পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বনাথ-রামায়ণ । * ১৫ সাৰ্দ্ধযোগজন দূরে সরযুর কুল পৰ্য্যন্ত গমন করিলে বিশ্বামিত্র, হে স্ত্রীরাম! এই মধুর ধ্বনির দ্বারা রামচন্দ্রকে আহ্বান পূর্বক কহিলেন, সম্প্রতি বলা এবং অতিবলা নামক মন্ত্রদ্বয় গ্রহণ কর, কালতিক্রম কৰ্ত্তব্য নহে। মন্ত্রদ্বয়ের ফলে, শ্রম এবং শ্রমজনিত ফুঃখ বোধ হয় না, রূপের অন্তভাবও হয় না, নিদ্রিত বা অনবহিত থাকিলেও রাক্ষসের অভিভব হয় না, ত্রিলোকমধ্যে বাহুবলে কোন ব্যক্তি সমান হয় না, এবং সৌভাগ্য, পটুতা, জ্ঞান, বিষয়-বুদ্ধি এবং বাদীর প্রতি উত্তর কথন প্রভৃতিতে কোন ব্যক্তিই সমান হয় না । সকল জ্ঞানের প্রস্থতি স্বরূপ এই বিদ্যাদ্ধয় । লব্ধ হইলে ক্ষুধাও পিপাসা হয় না, এবং ইহলোকে অধিক যশ হয় । এই দুই বিদ্যা ব্ৰহ্মার প্রকাশিত এধং তেজোযুক্ত ; ইহা প্রদানের তুমিই উপযুক্ত পাত্র; তোমাতে অৰ্পিত হইলে উক্ত গুণ সকল আরও অধিক হইবে, আমার তপস্যাদ্বারা পরিপূর্ণ এই মন্ত্রদ্বয় তোমার অধিষ্ঠানে নানা কাৰ্য্যের সাধন করিবে (১) + অনন্তর শ্রীরাম জলস্পর্শপুৰ্ব্বক বিশ্বামিত্র মহর্ষি হইতে ফল-সিদ্ধি রসহিত মন্ত্রগ্রহণ করিয়া শরৎকালীন মধ্যাহ্ন স্বর্ষ্যের দ্যায় তেজঃপুঞ্জরূপে প্রকাশমান হইয়া বিশ্বামিত্র বিষয়ে যাবৎ গৌরবান্বিত কাৰ্য্য আপ তাৎপর্য্যার্থ। ১ । বিশ্বামিত্র অর্থাং কৰ্ম্মকাণ্ডবেদ । তাহার ‘প্রথম ভাগ কাম্য কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে পরিপূর্ণ। ফলতঃ অদ্বৈতজ্ঞান প্রায় কোন সাধকেরই প্রথম অবস্থায় উদ্বুদ্ধ হয় না। বয়োবৃদ্ধিসহকারে রাগের উপশম হইয়। আসিলে অদ্বৈতজ্ঞানের স্ফূৰ্ত্তি হয় এবং তখন স্বকৃতকৰ্ম্ম সমুদায়, রামরূপ অদ্বৈত পরমেশে সমৰ্পিত হয়। বিশ্বামিত্র নিজকৃত পূৰ্ব্বতপস্যাদির ফল সমূহ শ্রীরামে সমর্পণ করিয়া বিশুদ্ধহইলেন। অতএব কৰ্ম্মকাণ্ড, অদ্বৈতজ্ঞান এবং নিষ্কামতায় পরিণত হওয়া যে আবশ্যক, ইহাই এস্থলে কথিত হইল। বিশ্বামিত্র কোন ব্যক্তিবিশেষ হইলে এবং র্তাহাকে ক্রীরামের মন্ত্রদীত বলিয়া বর্ণন করিবার অভিপ্রায় থাকিলে, মহর্ষি বাল্মীকি এস্থলে কোন অঙ্গ-ভঙ্গ না করিয়া গুরুকে দক্ষিণাদান প্রভৃতি শিষ্যের অবশ্য করণীয় ব্যাপার সমস্ত বর্ণন করিতেন । *. թ