পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-** রেলওয়ে

    • -------

মেখলা পরিয়া যেন মৰ্ম্ম বেদনার যাতনা লাঘব করিবার জন্তই কল কলধ্বনিতে ছল ছল নয়নে বারিনিধিপানে চলিয়াছেন। মুগ্ধদ্বদর ভারতবাণী ইংরাজের বিশ্বকৰ্ম্ম-বিড়ম্বিত শিল্পবিজ্ঞানের কল কৌশল দেখিয় মস্ত্রেীঘধিরুদ্ধবর্ষ্য ভুজঙ্গের গুtয় অবস্থান করিতেছেন। ময়দানবের বংশধরগণ বোধ হয় একেবারেই নিৰ্ম্মল হইয়াছে। পুরোচনেরও সস্তানবিচ্ছেদ ঘটিছে। বাঙ্গালী কবি ভূগর্ভে বিশ্বকৰ্ম্মার শিল্পশাল স্বষ্টি করিয়াছেন— কিন্তু বঙ্গদেশে কোন জুলিয় ভাৰ্ণে জন্মে নাই যে, বাঙ্গালীদিগকে পাতালে যাইরার পথ বলিয়া দিবে। সেই জহুই বঙ্গবাসী কৰ্ত্তব্য বুদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ হইয়াছে। তাই তাহার বৈদেশিক বিশ্বকৰ্ম্মার শিল্পশাগ্ৰায় গমন করিতেছেন। ইংলণ্ডে যৎকালে স্তাভয়, নিউকোমেন, টেভিথিক, জেমৃদওয়াট । এবং জর্জ ষ্টিফেনশন প্রভৃতি ভুবনবিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারগণ পৃথিবীতে যুগান্তর উপস্থিতকারী ইঞ্জিনের কল কৌশল অমুধ্যানে রত ছিলেন, তখন বণিগৃবৃত্তিকুশল ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানী কামদুঘরপিণী ভারতভূমিকে সহস্রধারায় দোহন করিবার | নিমিত্ত বংসের অমুসন্ধান করিতেছিলেন। সব্ব প্রথমে ১৮৪১ ' খৃঃ সার ম্যাকডোনাল্ড ষ্টিফেনশন নামক এক ব্যক্তির মস্তিষ্কে : ভারষ্ঠে রেলপথপ্রচলনের সংকল্প উদিত হইয়াছিল। কিন্তু ১৮৪৪ খৃঃ ২রা ডিসেম্বরের পূৰ্ব্বে তিনি ইহার লিখিত বিবরণ | প্রকাশ করেন নাহ। ১৮৪৪ খৃঃ ৮ই নবেম্বর “মেমসিহোয়াইট এণ্ড বরেট” নামক একটা বণিকৃ সম্প্রদায়— গ্রেট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি” নামে প্রতিষ্ঠিত হইয়। দক্ষিণ ভারতবর্ষে বোম্বে হইতে গোদাবরী তীরবর্তী করিঙ্গ পর্য্যগু রেলপথ-বিস্তারের জন্ত ইংরাজ গবমেণ্টের নিকট আবেদন করেন । তাহীদের সংকল্পিত রেলপথ বোম্বে হইতে ভারতের চতুদিকে প্রধাবিত হইবে এরূপ প্রার্থনা ও তাহাদের ছিল। কিন্তু এই কোম্পানীয় আবেদন গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক অমুমোদিত হয় নাই। ইহার পরেই মি; ম্যাকডোনাল্ড ষ্টিফেনশন এবং সাস্থ, জি লাপেণ্ট ইংরাজ গবমেণ্টকে বুঝাইয়া দিলেন যে, ভারতে রেলপথ না খুলিলে কামধেনু দোহনের সুবিধা হইবে ন। বাণিজ্যে মুবিধা হইবার জন্তু বৃটিশ গবমেণ্ট কতকট। সন্মত হইলেন । ১৮৪৪ খৃঃ ২য় ডিসেম্বর ম্যাকডোনাল্ড ষ্টিফেনশন ইষ্ট ! ইণ্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানী নামক নব প্রতিষ্ঠিত সম্প্রদায়ের কাৰ্য্যধ্যক্ষ নিযুক্ত হইলেন এবং ডিরেক্টরদিগকে এই মৰ্ম্মে পত্র । णिथिएणन cश्, शनि उँाहाब्र अक्षङः श्रृङकङ्ग 8 प्लेको श्रृङ्ग ब्र গ্যায়ান্ট বা প্রতিভূ হয়েন, তাহ হইলে রেল কোম্পানী মূলধন সংগ্ৰছ করিতে পাব্লিৰেন। ১৮৪৪ খৃঃ ১৩ই ডিসেম্বর } [ १२8 ] রেলওয়ে --==----- SAAA SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS তিনি পুনরায় পত্র লিখিলেন যে, ডিরেক্টরগণের গারস্টী পাইলে সওদাগরগণ টাকা দিতে কুষ্ঠিত হইবেন না ; সুতরাং অবিলম্বে রেলওয়ে কাৰ্য্য আরব্ধ হইবেক । অবশেষে ১৮৪৫ খৃঃ অবে ২০ এ জাঙ্ক রী ইষ্টইণ্ডিয় রেল কোম্পানীর নব প্রতিষ্ঠিত কমিটিতে ডিরেক্টরগণ এই মৰ্ম্মে পত্র লিখিলেন যে, তাহার দশ লক্ষ টাক। শতকরা ৩ টাকা হিসাবে গ্যারাণ্টী থাকিবেন । কিন্তু রেলপথ প্রথমে মীর্জাপুর হইতে আলাহাবাদ পর্য্যস্ত ১৪• মাইল নিৰ্ম্মিত হুইৰে—ইছার ব্যয় স্বরূপ ৩:০০ পাউণ্ড নির্দিষ্ট থাকিৰে। ডিরেক্ট গণের মূল পত্র হইতে নিম্নে দুই চারি ছত্র উদ্ধত হইল * অবশেষে ১৮৪৫ খৃঃ ৭ই মে তারিখে ইংলণ্ডের ডিরেক্টরগণ ভারতবর্ষের গবর্ণর জেনেরলকে রেলকোম্পানীগণের সম্বন্ধে ar rin føften, “which is the first official recog nition of the desirability of railways for India” ইহাই ভারতে রেলসংক্রান্ত সরকারী প্রথম পত্র। রেল কোম্পানীর তাৎকালিক বিবরণে দেখা যায় যে, ভারতে আরোহী পাওয়া যাইবে না, মাল দ্বারা লাভ হইবে । যাহ। হউক, ভারতে রেলপথ হইতে পারে কিনা তাহা অনুসন্ধান করিবার জন্য ডিরেক্টরগণ মিঃ সিমস, সি, ই, নামক একজন সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ারকে ভারতে পাঠাইলেন । তিনি ১৮৪৫ খৃঃ সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে পদার্পণ করিলেন । “ তিনি অনেক অসুসন্ধানের পর বিপুল গবেষণাসম্বলিত এক পত্র ডিরেক্টরগণকে লিথিলেন । তিনি যে পত্র লিথিয়াছিলেন তাহার মধ্য হইতে দুই একটী কথা লিখিত হইল— e “ইংরাজ গৰমেণ্ট রেলকোম্পানীকে ভূমি ক্লিনিয়া দিবেন। গবমেণ্ট রেলওয়ে আমদানী ও রপ্তানির উপর কোন শুল্ক গ্রহণ করিতে পরিবেন না । কলিকা ত হইতে দিল্লী পর্য্যস্তু রেলপথ প্রস্বত্ব করিতে সাত বৎসর লাগিবে। রেল কোম্পানী কম ভাড়া লইয়। গবমেন্টের ডাক ও অন্তান্ত দ্রব্যাদি বহুন করিবেন। সমস্ত রেলকোম্পানী একটী সাধারণ আদর্শ অনুসারে পথ নিৰ্ম্মাণ করিবেন।” এই প্রকার বিস্তৃত মস্তব্য সহিত এক পত্র ডিরেক্টরদিগের নিকট প্রেরিত হইল। ১৮৪৬ খৃঃ ৬ই ফেব্রুয়ারী এই পত্র ইংলওে পৌছিল । ১৩ই মার্চ ছঞ্জিনিয়ারগণের বিবরণী ভারতবর্ষের গবমেন্টের নিকট অপিও ছইল ।

  • “To encourage the introduction of railways into India, and on the condition that the bonus should be withdrawn when the railway net profits exceed 8 per cent upon the outlay of one million."