পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব থি, রামায়ণ । ,> ግ পর দিন প্রাতঃকালে ঐ আশ্রমবাসী মুনিদিগের আনীত নৌকা দ্বার। গমন সময়ে গঙ্গ-মধ্যে জল-সঙ্ঘর্ষ-জনিত তুমুল ধ্বনি শ্রবণ করিয়া শ্রীরাম বিশ্বামিত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কি কারণে জল সভঘর্ষের অত্যন্ত নদ হই• তেছে ? বিশ্বামিত্ৰ আছলাদপুৰ্ব্বক ক্লছিলেল-স্বষ্টিকৰ্ত্ত ব্ৰহ্মা আপন ইচ্ছাবশতঃ কৈলাস পৰ্ব্বতে এক অতি বৃহৎ সরোবর নিৰ্ম্মাণ করেন । সেই সরোবর মানসসর নামে খ্যাত । ঐ সরোবর হইতে জল নিঃস্থত হইয়। যে নদী জন্মে, তাহাকে সরযু কহে । সরযু নদী অযোধ্যাপাশ্ব দিয়া অtগমন করত এই স্থানে গঙ্গাতে মিলিত হইতেছে । তৎপ্রযুক্ত উভয় জলের ক্ষোভ জন্ত এই অতুল ধবনি হইতেছে । এই সকল কথা প্রসঙ্গে তাহারা গঙ্গার দক্ষিণকুল প্রাপ্ত হইলেন। অনন্তর অতি ঘোর সিংহ-ব্যtভ্রাদি-শ্বাপদগণে পরিপূর্ণ, লোকের গমনাগমন মার্গবিহীৰ অতি দারুণ পথ (৪) দেখিয়া খ্রীরাম মহর্ষিকে জিজ্ঞাসা করিলে, মুনিবর কহিলেন,—পূৰ্ব্বে দেবনিৰ্ম্মিত অতি সমৃদ্ধ মলদ এবং করুষ নামক এই দুই দেশ গঙ্গাসমীপে বিখ্যাত ছিল । ইন্দ্র, ব্ৰাহ্মণসন্তান বৃত্ৰ-নামক অসুরকে বধ করিলে ক্ষুধা এবং মালিন্তের সহিত ব্ৰহ্মহত্য ইন্দ্রশরীরে প্রবেশ করাতে, দেবগণ ইন্দ্রের পাপ-মোচনার্থ সহস্ৰ কলস গঙ্গা জল স্বারা তাহার অভিষেক করেন (৫)। ইন্দ্র তাহাতে নিৰ্ম্মল এবং নিস্করুষ হইয়া (৬)মলদ এবং (৭) করুষ নামে দেশদ্বয়ের খ্যাতি বৃদ্ধি করেন । তাৎপর্য্যাৰ্থ । ৪ । সাধকবর্গের অবশ্যই হৃদগত হইবে যে,কোন মহাপাঠাদিতে সাধনোদ্যম কালে নানা ভয়-প্রদর্শক বস্তুর উদ্বোধ হইয়া থাকে । এই জন্য সাধারণ লোকে ঐ সকল স্থানে সৰ্ব্বদা যায় না। কদাচিৎ কোন সিদ্ধির আকাজলই তথায় গমন করেন । ৫ । গঙ্গাতীরে সহস্ৰ কলস জলে অভিষেক মাত্র ইন্দ্রের ব্ৰহ্মহত্য পাপরূপ মল দূর হওয়া এবং তজ্জন্য ক্ষুধা পীড়া নষ্ট হওয়া, বর্ণন করায় গঙ্গাতীরের সিদ্ধভূমিত পরিচিত হইল । এ স্থলে জপযজ্ঞাদি ৰে অবশ্যই সিদ্ধিদায়ক হয়, ইহা নিঃসন্দিগ্ধ । * ৬। মলং পাপং দায়তি শোধয়তি মলদঃ ইতি । দৈপ শোধনে ধাতু । ৭ । করুষ শব্দ ক্ষুধাবাচক ।