পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Wり বিশ্ব-পরিচয় স্বর্যাকরণের সঙ্গে জড়ানো এমন অনেক ঢেউ আছে, যার অতি অল্প পরিমাণে আসে ব’লে অনুভব করতে পারিনে । এমন ঢেউও আছে যারা প্রচুর পরিমাণেই নেমে আসে, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল তাদের আটক করে । নইলে জলে পুড়ে মরতে হোত । সূর্যের যে পরিমাণ দান আমরা সইতে পারি প্রথম থেকেই তাই নিয়ে আমাদের দেহতন্ত্রের বোঝাপড়া হয়ে গেছে । তার বাইরে আমাদের জীবনযাত্রার কারবার বন্ধ । বিশ্বছবিতে সব চেয়ে যা আমাদের চোখে পড়ে সে হোলো নক্ষত্ৰলোক, আর সূর্য, সেও একটা নক্ষত্র। মানুষের মনে এতকাল এরা প্রাধান্ত পেয়ে এসেছে । বতমান যুগে সব চেয়ে মানুষকে আশ্চর্য করে দিয়েছে এই বিশ্বের ভিতরকার লুকানো বিশ্ব, যা অতি সূক্ষ্ম, যা চোখে দেখা যায় না, অথচ যা সমস্ত স্থষ্টির মূলে । একটা মাটির ঘর নিয়ে যদি পরখ ক’রে বের করতে চাই তার গোড়াকার জিনিসটা কী, তাহলে পাওয়া যাবে ধুলোর কণী । যখন তাকে আর গুড়ে করা চলবে না তখন বলব এই অতি সূক্ষ্ম ধুলোই মাটির ঘরের আদিম মালমশলা । তেমনি. করেই মানুষ একদিন ভেবেছিল, বিশ্বের পদার্থগুলিকে ভাগ করতে করতে যখন এমন সূক্ষ্মে এসে ঠেকবে যে তাকে আর ভাগ করা যাবে না তখন সেইটেকেই বলব বিশ্বের আদিভূত, অর্থাৎ গোড়াকার সামগ্রী। অামাদের শাস্ত্রে তাকে বলে পরমাণু, য়ুরোপীয় শাস্ত্রে বলে অ্যাটম । এর। এত সূক্ষ্ম যে