পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ বিশ্বনাথ-রামায়ণ । সমীপে উপাদেয় নানা গুণালঙ্কত ইহলোকগত সংপুরুষ-বিষয়ক প্রশ্ন করেন। ভগবান নারদ গোস্বামীও মহর্ষি বাল্মীকির অভিপ্রায়াবগমন করিয়া বিবেচনাপুরঃসর তাদৃশ গুণী নিরূপণ করিয়া তাহার আবির্ভাব, কাৰ্য্য, আবাস ও সহকারিবর্গের বর্ণনপূর্বক উপনিষদ বেদের রীতিক্রমে আদ্যোপাস্ত ছলবর্ণনার সোপান স্বরূপ উত্তর প্রদান করেন । বাল্মীকি মহর্ষি উত্তর বাক্য শ্রবণে হৃষ্ট হইয়া শ্রীরাম চরিত বর্ণনচ্ছলে সাধারণের অন্তঃকরণে পরমেশ্বরাবির্ভাব প্রকারবিধি মহামোক্ষ পৰ্য্যন্ত বর্ণনা করেন। ঐ সকল ছল কোন স্থানে নামের ব্যুৎপত্তি দ্বার, কোন স্থলে কাৰ্য্য বর্ণন দ্বার, কোন স্থলে আকৃতি দ্বার, কোথাও ব৷ নাম কাৰ্য্য উভয় বর্ণন দ্বারা, কোথাও আকৃতি এবং কার্য্য দ্বারা, আর কোন স্থলে বংশ বর্ণন দ্বারা প্রকাশ করিয়াছেন । অপর, বাসনাজনিত দোষ সকলের উৎপত্তি, বিনাশ, এবং ਲੇ দোষ নিবারক যোগাঙ্গ গুণগণের প্রাকট্য করিয়া স্বর্গ, চিরস্বর্গ, জীবন্মুক্তি, ও নিৰ্ব্বাণ মুক্তি বর্ণন করিয়াছেন । এই ত্রীরামায়ণ গ্রন্থে বর্ণিত স্থল স্থল বিষয় প্রায় সকলেরই যথাশ্ৰুতার্থ জ্ঞাত আছে। অতএব তদর্থের অনুবাদে বিশেষ যত্ন না করিয়া কেবল বিষয় জ্ঞাপনার্থে সজেকপতঃ প্রকরণানুবাদ সহকারে মহামুনির ছলোক্তি ব্যাকার করণে যত্নবান হওয়াই অভিসন্ধেয় । ফলতঃ গ্রন্থের আরস্তাবধি সমাপ্তি পৰ্য্যন্ত প্রতি প্রকরণে মহামুনির অভিপ্রেত যে সাধনাত্মক-বেদান্তভাগ তাহাই প্রকট করণে এই ক্ষুদ্রমতির অভিলাষ । মহামুনির ছলোক্তি করণের কারণ এই বোধ হয় যে, সাধনাত্মক বেদান্তবাদ স্পষ্ট কহিলে সাধনে অযোগ্য ব্যক্তি ও পুস্তক দর্শনে লুব্ধ হইয়া সাধনে প্রবৃত্ত হইবে। পরস্ত, সম্যক সাধন করিতে ন পারিয়া তজ্জন্ত দোষে বহু কষ্ট ভাকু হইতে পারে ; ইহা বিরাধ যোজন বাহু প্রকরণে ব্যক্ত হইয়াছে। অথবা, ইহাই কবির অভিপ্রায় যে, অদ্বিতীয় পরমানন্দ শ্রীরাম, র্যাহার একাংশে অনন্ত কোটি জগৎ, তাহার পরপুত্রত্ব বনবাসাদি, ও শত্রু মিত্র ভাবাদি, কদাপি সঙ্গত হয় না, যেহেতু তিনি সৰ্ব্বোপাস্যরূপে সৰ্ব্বশাস্ত্রসিদ্ধ। অতএব স্থবোধ ব্যক্তির অবশ্যই যথাশ্ৰুতার্থে সন্দিগ্ধ হইয়। অর্থাভরাঙ্গুসন্ধান দ্বারা বেদাভার্থ গ্রহণ