পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× \ყ· আদিকাণ্ড । নাতে আরোপণ পূর্বক লক্ষণ এবং বিশ্বামিত্রের সহিত সেই রাত্রি সরযুতীরে পরম সুখে যাপন করিলেন । I পর দিন প্রভাতসময়ে বিশ্বামিত্ৰ কহিলেন, হে রামচন্দ্ৰ ! তুমি পুত্র হওয়াতে কৌশল্য শোভনারূপে খ্যাত হইয়াছেন । এতাদৃশ সৎপুরুষের প্রাতঃসময়ে শয়ন অনুচিত,—গাত্ৰোখান কর, দিবাকৰ্ত্তব্য যে দৈবাকুষ্ঠান, তাহার সময় উপস্থিত হইয়াছে (২) । লক্ষ্মণের সহিত ত্রীরাম ঋষিবাক্যে গাত্ৰোখান করিয়া কৰ্ত্তব্য ক্রিয় সমাপন পূর্বক ঋষির অভিমুখে অতি হৃষ্ট হইয় তাহাকে গসনামুমতিক বাক্য বলাইয় গমনোদ্যত হইলেন। পরে গঙ্গা সরযু-সঙ্গমস্থলে উপনীত হইয়া বহুকালাবধি পরম তপস্যাকারী ঋষিদিগের অতি পবিত্র তপোবন দর্শনে প্রীত হইয়া, কাহার এই আশ্রম ? কোন ব্যক্তি ইহাতে বাস করেন ? বিশ্বামিত্রকে জিজ্ঞাসা করিলে বিশ্বামিত্ৰ কহিলেন—এই তপোবনে শিবাবতার রুদ্রদেব পূৰ্ব্বে তপস্যা করিতেন। কোন সময়ে মূৰ্ত্তিমান কন্দৰ্প তাহার মনের বিকার জন্মাইয়। র্তাহীকে বিবাহোম্মুখ করিবার নিমিত্ত যত্ন করিলে, ভগবান রুদ্রদেব হুঙ্কার-সহকারে তৃতীয় চক্ষুদ্বারা ঈক্ষণ করাতে কন্দপের শরীর দগ্ধ হইয়া বিশীর্ণ হয় । পলায়মান কন্দপের অঙ্গ যে দেশে পতিত হয়, সেই দেশ অঙ্গদেশ নামে খ্যাত হয় । তদবধি কন্দপও রুদ্র, ক্রোধে শরীররহিত হইয়া অনঙ্গ নামে খ্যাত হইয়াছেন (৩)। সম্মুখবর্তী এই আশ্রম ভগবান তীরন্দ্রদেবের। ইহাতে শিষ্যপরম্পর ক্রমে ঐরুদ্রশিষ্য সকলে বাস করেন। ইহাদিগের পাপ নাই। অদ্য এই স্থলে অবস্থান হউক। க ψΕμμαν তাৎপৰ্য্যার্থ। ২। বিশ্বামিত্র স্বয়ং পূৰ্ব্বে গাত্ৰোখান করিয়া ঐরামের অববোধ করাতে র্তাহার গুরুত্ব বোধ হয় না । কারণ শিষ্যের ধৰ্ম্ম পশ্চাৎ শয়ন ও পূর্বে অববোধ। বস্তুতঃ বিশ্বামিত্র নিত্যক্রিয়া সমাপনান্তে ভ্ৰমূৰ্ত্তির গাত্রেী খাপন পূর্বক প্রাতঃপুজাদি করিলেন, ইহাই কবির তাৎপৰ্য্য। ৩। ক্রোধাদির উদ্ভাবন দ্বার কামের রূপ বিশেষ বিনষ্ট হইতে পারে ; কিন্তু উহ। অনঙ্গব। অমুর্ত্য হইয় থাকে। মনের অমনীভাব ন হইলে অর্থাৎ ৷ সঙ্কল্প-পূন্তত না জন্মিলে, কামের মূল যে অনুদি-বাসন। তাহার বিনাশ হয় না ।