পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র বিলাপ করিয়৷ সেই ফুঞ্জেয় গভীর আরণ্য প্রদেশে, সীতার দুরবস্থা ও স্বীয় জীবনের ভাবী দুর্গস্তি কল্পনা করিয়া চিরমুখtভ্যস্ত রাজকুমার রামচন্দ্র সাশ্রনেত্রে ও ক্ষুন্ধচিত্তে মেীনভাবে সারা রাত্রি বলিয়৷ কাটাইলেন । এই প্রথম রজনীর মহাক্লেশের পর বনবাস ক্রমে অভ্যস্ত হইয়া গেল। চিত্রকূট পৰ্ব্বতের সামুদেশে অপৰ্য্যাপ্ত পুষ্পভারসমৃদ্ধ অরণ্যানী দেখিয়া তাছার চমৎকৃত হইলেন। সীত। হরিংছদ বলতর রাঞ্জি দেখিয়া বনোন্মাদিনী হইয়া পড়িলেন,— কুঞ্চিত ও নিবিড় বেণী পৃষ্ঠদেশে লম্বিত করিয়া স্মি তমুখী | রামচন্ত্রের হস্ত ধরিয়া রক্ত বর্ণ অশোক পুষ্পচয়নে নিযুক্ত হইলেন সম্মুণে চিত্রকুটের একপাশ্ব । এক শৈলশৃঙ্গ গগন চুম্বন করিয়াছে। কোথাও গুছাপুর্ণ নিবিড় বনরাজ্যের মনোহর শোভ-সম্পদ,—কোথায় ও বা বহু-কদর-পশ্বিপ দ্বী বহু শৈলমাল। এই চিত্রকুটের কণ্ঠে নিৰ্ম্মল মুক্তার কষ্ঠার স্তায় মন্দাকিনী প্রবাহিত । সহস। এই উদার অদৃষ্ট-পূর্ণ প্রাকৃতিক সমৃদ্ধির সন্নিহিত হইয়। রামচন্দ্র উচ্ছসি সহকারে বলিয়া উঠিলেন-- “রাজ্যনাশ ও মুহৃদ্ধিরহ আজ আমার দৃষ্টির বাধা জন্মাষ্টতেছে না, এই মহাসৌন্দৰ্য্য আমি সম্যকৃরূপে উপভোগ করিতে সমর্থ হুইতেড়ি, বনবাস আজ আমায় নিকট অতি শুভকর বলিয়। বোধ হষ্টভেছে । ইহার কুই ফলই আমার পরম কাম । পিতাকে অসত্য হইতে রক্ষা করিয়াছি এবং ভরতের ?িীয় সাধন করিয়াছি।” সীতার সঙ্গে মন্দাকিনীর জলে স্নান করিয়া রামচন্দ্র পদ্ম বলিলেন,—” এই নদীর স্নিগ্ধ সম্ভাষণ তোমার সর্থীগণের তুল্য, মনাকিনীকে সরযু বলিয়। মনে করি ও ।” এই স্থানে দম্পতীর দৃপ্ত মধুর হইতে ক্রমশঃ মধুরতর হষ্টয়া উঠিয়াছে ; কুসুমিত-লতা আশ্রয়-বৃক্ষকে জড়াইয়া ধরিয়াছে,—রামচন্দ্ৰ বলিলেন, “কি মুন্দর । তুমি পরিশ্রান্ত হইয়া যেরূপ আমাকে আশ্রয় কর, এ যেন সেইরূপ দেখা যাইতেছে।” গজদন্তোংপাটিত অকাল-শুস্ক বৃক্ষের প্রতি দৃষ্ট নিক্ষেপ করিয়া দম্পতী দুঃখিত হইলেন। তাছার শৈলমালায় প্রতিশদিত বহুকোকিলের কুহুরব ও বন্য-ভ্রমরের গুন গুন ধ্বনি শুনিতে শুনিতে মুগ্ধ হইয়া চলিলেন । নীল, পীত, লোহিত কিংবা অন্ত কোন বর্ণের যে ফুলট পথে মনোরম বলির মনে হইল, রামচন্দ্র সপল্লব সেই ফুলট চয়ন করিয়া সীতার হস্তে প্রদান করিলেন। মনঃশিলার উপর জলসিক্ত অঙ্গুলী ঘলিয়। তিনি সীতার লীমন্তে XVI 25 to রামচন্দ্র স্বন্দর তিলক রচনা করিয়া দিলেন। কেশৱপুষ্প তুলিয়৷ তিনি সীতার নিবিড় কর্ণান্তচুম্বী কুম্ভলে পরাইয়া দিলেন এবং স্নিগ্ধ আদরে বলিলেন--"আমি তোমার সঙ্গে বাস করিয়া অযোধ্যার রাজপদম্প্রছ করিতেছি না।” চিরকুটের মনোহর শৈলমাল-পরিবৃত প্রদেশে শীল, tল ও অশ্বকৰ্ণ বৃক্ষের পত্র ও কাগু দ্বারা লক্ষ্মণ মনোরম পণশাল নিৰ্ম্মাণ করিলেন । রামচন্দ্র সেই বস্তবাটিকায় ভ্ৰাক্তা ও পত্নীর সঙ্গে বাস করিয়া হৃদয় নিহিত সমস্ত কষ্টই বিস্তৃত হক্টলেন । এই সময় মঞ্ছত সৈন্থমালা ও আত্মীয় সুহৃস্বৰ্গপরিবৃত্ত BBBS BBBS BB BBBBD BBBBBS BBB BBBB S লক্ষ্মণ শালবৃক্ষ চুড়। কষ্টতে ভরতের চিরপরিচিত কোবিদার ধ্বজাঙ্কিত-পতাকাপারবেষ্টিত অযোধ্যার বিশাল সৈন্যসক্তত্ব সন্দশন করিয়ু মনে করিলেন, ভরত র্তাহ দিগের বিনাশBBBD BBBB DBBBgS gg BBBD BBBB BBBS SBB BBBSBB BBB BBBB BBBB BSBSDDS BBYYBB যুদ্ধার্থ উন্তেজিত করিতে লাগিলেন। কিন্তু রামচন্দ্র মেহাদ্রকণ্ঠে বলিলেন—ভরত যদি সত্য সত্যই সৈন্য লইয়। এস্থলে আসিয়া থাকেন, তবেই বা আমাদের যুদ্ধের উদ্যোগ কল্পিবার প্রয়োজন কি ? পিতৃসত্য পালন করিতে বনে আসিয়া ভরতকে যুদ্ধে নিহত করিয়া আমরা কি অক্ষয় কীৰ্ত্তিলাভ করিব ? পাতৃরস্তু কলঙ্কি ঙ্গ ঐশ্বর্ঘ্যে আমাদিগের প্রযোজন নাই। প্রাতা ও আত্মীয়বর্গের সুখের নিকট আমার স্বীয় সুথ অতি অকিঞ্চিৎকর বলিয়া মনে করি।” তৎপরে BBB BB BBB BBBB BBS BBBB BBBS তিনি বললেন, “আমার প্রাণ হইতে প্রিয়তর কনিষ্ঠ ভ্রাতা BBB DDDD BBBBBBB SBBBK DDBS BBB অযোধ্যtয় লইয়। যাইতে আসিয়াছে,—ভরত যুদ্ধ কবিতে মাইসে নাই।” এদিকে নপদে জটাচারধারা অযুগত ভূত্যের স্থায় বাম্পরুদ্ধকণ্ঠে চিরবংসল ভরত আসিয়া রামের পদতলে নিপতিত হষ্টলেন । ভরতের মুখ শুষ্ক, লজ্জা ও মনস্তাপে তাহার শরীর শীর্ণ ও বিবর্ণ হইয়া গিয়াছে। রামচন্দ্র অশ্রুপূরিত চক্ষে স্নেহের পুন্তলা ভরতকে ক্রোড়ে লইলেন ও স্নেহ-সম্ভাষণে তাহার মস্তক অাম্রাণপূর্বক আদর কল্লিত্তে লাগিলেন । ভরত দেখিলেন সত্যব্রত রামচন্দ্রের দেহ হইত্তে দিব্য-জ্যোতি ফুরিত হইতেছে, জটা চার পরিমা আছেন, তবুও যেন প্তাহার শরীর পবিত্র যজ্ঞাগ্নির স্থায় দীপ্তিশীল রছিয়াছে। এই দেৰগ্ৰ ভাব অগ্রাজের পদ্ধতলে পড়িয়া জার্তা রমণীর