পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদিকাণ্ড । 8 À

এই ঘোর দেবামুর যুদ্ধে দিতির বহু পুত্ৰগণ মুত হওয়াতে দৈত্যমাতা তাৎপর্য্যাৰ্থ । এবং ভেদ-জ্ঞান বিনষ্ট না হইলে অর্থাৎ ঐ বাহ বিভিন্নতার মধ্যে একত্বজ্ঞানরূপ অমৃতের সঞ্চার না হইলে, জগৎ দুঃখে দগ্ধ হয় । কিন্তু ভেদ, বুদ্ধির রাহিত্য হইলেই যে, মন্থন কার্ষ্য অর্থাৎ সংসারের দ্রব্য-বিচারণ-কাৰ্য্য, সুনিৰ্ব্বাহিত হইতে পারে, তাহা নহে । অভেদ বোধের সাক্ষাৎ প্রথম ফল এই ৰুে, স্বর্গ সম্বন্ধীয় যে ভাবের আলম্বনে কাৰ্য্যারম্ভ হইয়াছিল, সেই ভাবটাঁ অপকর্ষ প্রাপ্ত হয়—অর্থাৎ মন্দর স্বষং পাতালে প্রবেশ করিতে থাকে । তখন ভগবান স্বয়ং এই সংসারে বিরাজ করিতেছেন, এবং স্বৰ্গসম্বন্ধীয় উৎকর্ষ ভাবগুলির উদ্ধাধোক্কপ অবলম্ব হইয় আছেন, এই প্রতীতি দৃঢ় ন হইলে আর কোন যত্নই হয় ন—অর্থাৎ পালনকৰ্ত্ত বিষ্ণু কমঠরূপে মন্দরের আধোভাগ এবং স্বহস্ত দ্বারা তাহার উদ্ধদেশ ধারণ না করিলে, মন্থনকাৰ্য্য চলিতে পারে না । 輸 পরন্থ, ভগবান সংসারে অাছেন, এবং স্বৰ্গ সম্বন্ধীয় বোধ সকল তাঙ্গরই হস্তধৃত অতএব অলীক নহে—এইরূপ জ্ঞান দৃঢ় হইয়া বস্তুগুণের বিচার চলিতে থাকিলে সকল শিল্প-শাস্ত্রের শিরোভূত যে আয়ুবেদ শাস্ত্র তাহার জন্ম হয়, অর্থাৎ ধিন্বন্তরি উঠেন’—তিনি তপস্যাপরায়ণ এবং ব্রহ্মচারী— অস্ত্র চিকিৎসাযন্ত্ররূপ দণ্ড এবং ভেষজপত্রেরূপ কমণ্ডলু তাহার হস্তস্থিত । তাহাব পর অতি তরল ইন্দ্রিয়বৃত্তি সকল ও ‘অন্সরা’রূপে উঠে । তদনন্তর উচ্চৈঃস্ৰবা’ অথবা সংসারে যশের চিরস্থায়িত্ব এবং ‘কোস্তুভ’ অথবা কৃভপুণ্য কৰ্ম্মের অবিনশ্বরত্ব অনুভূত হইয়া যায়। মনের হর্ষ, প্রহর্ষ বা মদ্য ও স্থিত হয়। উহা দেৱতার অর্থাৎ বাহার জগতের স্থিতি-পক্ষপাতী, তাহা এই গ্রহণ করেন, আমুরের অর্থাৎ র্যাহারা মুক্তি পাইবার জন্য সচেষ্ট, তাহার ংসার মন্থন-জনিত আনন্দের উপভোগে রত হযেন না। কিন্তু প্রকৃত অমৃত বা মুক্তি যাহা সংসার মন্থনেই লভ্য, অস্বরে তাহাও প্রাপ্ত হয় না ; রাক্ষসেরা অর্থাৎ মোহধৰ্ম্ম সকল অ'সিয়া তাহাদিগের সহিত যোগ দেয়—অর্থাৎ তাহারা মুক্তিমাত্র পাইবার নিমিত্ত নিক্রিয় এবং অলস ও ভীত এবং প্রমাদযুক্ত হইয়া পড়ে। সংসারকার্য্য সমূহ হইতে মুক্তিকে পৃথক্ভূত জ্ঞান