বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জলের কথা

পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মাইল লম্বা এক জল-পথের জাল তৈরি হয়, যাতে ক’রে বাণিজ্যের উপর বসে লক্ষ্মী অনায়াসে রাষ্ট্রের এপার ওপার চলাফেরা করতে পারবেন।

 তা বাদে পঞ্চবার্ষিক সংকল্প চালাবার কেমন সুবিধে হবে ভাবো দেখি।

 কয়েদীর মতো মাটিতে-শিকল-বাঁধা চাষা, আকাশ পানে হা-পিত্যেশ করে চেয়ে-থাকা চাষা,—এদের দিন আর থাকবে না। USSR-এর জাদুকাঠির পরশে চাষা হয়ে উঠবে নানা বিদ্যেধর ইঞ্জিনিয়ার। এ-গেট খুলে সাগরে জল ভরো, মাছ বাড়াও; ও-গেট খুলে মরু ঠাণ্ডা করো, ফসল বাঁচাও; সে গেট বন্ধ রেখে প্লাবনের জড় মারো—একাধারে সে ইন্দ্র চন্দ্র বায়ু বরুণের প্রতিনিধি হয়ে এমন সব হুকুম জারি করতে থাকবে।

 এ রকমের বিরাট উদ্যম আমাদের ছন্নছাড়া দেশে সম্ভব হলে, তাতে যদি সিকিম-ভোটানের মাঝখানের দুয়ার দিয়ে তিব্বতের নানা নদীর উদ্বৃত্ত জল সাহেবগঞ্জের কাছ বরাবর গঙ্গায় আনা যেত, তাহলে অন্তত বাংলার নদীগুলো আজ শুখিয়ে মরতে বসত না।

 নদীকে এধারে ওধারে চালাতে হলে বাঁধ বাঁধাই সেরা উপায়। কিন্তু যে দেশে উঁচু নিচু, শক্ত নরম হরেকরকমের জমি, সেখানে অনেক দেখে শুনে এ কাজ করতে হয়। বালির বাধের বিপদ তো জানাই; তলায় মরা পাথর আছে কি না তাও দেখা দরকার নইলে ধসে যাবার ভয়; নিচের মাটি যদি ফোঁপরা থাকে জল চুঁইয়ে বেরিয়ে গিয়ে কাজ নষ্ট। তা বলে, বাঁধ মজবুত হলেই যে ঝঞ্ঝাট মিটল, তাও নয়।

 মনে করো এক বাঁধবিৎ ঘাড়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে অনেক খুঁজে পেতে

৪১