চতুর্বর্গে ফল বিচার
গা সওয়া হয়ে যাবার পর তবে সমবায়ে চাষাদের ডাক পড়ল, তখন কাজ হাসিল করতে বেশি বেগ পেতে হল না।
তার পর খ্রীস্টানমহলে রব উঠল—বিপ্লবী-পুঁথির কুশিক্ষায় চাষাদের ধর্ম নষ্ট করে তাদিকে নাস্তিক বানিয়েছে।
এ সিকায়তে আমরা কি সায় দিতে পারি। প্রথমত একটি বিশেষ খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বিগ্রহে, ক্রিয়াকর্মে, আস্থা হারানোকে, বা তারা ভগবানের যে স্বরূপ প্রচার করে তার মাহাত্ম্য স্বীকার না করাকে, কেমন করে নাস্তিকতা বলা যায়।
তবে বিপ্লবীরা এমন কথা কেন বলে—“গরীবের তিন শত্রু,—“ধনী, শয়তান, আর ভগবান। ধনীকে তাড়িয়েছি, শয়তানে আর বিশ্বাস করি নে, এখন ভগবানকে বিদায় দিলেই হয়।” এ কথা শুনে ভক্তেরা কানে হাত দেবেন, আমাদের বদন কিন্তু অম্লান থাকে। এমন কি, জানতে ইচ্ছে করে, “ভক্তদের হাত থেকে বাঁচাও”——ভগবান কখনো এমন আক্ষেপ করেন কি না।
চাষারা যখন রাজ-আমলার আর জমিদারের নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে জেরবার হয়ে পড়েছিল, দিনের পর দিন বছরের পর বছর সুখ দুরে থাক্ সোয়াস্তি কাকে বলে তাই জানত না, তখন ধর্মযাজকদের কাছে না মিলল ন্যায়ের প্রতীকার না প্রতিবাদ, পেতে পেল ফাঁকা উপদেশ —“সবই তাঁর ইচ্ছে, নিজের অবস্থায় সন্তুষ্ট না থাকা মহাপাপ।”
বিপ্লবের ঝাঁকানি খেয়ে তাদের বুদ্ধি যখন একটু খুলে গেল, তখন যাঁকে যন্ত্রণাময় অবস্থার মূল কারণ বলে বুঝিয়ে দিয়েছিল, তাঁকে “মিত্র” বললে ভাষার একটু উলটো প্রয়োগ হত না কি।
তার চেয়ে, আমাদের শাস্ত্রের উপদেশমতো তাদিকে যদি বোঝানো হত যে, “তাঁর শক্তি তোমার মধ্যেই; তাঁর ইচ্ছায় নয়, তাঁর অভাবে
১৪৬