পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বে মহিমি কবি শেলি দিয়েছেন : সভায় সত্তা মিশে যাওয়া (in one another's being mingle )—যদিও পাশ্চাত্য পাঠকরা এ ভাষার সে মানে ধরেন কিনা সন্দেহ )। এই ধাপ ধরে উঠলে প্রণয়ীযুগল চরম অবস্থায় পৌছতে না পারবে কেন। কিন্তু বিয়ের মন্ত্রপড়াগোছের কোনো কৃত্রিম তুষ্কতাকে প্রেম হয় না ; তাছাড়া, না হতেই হয়েছে মনে করায় বা বলায় লাভই বা কী । অতে উলটে প্রেমের পথে বাধা পড়ে । এই ভূমিকার পর নরনারীসমস্ত আর একটু খুটিয়ে দেখা যেতে পারে। প্রকৃতির নির্দেশমতো বরকনের মিলনের পথে জাতকুলমেল যত রকমের বাধা ছিল, তার মধ্যে ক্রমশ প্রধান হয়ে দাড়াচ্ছে টাকা । তার প্রথম ফল এই যে, যে-ছেলে সুবিবেচক, দূরদর্শী, সে বিয়ে করছে না, যারা ছ্যাবৃলা, কাণ্ডজ্ঞানরহিত, তারাই নিখাকী বংশ বৃদ্ধি করে অশেষ যন্ত্রণার স্বষ্টি করছে। সমাজের গতি তাতে নিচের দিকেই চলেছে । যথাকালে উপযুক্ত পাত্রপাত্রীর বিয়ে না হওয়ায়, প্রকৃতির তাড়নায় নানা সামাজিক উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সামান্ত ক্রটির সোজাসুজি সংশোধন না করে তার উপর মহাপাতকের বোঝা চাপিয়ে প্রণয়ঘটিত অপরাধের এমন ভীষণ মূতি খাড় করা হয় যে, সাহায্য করতে কেউ এগোয় না, খালি সাজার কথাই ভাবে। কিন্তু যতই রাগ হোক, সমাজ তো শক্তের বাঘ হতে সাহস পায় না, কাজেই যে অবলা আইনের আশ্রয় পায়নি, যে শিশু বিনামন্ত্রের আমন্ত্রণে ধরায় এসে পড়েছে, চোটপাটটা তাদের উপরেই গিয়ে গড়ে। নরনারীসমস্তা তো নয়, অবলা শিশুসমস্তাই বলতে হয়। সমাজের ক্ষয়ের এই অপর কারণ। সমাজবুদ্ধের কপাল চাপড়ান, পাহারা কড়া করেন, সাজা বাড়াতে 为电食