পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বtাথ রামায়ণ । , २१ প্রাপ্ত হইবে। বিশ্বামিত্ৰ কহিতে লাগিলেন—এই গাধি (১) আমার পিতা— অতএব আমি কুশ-বংশ-প্রস্থত। আমার পূৰ্ব্বজাত ভগিনী কৌশিকী (২) ধৰ্ম্ম বলে এবং কৰ্ম্মবলে স্বর্গপ্রাপ্ত হইয়া পরে লোকোপকারার্থ হিমালয় পৰ্ব্বতকে আশ্রয় করত সরস্বতী মহানদীরূপে লোকে বিশ্রত হইয়াছেন । আমি সেই ভগিনীর প্রতি স্নেহবশতঃ তাহার নিকটবাসী ছিলাম। ইদানীং সিদ্ধাশ্রম প্রাপ্ত হইয়া আপনকার তেজঃপ্রভাবে সিদ্ধ অর্থাৎ চেতনাধিষ্ঠিত হইয়। সচেতন হইয়াছি। হে শ্রীরামচন্দ্র | এতদ্দেশবিষয়ক যে প্রশ্ন, তাহার উত্তর এবং তদানুপূৰবী বশতঃ আপন বংশও কীৰ্ত্তিত হইল। (৩) তাৎপর্য্যtথ । ১ । গাধি—গাধ গুম্ফনে ধাতুঃ । অর্থাৎ উদ্ধে উদ্ধে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যে ধবনি । উদাত্মদিস্কররূপে নির্গত যে বাত্ময় বেদ অর্থাৎ বিশ্বামিত্র তিনি গাধি হইতে জাত । ২। বাত্ময়ের পূৰ্ব্বজাত ভগিনী, বাত্ময়ের অধিষ্ঠাত্রী—সরস্বতী। ৩। এই প্রকরণের তাৎপৰ্য্য এই যে,ব্ৰহ্মা বা জীব-সমিষ্টি হইতে পৃথকরূপে প্রাচুভূত ‘কুশ’ শব্দ বাচ্য জীব,আমি অনেক হই, বৈদৰ্ত্তীরূপ এই ইচ্ছার গ্রহণপূর্বক প্রথমে কুশাস্ব’ অর্থাৎ মায়াযুক্ত,অনন্তর ‘কুশনাভ অর্থাৎ শরীরধারী হয়েন। ঐ শরীরজাত কন্যা রূপ শক্তি সকল জড়-অতএব উহার প্রাণ বায়ুর বলে ক্ষুব্ধ মাত্র হয়, বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যকারী হইতে পারে না । পরে উৰ্ম্মিল অর্থাৎ নানা বাসনাময়ী প্রকৃতি হইতে বিশুদ্ধ মনঃশক্তি জন্মিয়৷ তৎ ক্রোড়ে পরিপুষ্ট, লিঙ্গশরীরকে আশ্রয়কারী, কাম্পিল্য পুরবাসী ব্ৰহ্মদত্ত’ জীবের অঙ্গীকারে শরীর শক্তি সকল অকুষ্ঠিত হইয়া বিলাস করিতে থাকে । গাধি অর্থাৎ উদ্ধে উৰ্দ্ধে ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত যে অতি সূক্ষ্মধ্বনি, তাহ প্রথমতঃ মূলাধারে পশ্যন্তীশক্তির ষোগে প্রবল বায়ুর দ্বার জন্মে । ক্রমে অনাহত চক্রে মধ্যমাশক্তি সহকারে অপেক্ষাকৃত স্থল হইয়া নাদ জন্মে। পরে কণ্ঠমূলে বিশুদ্ধ চক্রে বৈখরী শক্তি যোগে স্বরের এবং বর্ণের পুর্বরূপ হয় । তৎপরে মুখ হইতে ব্যঞ্জনবর্ণ, স্বর এবং উভয়ৰোগী মাত্র । রূপে নির্গত হয় । এই গাধির পুত্র জগতের পরম বন্ধু বাত্ময় বেদভাগবিশ্বামিত্র। ইহঁার পুৰ্ব্বজাত ভগিনী স্বরসতী বাত্ময়ের অধিষ্ঠাত্রী । বেদ স্বয়ং