পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86: } রঘুনাথ শিরোমণি রঘুনাথ শিরোমণি [ . নও । বাস্তবিকই তুমি মহাপুরুষ ।” তদবধি রঘুনাথ স্বীয় মতের সহিত নিমাইএর মতের মিলন দেখিলেই স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানে উছ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিছেন। নিম্নোক্ত অtয় ও একট ঘটনায় রঘুনাথ চৈতন্যদেবের প্রভাব উপলব্ধি করেন। রঘুনাথ পঠদ্দশাতেই একখানি ভায়ের টিশ্বনী লিখিতে স্বারম্ভ করেন। তাছার বিশ্বাস ছিল, তাহারষ্ট গ্ৰন্থখানি श्रविडौम्न झ हेtर ५द१ ऊिनि हेझ रुझेtऊहे ५ाठि शांङ कग्निष्वन । ঐ সময়ে তিনি কোন ক্রমে জানিতে পারেন যে, নিমাইও । স্কায়ের একখানি টীকা রচনা করিতেছেন। তখন তিনি ঐ গ্রন্থখানি দেখিবার নিমিত্ত নিমাইকে বিশেষ অঙ্গুরোধ করেন। নিমাই অগস্ত্য স্বীকৃত হঠয় একদিন জাহ্নবী তটে স্বকৃত গ্রন্থ আনিয়া পাঠ করিয়া গুনান। নিমাইএর গ্রন্থে অস্তুত বিচারপদ্ধতি ও সিদ্ধাস্তু শ্রবণ করিয়া তাঙ্কার চিরপোষিত উচ্চাকাঙ্ক দূর হইয় গেল, এমন কি, অভিমানে তাহার দুই চক্ষু জলস্তারা ক্রান্ত হষ্টয়া উঠিল । তদর্শনে নিমাই ব্যাকুলিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “ভাই তুমি কাদিতেছ কেন ?” তখন রঘুনাথ উত্তর করিলেন, “আমার আশা ছিল এই গ্রন্থে আমি বিখ্যাত হইব । কিন্তু এক্ষণে দেখিতেছি আমি যtছ দুই পৃষ্ঠায় ব্যক্ত করিতে সমর্থ হই নাই, তুমি তাহ একছত্রে বুঝাইয়া দিয়াছ, সুতরাং তোমার গ্রন্থ থাকিতে আমার গ্রন্থে কেহই দৃষ্টিপাত করিবে না । নিমাই রঘুনাথের উক্তিতে হাস্তসম্বরণ করিয়া বলিলেন "ইহার জন্য ভাবনা কি ? এই অফলশাস্ত্রের আবার ভালমন্দ কি ?” এই কথা বলিয়াই নিমাই স্বরচিত টীকাথানি জাহ্নবী সলিলে বিসর্জন করিলেন । তদবধি নিমাই স্কায়শাস্ত্র অধ্যয়ন পরিত্যাগ করিলেন। রঘুনাথের সেই গ্ৰন্থই দাধিতি। রঘুনাথ ও নিমাই মুয়েশাস্ত্র অধ্যয়নকালে এক পথের পথিক ছিলেন । দ্যায়ুচর্চায় উভয়ে এক মত অবলম্বন করিলেও চৈতন্যদেবের স্থায় রঘুনাথের ধৰ্ম্মরসপিপাস বলবতী ছিল না, কাজেই প্রকৃতিবশে পরিশেষে তাহারা উভয়েই ভিন্ন পথের পথিক হইয়। পড়িলেন । রঘুনাথের প্রতি ছায় চমকিত হইলেও বাস্থদেব কখনও সরলচিত্তে তাহার মত গ্রহণ করিতেন না । উছার মতের সহিত তাহার মতের যথেষ্ট অনৈক্য ঘটিত । এজন্ত রঘুনাথ সৰ্ব্বদাই বিমর্ষ থাকিতেন । বামুদেব তাহার মনস্তাপের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন যে, “গুরুদেব ! আপনি আমার যুক্তি ও মত গ্রহণ করেন না, ইছাই আমার দুঃখের বিষয়। ইচ্ছা হয়, মিথিলার পক্ষধর মিশ্রের নিকট একবার জামান্ন মত্তগুলি জ্ঞাপন কৰি।” ”

  1. * XVI ףסי

বাসুদেব তাহাকে মিথিলা ঘাইতে আদেশ করিলেন, কিন্তু তাহার মিথিলাগমনের অন্ত কারণও ছিল, তৎকালে নবদ্বীপে উপাধি দানের অধিকার ছিল না ; উপাধি প্রাগু হইলে ও তাহা পণ্ডিতসাধারণে গ্রাহ হইত না। রঘুনাথের বাসন, পক্ষধরকে স্থায়ুশাস্ত্রে পরাজিত করিয়া ভিনি নবদ্বীপের প্রাধান্য স্থাপন করিবেন ও চতুষ্পাঠী খুলিবেন। এই উদ্বেগু সিদ্ধির নিমিস্তুই তিনি মিথিলা যাত্রা করিয়াছিলেন। রঘুনাথ মিথিলার চতুষ্পাঠীতে উপনীত হইয়া দেখিলেন, নৈয়ায়িক-কুলপতি পক্ষধর মিশ্র দ্যায়শাস্ত্র অধ্যাপনা করাষ্টতেছেন। পক্ষধর মিশ্রের নিয়ম ছিল, কোন আগন্তুক ছাত্র যদি প্রথমে তাছার চতুষ্পাঠীর ছাত্রগণকে তর্কে পরাজিত করিতে সমর্থ হয় তবেই তিনি র্তাহার সহিত কথা কহিতেন নচেৎ নছে। রঘুনাথ ছাত্রগণকে ন্যায়শাস্ত্রের জটিল প্রশ্নে পরাজিত করিয়া মিশ্রের নিকট গমন করিলেন। পক্ষধর আগন্তুক ছাত্রের বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় না জানিয় কখনও তাহার দিকে মুখ ফিরাইয়া কথা কহিতেন না। রঘুনাথের তর্কে বিমোহিত হইয়। তিনিও তাহাকে উপর্যুপরি তিন দিন তিনটা প্রশ্ন করেন। তাহাতে উত্তরদানে অশক্ত হইয়া রঘুনাথ স্বীয় আবাসে ফিরিয়া যান। চতুর্থ দিবলে তিনি মিশ্রাবাসে আসিয়া দেখিলেন, মিশ্রবর গৃহে নাই। তাহার আসনের সম্মুখে একখানি পুথি খোলা রহিয়াছে। বিশেষ আগ্রহের সহিত তিনি ঐ পুথি দেখিতে লাগিলেন। ঐ গ্রন্থের থোলা পাতের একস্থানে একটী শব্দপ্রয়োগের ব্যতিক্রম দেখিয় তিনি উহাকে মিশ্রের সন্দেহস্থল জ্ঞান করিয়৷ তদুপরি এক টীকা লিখিয়া পুস্তকের উপর রাখিয়া দিলেন। ইত্যবসরে মিশ্র গৃহে প্রবেশ করিয়া পুস্তকোপরিস্থ অভিনব টকাখণ্ড দৃষ্ট্রে সস্তুষ্ট হইলেন এবং তাহার প্রতিপাদিত সুত্রার্থ গ্রাহ করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ টকা কি তুমি লিথিয়াছ। রঘুনাথের উত্তরে তিনি তাছার বুদ্ধির গভীরতা উপলব্ধি করিলেন এবং তাছাকে শিষ্যত্বে গ্রহণ করিয়া ন্যায়শাস্ত্র শিক্ষা দিতে লাগিলেন। পক্ষধরের নিয়ম ছিল, তিনি একস্থানে বসিয়া অধ্যয়নাদি করিতেন এবং সময় মত ছাত্রদিগকে অবিশুকীয় বিষয় শিক্ষা দিতেন। র্তাহার ছাত্রমণ্ডলী তাহার পশ্চাঞ্জাগে বসিয়া স্ব স্ব গ্রন্থপাঠে ব্যস্ত থাকিত, রঘুনাথ নবদ্বীপেই চিন্তামণি অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । তদ্বিষয়ে তর্ক ও প্রতিবাদ দ্বারা তিনি পক্ষধরের তর্কশক্তিসম্পন্ন ছাত্রদিগকেও পয়াজিত করিয়া অধ্যাপক মিশ্রবরের অব্যবহিত পশ্চাদ্ভাগের আসন লাভ করিলেন। অনস্বয়, নিয়ত লিপিকৰ্ম্মাদ্বিনিরত গুরুগমীপে যথার্থ