পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ তিনি মুড়ি দেখে, আশপাশের পাথরের গায়ে আঁচড়ের দাগ দেখে সেই পুরাকালের বরফীনদীর পথ ধরে চলতে লাগলেন, ৪০/৫০ মাইল যেতে না যেতেই পাহাড়ী জমির মধ্যে তামার খনি পেয়েও গেলেন। তবু থাকে একটা সমস্তা। এক সময় যেখানে বরফীনদী ছিল, আজ সেখানে মামুষের বসবাস,—এমনটা হয় কী করে। এ নদী হচ্ছে সেই কল্পের যখন পৃথিবীর উত্তর ভাগের সবটাই মেরুর মতো বরফের রাজ্য ছিল। ক্রমে ভৌতিক ক্রিয়ার গতিকে বরফ যুগ কেটে গিয়ে যুরোপ-এসিয়ার উপর ভাগ মানুষ থাকার উপযোগী হল। যদি কালে ভূখণ্ডের নড়াচড়ার গতিকে সমুদ্রের মধ্যে গালুফ, স্ট্রীম্ নামের গরম জলের যে ধারা চলাচল করছে তার স্রোত অষ্ঠ দিকে ঘুরে যায়, তখন ইংল্যাও আইসল্যাণ্ড হয়ে যাবে,—কিন্তু তখনো কি ব্রিটিশ সাম্রাজ্য জমাট বেঁধে থাকবে। পাহাড়ের উপরকার কোনো পাথরের গায়ে হাত দিলে সেটা সেখানকার হাওয়ার মতোই ঠাণ্ড ঠেকবে। কিন্তু পাহাড়ের ভিতরটা বিলক্ষণ গরম। রেললাইন চালাবার জষ্ঠে যখন সুরঙ্গ কাটে, পাহাড়ের মাঝামাঝি পৌঁছে এত তাত বাড়ে যে কাজ করাই মুশকিল। মাটির নিচে গর্ত খুড়ে চললে সেখানেও গরম, যত তলানো যায় তত তাপ। শীত দেশেরও গভীর খনিতে যারা কাজ করে তারা গায়ে জামা রাখতে পারে না । মার্কিন দেশে একটা পাথর-তেল তোলার নল দুমাইল নিচে পর্যন্ত নামালো হয়েছে, তার তলায় জল আপনি স্ট্রম হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলেন ১৫৷২০ মাইল নিচে পাথর-গলা তাত । মোট কথা, আমরা যে ভূমির উপর বাস করি, বড়ে বড়ো ইমারত তুলি, যাকে স্থাবরের আদর্শ বলে মানি, সেটা গলা ধাতুর উপর ভাসছে বললেও হয়। ২-২৫ মাইল নিচে যা কিছু আছে—শোনা, রুপে, & Q.