পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ञ्जन জৈন সাধুগণের মতে যাহা নিত্য করা যায়, তাহ চরণ, এবং যাহা প্রয়োজন মত করা যায় ও প্রয়োজন না হইলে করা হয়না, তাহাকে করণ বলে । ৭৬ প্রকার করণ। যথা –৪ পিওবিশুদ্ধি, ৫ সমিতি, ১২ ভাবনা, ১২ প্রতিমা, ৫ ইন্দ্রিয়নিরোধ, ২৫ প্রতিলেখনা, ৩ গুপ্তি ও ৪ অভিগ্রহ (৫৫) । ५* আহীর, উপাশ্রয়, বস্ত্র ও পাত্র এই চারি বস্তুর ৪২ প্রকার দূষণ রহিত করিয়া লওয়ার নাম পিওবিশুদ্ধি * । সম্যক্ আগম অনুসারে প্রবৃত্তি-চেষ্টার নাম সমিতি । সমিতি আবার পাচপ্রকার-ঈর্ষ{সমিতি, ভাষাসমিতি, এষণাসমিতি, আদাননিক্ষেপসমিতি ও পরিস্থাপনাসমিতি । জীব রক্ষার নিমিত্ত আগমানুসারে বলীর নাম ঈর্যাসমিতি। পাপ রহিত, সন্দেহরহিত, আনন্দনীয় ও মুখদায়ী ভাষাপ্রয়োগের নাম ভাষাসমিতি । বিয়াল্লিশ প্রকার দূষণরহিত আহারাদি গ্রহণ করার নাম এষণীসমিতি। আসন, সংস্কার, পীঠ, ফলক, বস্ত্র, পাত্র ও দণ্ডাদি ভাল করিয়া দেখিয়া উপযোগপূৰ্ব্বক গ্রহণ করা ও রাখাকে আদাননিক্ষেপসমিতি এবং পুীয মুত্রাদি শরীরমল, অন্ন, জল, যাহা শরীরের অহিতকর, তাহা জীবরহিত ভূমিতে স্থাপন করাকে পরিস্থাপনাসমিতি বলে । ভাবন দ্বাদশ যথা—অনিত্যভাবনা, অশরণভাবনা, সংসারভাবনা, একত্বভাবনা, অন্তত্বভাবনা, অশুচিত্বভাবনা, আশ্রবভাবনা, সম্বরভাবনা, নিৰ্জ্জরভাবনা, লোকস্বভাবভাবনা, বোধিস্থলভজ্ব ভাবনা ও ধৰ্ম্মভাবনা । দ্বাদশ প্রতিমা—একমাস হইতে সাতমাস পর্য্যন্ত এক একমাস বুদ্ধি জানিয়া সাত প্রতিমা হইবে । তৎপরে অষ্ট প্রতিমা সপ্তদিবারাক্র, নলপ্রতিমা সপ্তদিবারাত্র, দশম প্রতিমা সপ্তদিবারাত্র, একাদশ প্রতিমা একদিবারাত্র এবং দ্বাদশ প্রতিমা একরাত্র প্রমাণ জানিবে। বর্ষাকালে প্রতিকৰ্ম্ম নাই, সুতরাং বর্ষাকালে প্রতিমা অঙ্গীকার করিতে হয় না । যে ব্যক্তি উক্ত দ্বাদশটা প্রতিমা অঙ্গীকার করেন, জৈনসমাজে তিনি সংহননধৃতিমুক্ত, মহাসত্ব ও ভাবিতাত্মা বলিয়া গণ্য । (৫৫) “পিগুধিসোহী সমিঈ ভাবণ পড়িমায় ইন্দিয় নিরোহে। পড়িলেহণ গুীউ অভিগৃগহ চেব করণং তু ॥”

  • खझषाझ्कूठ शि७निषूख, भशप्रत्रिब्रिकूठ उप्लेौक, छिनवन्नछएब्रि কৃত্ পিওৰিশুদ্ধিগ্রন্থ, জিমপত্তিস্থরিকৃত পিণ্ডবিশুদ্ধি টীকা, নেমিচন্দ্র স্বfর झड य१झनजाप्ञादाब ७ निझ८गनऋब्रिकूङ ठाहाब्र प्लेका ७य१ cश्भध्द्ध १ऽिङ ५५|११Ito fof७त्रिरुज्झि विषं विषूटं चiं *िउ श्रॆप्रitछ्।

[ ويلا: نه ] टेक्कम প্রবচনসারোন্ধীরবৃহস্কৃত্তি ও ব্যবহারভাৰ্যটীকায় উক্ত প্রতিমার বিস্তৃত বিবরণ বর্ণিত আছে । o ইন্দ্ৰিয়নিরোধ—পঞ্চ ইন্দ্রিয় এবং স্পর্শাদি পঞ্চ ইন্দ্রিয়বিষয়ের নিরোধের নাম ইঞ্জিয়নিরোধ। জৈন সাধুগণ বলিয়৷ থাকেন, ইন্দ্রিয় নিরোধ না হইলে সংসারসাগর হইতে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা নাই । গুপ্তি—মনোগুপ্তি, বচনগুপ্তি ও কায়গুপ্তি এই তিন গুপ্তি । গুপ্তির স্বরূপ অশুভ মন, বচন ও কায়ার নিরোধ এবং শুভ মন, বচন ও কায়ার প্রবৃত্তিকরণ । মনোগুপ্তি আবার তিন প্রকার—১ম আৰ্ত্তরৌদ্রধ্যানামুবন্ধী কল্পনার বিয়োগ ; ২য় শাস্ত্রানুষায়ী পরলোকসাধন ধৰ্ম্মধ্যানাল্লুবন্ধী মাধ্যস্থ পরিণতি ; ৩য় সম্পূর্ণ শুভাশুভ মনোবৃত্তির নিরোধ ও অযোগী গুণহীনাবস্থায় স্বাত্মারামরূপতা । দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল ও ভাব অনুসারে অভিগ্ৰছ ( প্রতিজ্ঞা ) চারিপ্রকার। প্রবচনসারোদ্ধারবৃত্তিতে এতৎসম্বন্ধে অনেক কথা আছে । জৈনতত্ত্বাদর্শে লিখিত আছে,–পুৰ্ব্বকালে যেরূপ গুরু স্বরূপ ছিল, ( যাহা পূৰ্ব্বেই লিখিত হইয়াছে) এখন সেরূপ দেখা যায় না, তাহ বলিয়া এখন কি গুরু স্বীকার করা হইবে না ? পূৰ্ব্বকালে চতুর্দশপুৰ্ব্বীই শাস্ত্রার্থ প্রকাশ করি তেন, তাহা বলিয়া কি যাহারা নিশীথ, মধ্যম আচারপ্রকল্প বা বৃহৎকল্পস্বত্র পাঠ করিয়াছেন, তাহারা কি শাস্ত্ৰমৰ্ম্ম ব্যক্ত করিতে পরিবেন না ? পূৰ্ব্বকালে আচারাঙ্গস্থত্রের শস্ত্রপ্রজ্ঞা অধ্যয়ন করিয়া ছেদোপস্থাপনীয় চরিত্র স্থাপন করিত, এখন কি দশবৈকালিক স্বত্রের ষষ্ঠ জীবনীয় অধ্যয়ন পাঠ করিয়া কেন না স্থাপন করিতে পরিবে ? আমগন্ধিস্থত্রের পঞ্চম উদ্দেশ অনুসারে পূৰ্ব্বে মুনি (জৈন সাধু) আহার গ্রহণ করিতেন, এখন কি পিণ্ডেষণা অধ্যয়ন অনুসারে গ্রহণ করিতে পরিবে না ? পূৰ্ব্বে প্রথমে আচারাঙ্গ তৎপরে উত্তরাধ্যয়ন পাঠ করিত, তাহ বলিয়া কি এখন দশবৈকালিকের পর আর কিছু পড়িতে পারিবে না ? পূৰ্ব্বে ছয় মাস তপের প্রায়শ্চিত্ত ছিল, এথন কি তৎপরিবর্তে নিবীপ্রমুখ প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করিবে না ? পূৰ্ব্বকালের মুনির বৃত্তি না থাকিলেও অবশুই আচাৰ্য্য বা সাধু মানিতে হইবে, নহিলে ধৰ্ম্মরক্ষা হইবে না। জীবানুশাসনচুণীতে লিখিত আছে—সংযমই প্রধান উপায় । যিনি সংযম লাভ করিয়াছেন, তাহাক মূলোত্তরগুণে দোষ পৃষ্ট হইলেও তৎকাল চারিত্র নষ্ট হয় না। ন্যবহার অনুসারে ব্রত ভঙ্গ হয় বটে, কিন্তু বহু অতিচারেও সংযম যায় না । এজন্ত বকুণ rعلي.