পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধিক৷ উক্ত পুরাণের শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডের ১৩শ অধ্যায়ে রাধ। শব্দের ব্যুৎপত্তি এইরূপ লিখিত আছে ;– “রেফে হি কোটিজন্মাঘং কৰ্ম্মভোগং শুভাশুভম্। আকারে গর্ভবালঞ্চ মৃত্যুঞ্চ রোগমুৎস্থজেৎ ॥ ধকারমায়ুষে হানি মাকারে ভববন্ধনম্। 齋 徵 喙 舉 রেফে হি নিশ্চলাং ভকিং দান্তং কৃষ্ণপদাম্বুজে । সৰ্ব্বেলিতং সদাননাং সৰ্ব্বসিদ্ধেঘিমীশ্বরম্ ॥ ধকার সহবাসঞ্চ তত্ত্ব ল্যকালমেব চ। দদাতি পাঞ্চিং পারূপ্যং তৱ জ্ঞানং হরে: স্বয়ম্ ॥ আকারস্তে জসে রাশিং দানশক্তিং হরে যথা । যোগশক্তিং যোগমতিং সৰ্ব্বকালহরিস্কৃতিম্ ॥” গোপাঙ্গন। রাধা বৃন্দাবনের নিধু নিকুঞ্জtiদ বনে আসিয়া গোপনে কৃষ্ণের সঙ্কি ত লীলা করিত্তেম । পুলিনে রাস বিহার ছঠত । আয়ান ঘোষ জানিতে পারিয়া রাধার প্রতি কুপিত ছষ্টলেন । জটিল। কুটিলার গঞ্জন, রাধার মানরক্ষার্থ কৃষ্ণের কালীমূৰ্ত্তি ধারণ ও রাধাকর্তৃক তৎপূজা । রাধার সতীত্ব পরীক্ষার্থ জটিল কর্তৃক সহস্র ছিদ পূর্ণ কলসীতে জল আনয়নার্থ আদেশ । রাধার জল আনয়ম ও তজ্জলে কৃষ্ণের রোগমুক্তি । চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে শ্রীকৃষ্ণের গমনহেতু কৃষ্ণ প্রেমোন্মাদিনী রাধার দুজ্জয় অভিমান, নয়নসলিলে মানসরোবরের উৎপত্তি । কংসনিধনার্থ কৃষ্ণের মথুরাগমনে রাধার বিরহ, রাধার মথুরাগমন ও কৃষ্ণসম্মিলন প্রভৃতি বৃন্দাবনাত্মক রসাত্রিত ঘটনা বৈষ্ণব কবিগণের ভক্তিপ্রেমোদ্দীপক অপূৰ্ব্ব রচনা। বৃন্দাবনেশ্বর ঐরাধিকার কৃষ্ণপ্রেমসম্বলিত ব্যাপার- | বিশেষ বৈষ্ণবস্বধীবুন্দের সখ্যভাবের চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত । ভক্তমালগ্রন্থেও রাধার মাতার নাম কীৰ্ত্তিঙ্গ লিখিত আছে। তাছার পিতামহের নাম মহাভাকু ও মাতামহের নাম বিন্দু। পিতামহীর নাম সুখদা ও মাতামহীর নাম মুখরা। রত্ন ভামু ও মুভানু তাহার খুল্লতাতদ্বয়। রুদ্র কীৰ্ত্তি, মহাকীৰ্ত্তি ও কীৰ্ত্তিচন্দ্র মাতুল,মেনকা মাতুলানী,ভানুমুদ্রা পিণী ও কীৰ্ত্তিমতী মাসী ছিলেন। তাছার মাসীপতির নাম কাশ ও পিসার নাম কুশ। লবঙ্গমঞ্জরী, রূপমঞ্জরী, গুণমজরী, রতিমঞ্জরী, রসমঞ্জরী, বিলাসময়র, রাগমঞ্জরী প্রভৃতি সুন্দরী দাসীভাবে সেবাপরায়ণ, ললিতাদি অষ্ট শ্রেষ্ঠ সখী । উজ্জ্বলনীলমণির ঐরাধ প্রকরণে রাধার দ্বাদশ মভিরণের উল্লেখ পাওয়া যায় ৯ । সেই নবীন-যৌবন কিরূপ গুণাবলীতে 察 "ব্যিশ্চ সমীক্সঃ পুরটবিরচিত; কুগুলশ্বশ্ব-কান্ধীনিষ্কাশ্চষ্ট্ৰীশলাকাযুগ-বলয়ূঘট-কণ্ঠভূবেষ্মিকাশ । [ ৪৩১ ] রাধিকা শ্ৰীহরির মন বাধিয়া ছিলেন, তাহার পরিচয় বৈষ্ণৰ গ্রন্থে বিশদভাবে বর্ণিভ আছে । পদ্মপুরাণ উত্তরখণ্ডে রাধাজন্মাষ্টমীব্রতমাহায্যে লিখিত হইয়াছে,—মহর্ষি নারদ দেবাদিদেব মহাদেবের নিকট রাধাঞ্জন্মমাহাত্ম্য গুলিতে ইচ্ছ। জানাইলে সদাশিব বলিতে লাগিলেন, রাজা বৃষভান্ডুর মহিষী মহালক্ষ্মীস্বরূপ। শ্রীমতী ঐকীৰ্ত্তদা হইতেই বৃন্দাবনেশ্বরী শ্রীরাধিক রাধিক। ভাদ্রমাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে শুভদায়ক মধ্যাহ্ন সময়ে জন্মলাভ করেন। রাধাজন্মোৎসবের পূজন, ভজন, ধ্যান ও কর্তব্যাঙ্গুষ্ঠানাদি বলিতেছি, শ্রবণ কয় । “সৰ্ব্বদা পশ্চিমম্বারে শ্ৰীয়াধী কৃষ্ণমন্দিয়ে। ধবজল স্বস্তুকলসপতাকাতোল্পণাদিভিঃ ॥ নানাসুমঙ্গলদ্রব্যৈর্যথাবিধি প্রবর্ততে । সুবাসিতগন্ধপুষ্পেধু পৈশ্চ ধুপিতৈগুৰ্ণন ॥ মধ্যে পঞ্চবর্ণচুণৈর্মগুপং সসরোরুহম্। মুষোড়শদলাকায়ং তত্র নিয়ায় যত্ন তঃ ॥ দিব্যাপনে পদ্মমধ্যে পশ্চিমাভিমুখীং স্থিতাম্। প্রযুগ্মমূৰ্ত্তিং সুপান্ত ধ্যানপদ্যদেভি: ক্ৰমাৎ ॥ ভক্তৈ: সহ সজাতীয়ৈ: শক্যামুসারবস্তুভি । তদ্ভূক্ত: পুঞ্জয়েভুক্ত্য তাং সদা সংযতেন্দ্ৰিয়: ॥” উক্ত রূপে ভক্ত সামথ্যামুযায়ী পুজার আয়োজন করিয়৷ সংযতেঞ্জিয় হষ্টয়া পুজা করিবেন । পুজাকালীন ধ্যান যথা— “হেমেনীবরকাস্তিমঞ্জুলতরং শ্ৰীমজ্জগন্মোহনং নিত্যাভিললিতাদিভিঃ পরিবৃতং সীলপীতাম্বরম্। হীরাপ্তারাসুকীর ভুঞ্জকটক-তুলকোটরে রত্নক গু|প্তঙ্গ। পদাঙ্গুরীয়চ্ছবিরিতি রবিভিভূষণের্ডাfত রাধা ।” শ্রীরাধা-প্রকরণ, ৮ম শ্লোক । "তাৰ্থ সুন্দাবনেশ্বৰ্য্যা: কীৰ্ত্ত্যন্তে প্রবর গু৭t: [ মধুরেয়ং নববয়াশ্চলাপাঙ্গোজ্জ্বলম্মিত চার সৌভাগ্যরেখাঢ্য গন্ধোন্মাদিতমাধবা। সঙ্গীতুপ্ৰসরাস্তিত্ত। রম্যবাশ্বনৰ্ম্মপণ্ডিত । কিজি করুণ।পূর্ণ বিদগ্ধ পাটবাস্থিত । লজ্জাশীল। সুমধ্যাদ। ধৈর্য্যগাষ্ঠীৰ্য্যশালিণী ॥ তুবিলাস মহাল্পবিপরমোৎকৰ্ষতর্ষিণী । গোকুলপ্রেমবসতির্জগচ্ছে শালসদৃযশা; } গুৰ্ব্বপিতগুরুল্লেহ। সর্থী প্রণয়িতাবশ । কৃষ্ণপ্রিয়াবলীমুখ্য সস্তুতাশ্রবকেশব । বঙ্গন কিং গুণ হস্যঃ সংখ্যাতীত হয়েরিব।” প্রীরাধা-প্রঙ্করণ, ৯সংথ্যাঙ্কিত শ্লোকসমুং ।