ব্যক্তির অন্নভোজন হেতু শোথ হইলে তদবস্থায় এবং পা গু রোগী, অৰ্শরোগী, উদররোগী, শোষরোগী ও গর্ভিণী নারী ইহাদের শোধাবস্থায় রক্ত মোক্ষণ করিতে নাই । অস্ত্র দ্বার। দুই প্রকারে রক্তস্রাবক্রিয়া সম্পাদন হয়, তাহার একটকে প্রচ্ছান ও অন্যটকে শিরাব্যধন কহে । অসময়ে অস্ত্র প্রয়োগ করিলে, চিকিৎসকের দোষে অস্ত্র ভালরূপে প্রযুক্ত না হইলে, অত্যন্ত শীতাধিক্য ও বাতাধিক্যকালে, ভোজনের পূৰ্ব্বে বা ভুক্তমাত্রেই অস্ত্র প্রয়োগ করিলে, অথবা শোণিত অত্য স্তু গাঢ় থাকলে রক্তস্রত হয় না, এবং স্লাবিত হইলে ও অল্পমাত্রায় হইয় থাকে । যাহার। মদ্য বা বিষপানে মত্ত, মুচ্ছৰ্ণগ্রস্ত, পরিশ্রান্ত, নিদ্রাভিভূত ও ভৗত এবং যাহাদের বাত, মল ও মুত্র রুদ্ধ, প্রায়ই তাছাদের রক্ত শ্রাবিত হয় না । রক্ত অস্রাবে দোষ—উল্লিখিত কারণে দূষিত রক্ত নির্গত ন হইলে তাহ। শরীরে থাকিয়া কণ্ডু, শোথ, রক্তবর্ণত, দাহ, পাক ও বেদন উৎপাদন করে । অতিরিক্ত রক্তস্রাবের কারণ।—অনভিজ্ঞ চিকিৎসককর্তৃক অত্যন্ত উষ্ণকালে ঘৰ্ম্মাক্ত ব্যক্তি বা যাহাকে অত্যন্ত স্বেদ দেওয়া হইয়াছে, রক্তমোক্ষণার্থ তাহার প্রতি অস্ত্রপ্রযুক্ত হইলে অথবা রোগীর শরীর রক্তস্ৰাবাৰ্থ অতিরিক্ত বিন্ধ হইলে অপরিমিভরূপে রক্ত নি:স্থত হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তস্রাব হইলে শিরঃশূল, অন্ধত, চক্ষুয়োগ, ধাতুগীয় প্রভৃতি নানাবিধ রোগ জন্মে, এমন কি শেষে মৃত্যু পৰ্য্যন্তও হইয়া থাকে। [ چه د ] রক্ত রক্তশ্রাবের নিয়ম ও লক্ষণ —অনতিশীতোষ্ণ কালে যে ব্যক্তিকে অধিক স্বেদ দেওয়া হয় নাই এবং যে ব্যক্তি স্থৰ্য্যতাপাদি দ্বারা সন্তাপিত নহে, ঈদৃশ ব্যক্তিকে প্রথমে তিলের যবাগু পান করাইয়া পরে তাছার রক্ত মোক্ষণ করিতে হয় । রক্তস্রাব হুইবার সময়ে যথন রক্তবর্ণ বিশুদ্ধ শোণিত ক্ৰত হইতে থাকে, অথবা আপনিই রক্তস্রাব বন্ধ হইয়া যায়, ব। দেহের লঘুতা, বেদনার উপশম, রোগের বল হ্রাস ও চিত্তের প্রফুল্লতা এই সকল চিহ্ন যখন লক্ষিত হয়, তখন বুঝা যায় যে সম্যক্ প্রকারে রক্তস্রাব হইয়াছে। উপযুক্তরূপে রক্তস্রাব ন হইলে এলাষ্টচ, কপূর, কুড়, তগরপাঞ্জকা, আকনাদি, দেবদারু, বিড়ঙ্গ, চিতা, গু"ঠ, পিপুল, মরিচ, ধুল, হরিদ্র, আকন্দের কুড়ি ও ডহরকরঞ্জের ফল এই সকল দ্রব্যের মধ্যে যে কএকটা পাওয়া যায়, তাহী একত্র উত্তমরূপে চূর্ণ করিয়া তিলতৈল ও সৈন্ধবলবণের সহিত মিশাইয় ক্ষতস্থানে ঘর্ষণ করিলে সম্যক প্রকারে রক্তস্রাব হইয়া থাকে । অতিরিক্ত রক্তস্রাবের চিকিৎসা —অধিক মাত্রায় রক্তস্রাব হইতে থাকিলে লোধ, যষ্টিমধু, পিয়ঙ্গু, রক্তচন্দন, গেরিমাট, ধুন, রসাঞ্জন, শাম্মলাপুষ্প, শখ, ঝিনুক, মাষকলায়, যব ও গোধুম এই সকল দ্রব্য চুণ করিয়া অঙ্গুলি দ্বারা ক্ষতস্থানে ধীরে ধীরে লাগাইয়ু দিতে হইবে । শাল বা অৰ্জুনৰ্বক্ষ, অরিমেদ, কাকড়াশৃঙ্গা ও ধামনি এই সকল বৃক্ষের ত্বক চুর্ণ বা পট্টবস্ত্র দগ্ধ করিয়া তাহার ভস্ম, সমুদ্রফেন বা লাক্ষাচুর্ণ, ক্ষত স্থানে লাগাইয়া দিলে রক্তস্রাব নিবারিত হয় । পাট বা কাপাস প্রভূতি বন্ধনযোগ্য দ্রব্য ক্ষতস্থানে দৃঢ়ৰূপে বাধিয়া দিলে, ক্ষতস্তান শীতল জল দ্বারা আবৃত করিলে, রোগীকে শীতলদ্রব্য ভোজন করিতে দিলে ও শীতল গৃহে রাখিলে, ক্ষতস্থানে শীতল জলের পরিষেক বা শীতল প্রলেপ দিলে আগু প্ৰাধ নিধারিত হয়। রোগীকে কাকোল্যাদিগণের কাথে ইক্ষু, চিনি ও মধু প্ৰক্ষেপ দিয়া তাহা পান করিতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য। অপরিমিত মাত্রায় শোণিতস্রাব হইলে ধাতুক্ষয়বশতঃ অগ্নিমান্য ঘটে এবং বায়ু অত্যন্ত প্ৰকুপিত্ত হয়, সুতরাং সে অবস্থায় রোগীকে অল্পশীতল, লঘুপাক, স্নিগ্ধ, রক্তবদ্ধক, ও ঈষদঙ্গ বা আমাসবিহীন দ্রব্য অtহার করিতে দেওয়t दिरश्वभ्रं । রক্তস্রাবনিবারক উপায় —রক্তস্রাব চারিট উপায়ে নিবারণ করিতে পারা যায়, যথা সন্ধান, স্কন্দন, দাহন ও পাচন। কষায় দ্রব্যদ্বার ব্রণের সন্ধান অর্থাৎ সঙ্কোচন, শীতক্রিয়া দ্বারা রক্তের গাঢ়ত-সাধন, তীক্ষ্ণ ক্রিস্থাদ্ধারা পাচন এবং