পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন হি কল্যাণকৃং দুর্গতিং গচ্ছতি নিজেকে সরিয়ে রাখে, তাহলে তার উপরে ওঠার বাধা না হলেও পথের আনন্দ থেকে সে বঞ্চিত থাকে। মনে পড়ে সেই ইংরেজকে ষে পাহাড়েচড়ার গাড়িতে বসে, জানলার দিকে পিঠ ঘুরিয়ে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে পথের সময়টা কাটিয়ে, উপরে পৌঁছে একেবারে হোটেলাননো বিলীন হল । শুধু বঞ্চিত হওয়া নয়, এতে ভয়ও আছে। পরমার্থকে এক উপৃভোগের বাসনা স্বার্থের মতোই দিশহারা করে দিতে পারে। এ অবস্থার একটি তিববতী বর্ণনা আছে। সংঘত্যাগী সাধক অভীষ্ট লোকের সন্ধানে বেরিয়েছে। পুবদিকে জলাশয়ের চিহ্ন দেখে স্বানের ইচ্ছায় সেদিকে চলল ; পথে উত্তরদিকে ধেীয়া দেখে গৃহস্থের আতিথ্যের লোভে সেদিকে ফিরল ; মাঝের জঙ্গলে বিভীষিকা দেখে ভয়ে দক্ষিণে দৌড়ল পথিকের কাছে পশ্চিমদেশের গুণবর্ণনা শুনে অবশেষে পশ্চিমেই যাত্রা করল,— এই রকম লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার ভ্রমণ । আমাদের ধারণ এই, আধা-আলোর জায়গায় এসে খেলুড়ে যদি মনে করে কেল্লা মেরে দিয়েছি, তাতে তার আবেগ মিটে গিয়ে তেজও টানতে পারেন, আর উপরে উঠতেও পারে না, পাচরঙা লোকে ঘুরে বেড়াতেই থাকে,-যে অবস্থাকে হারের সামিল বলা হয়েছিল। আননাটানার ক্ষমতা থাকায় যে উঠতে পারে, সে যদি আনন্দ বিলবার কারণে, কনিষ্ঠ সাথীদের স্তরে থেকে যায়, তাহলে মাঝপথে আনন্দ আদান প্রদানের একটা উপরি খেলা চলে। এ রকম খেলুড়ের ভাৰ বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের মতো, যিনি বলেছিলেন—“যতক্ষণ না সবাইকে সঙ্গে নিতে পারব, ততক্ষণ মোক্ষ পাবার অধিকারী হলেও আমি তা নেব না।” ঘটনাক্রমে এ রকম জ্যেষ্ঠ যাত্রীর উদবুত্ত আনন্দের সঙ্গে কনিষ্ঠের ➢ ግ¢