পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাবলপিণ্ডি রাবলপিণ্ডি, পঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত একটা বিভাগ। তথাকার ছোটলাটের শাসনাধীন ও বিভাগীয় কমিসনর স্বারা পরিচালিত। অক্ষা- ৩১° ৩২ হইতে ৩৪° উঃ এবং দ্রাঘি• ৭১° ৩৭ হইতে ৭৪° ৩১ পূঃ মধ্য । ভূপরিমাণ ১৫৪৩৫ বর্গমাইল । রাবলপিণ্ডি, ঝিলাম, গুজরাট ও শাহপুর জেলা লইয়। এই বিভাগ গঠিত । ইহার উত্তরে হাজার ও পেশাবর জেলা, পূৰ্ব্বে কাশ্মীররাজ্য, দক্ষিণে বঙ্গ, গুজ রান্‌বালা ও শিয়ালকোট জেলা এবং পশ্চিমে কোহাটু, বায়ু, ও দেরাইসমাইল খ। জেলা। এখানকার অধিবাদিগণের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যাই অধিক । এই বিভাগের রাবলপিণ্ডি, ঝিলাম, গুজরাটু, পিণ্ড, দাদনথ, ভেরা ও জালালপুর নগর প্রধান। এতদ্ভিন্ন এথানে আরও ১৮ট নগর আছে । ২ উক্ত বিভাগের একটা জেলা। অক্ষা • ৩৩° ৩ হইতে ৩৪° ৪' উঃ এবং দ্রাঘি• ৭১' ৪৬ হইতে ৭ ও ৪১' পূঃ মধ্য । ভূপরিমাণ ৪৮৬১ বর্গমাইল । হিমালয় পৰ্ব্বতের বহিঃপ্রদেশ, লবণশৈল ও সিন্ধুনদের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান লইয়। এই জেলা গঠিত । ইহার উত্তরসীমায় হাজারাজেল, পূর্কে ঝিলাম (বিতস্ত ) নদী, দক্ষিণে ঝিলামজেলা এবং পশ্চিমে সিন্ধুনদ। সিন্ধুনদ পেশাবর ও কোহাট হইতে রাবলপিণ্ডি পৃথক রাখিয়াছে । পিণ্ডিঘেব, আটক, ফতেজঙ্গ, গুজরধান, রাবলপিণ্ডি, মড়ি ও কছুক্ত নামক ৭টা উপবিভাগে এই জেলা বিভক্ত । রাবলপিণ্ডি নগরে জেলার বিচার সদর। এই জেলা হিমালয়ের ক্রমোচ্চনিম সামুদেশের শিথরমালায় পূর্ণ। উহার ক্রমশঃই সিন্ধু-সাগর অস্তুৰ্ব্বেদীর অভিমুখে প্রস্বত হইয়াছে। চতুর্দুিকে এইরূপে পৰ্ব্বতশ্রেণী বিরাজিত থাকায়, জেলার সর্বত্রই 羈點 ममांक्षा श्ब्रां मृष्ट्रिप्लेitझ । ঐ পৰ্বতমধ্যবর্তী সমতল ক্ষেত্রসমূহ নানারূপ প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে পুর্ণ। কোথাও খামল শস্তক্ষেত্র, কোথাও নিবিড় বনমালা, কোথাও বা উপত্যকাতটধেীতকারিণী নিঝরিণীশ্ৰোতঃ কুলকুলনাদে পৰ্ব্বতকমার প্রতিধ্বনিত করিয়া প্রবাহিত হইতেছে ; কোথাও চিরতুষারাবৃত পৰ্ব্বতশিখর, যেন নিরস্তুর শুভ্ৰমেঘে সমাচ্ছাদিত রহিয়াছে, উহারই নিম্নদেশে কৃষ্ণবর্ণ মেঘমালার স্তায় পৰ্ব্বতগাত্রসমাচ্ছাদী বনমালাসমূহ পৰ্ব্বতের ঢালুদেশে যেন স্তয়ে স্তরে বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে । তাহারই মধ্যস্থলে কোন কোন অগ্রমুখী অধিত্যকখণ্ডে পাৰ্ব্বত্য পর্ণকুটরাবলী বনমালার অন্তরালে খেন উকি মারিয়া দূর্শকগণের চিত্ত আকর্ষণ করিতেছে"। কোথাও পৰ্ব্বঙ্গের তুঙ্গশ্বঙ্গে স্নদৃশুময় মসজিদ উচ্চশিরে [ &७8 ♚ রাবলপিণ্ডি দণ্ডায়মান হই। সেই নির্জন প্রাস্তুরবাসী জনগণকে ধরে প্রভাব জ্ঞাপন করিতেছে । স্বভাবসেন্দর্যোয় এই সকল গাম্ভীৰ্য্য ভেদ করিয়া, শিখ ও ঘকরজাতীয় সর্দারগণের ভীষণাকার গিরিদুর্গসমূহ সমুন্নত শৈলশিখরে অবস্থিত রহিয়াছে । উহা দেখিলেই বোধ হয়, যেন তথাকার রাজগণের প্রচও রাজুদও সেই সুদূর পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশেও অক্ষুন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সীমান্ত শক্রগণের উপদ্রব নিবারণের জন্তই উক্ত রাজগণ পধ্বতপ্রাস্তে দুর্গনিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। দক্ষিণসীমান্তে পৰ্ব্বতের ঢালুগাত্র ক্রমশঃই অপেক্ষাকৃত সমতলক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে। একট বালুপাথরের পাহাড় এই স্থান হইতে ঝিলাম উপত্যকাকে পৃথক্ রথিয়াছে। স্থানবিশেষে প্রাকৃতিক সৌনর্য্যও যেমন পৃথক, ইহার পূর্ব ও পশ্চিমাংশেও সেইরূপ ঋতুপার্থক্যe লক্ষিত হয়। যেন স্ব ভাবমুন্দরী বনদেবী নিজহস্তে রেখা টানিয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সঙ্গে সঙ্গে ঋতুর বিপৰ্য্যায়ও নিরূপণ করিয়া দিয়াছেন। বিপাশা নদীর সমতটে বিস্তৃত মরিগিয়িশ্রেণীতে ৮•৫০ ফিটু উচ্চে স্বাস্থ্যাবাস ; এইস্থান নানাজাতীয় বৃক্ষে পুর্ণ। এই শৃঙ্গ ক্রমশঃ হাজার জেলায় প্রধাবিত হইয়া কাশ্মীরের তুষারমণ্ডিত পৰ্ব্বতে গিয়া মিশিয়াছে, সুতরাং ঐ স্বাস্থ্যাবাসের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে বিচিত্র পাৰ্ব্বত্য চিত্রসমূহ সম্মুখে আসিয়া পড়ে। এই বিভাগে ঋতুর আমুকুল্যে পৰ্ব্বতগাত্র বনমালা ও শস্তক্ষেত্র সমাচ্ছাদিত দেখা যায়, পক্ষাস্তুরে পশ্চিম বিভাগে ইহার প্রকৃতি ভিন্নরূপ । সিন্ধুনদের অপর পারস্থিত পশ্চিম-পুৰ্ব্বত্যভূভাগ সিন্ধু । মদের শাখা প্রশাখাদ্বারা পরম্পর বিচ্ছিন্ন হইয়া যেন সেই বিস্তীর্ণ প্রান্তরের স্থানে স্থানে এক একট ক্ষুদ্র পৰ্ব্বতচূড়া ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রাখিয়াছে। এই স্থান গুস্ক ও অমুর্ধর। এখানে অতি স্বল্পপরিমাণেই উদ্ভিজ্জাদি জন্মিয় থাকে । উপত্যকাদেশ জলবিীেত পৰ্ব্বতকনারে পরিণত। ঐ সকল থাত একমাত্র বস্তার সময়েই পূর্ণ থাকে । পাৰ্ব্বতীয় অধিবাসীরা একস্থানে দলবদ্ধ হইয়া বাস করে । অধিকসংখ্যক লোকের একত্র বাসহেতু গ্রামটও সুবৃহৎ উপনিবেশের মত দেখায়। কারণ এরূপ উবর পাৰ্ব্বত্যভূমে বিভিন্ন গ্রামে নিবদ্ধ হইয়া বাস করা সম্পূর্ণরূপে অনুপযোগী। পশ্চিমবিভাগের পর্বতরাজির भ८५ छिंख*ांश८फ़ग्न माभ उंtझथप्याभा ॥ ५४ॉरन छूडरसन्न অনেক প্রাচীন নিদর্শন পতিত আছে। উত্তরে শল্যবিহীন মরুসদৃশ উষয়-ভূমির মধ্যে চাচ, উপত্যক যেন ‘ওয়েশিশের ভা সাধারণের চিন্ত আকর্ষণ কৰি থাকে। ; * ""。