পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতালের কথা তাতে সে জল স্ট্রমের ফোয়ারা হয়ে মাটির ফঁাক ফুড়ে বেরয়, কিম্বা ধাতুগোলা গরম জলের উৎস হয়ে দেখা দেয়। যদি গোড়ার চাপের জোর খুব বেশি হয়, যাতে ফাটলের উপরকার মুখ আরো ফাক হয়ে মাতৃকার স্রোত তোড়ে উথলে ওঠে, তাহলে সেরকম ফাট-মুখ পাহাড়কে বলে আগ্নেয়গিরি। বেরবার মুখ যদি ছোটো হয় বা মোটেই না থাকে, তাহলে চাপের মধ্যে ঠাণ্ডা হলে তরল ধাতুগুলো ফটিকের মতো দানা বেঁধে ধনীর পছন্দসই পাচ রকম মণি হয়। এই হল এক ধরনের খনির জন্মবৃত্তান্ত। এ কাহিনীর পরিচ্ছেদে পরিচ্ছেদে ভূখণ্ডগুলোর নড়াচড়ার সময়, ভূমি কেঁপে কেঁপে উঠে মামুষের তৈরী ঘরবাডি, কখনো বা মামুষের প্রাণসমেত, নষ্ট করে। ভূতের এই উপদ্রবকে মামুষের পাপে দেবতার কোপ বলে কেউ কেউ ব্যাখ্যা দেন। জনকয়েকের অপরাধে স্থানবিশেষের আবালবৃদ্ধবনিতাকে সাজা দেওয়ার রোগ মানুষের নেতাদের মাঝে মাঝে দেখা যায় বটে, কিন্তু এরকম অদ্ভুত বিচারনীতি দেবচরিত্রে আরোপ করায় তাদের মহিমা কতদূর বাঙানো হয়, সে বিচারের ভার শ্রোতার উপর রইল। ধাতুপাথর ছাড়া অপর পদার্থের খনি জন্মাবার ধারা অন্তরকমের। মাতৃকায় ভাসা দেশগুলোর ওঠানামার গতিকে কোনো ডাঙা যায় সাগরতলায় নেবে, কোনো সাগর আসে ডাঙার উপর চড়ে, যে ডাঙা তলিয়ে যায়, তার উপর সমুদ্রের অগুনতি শামুক-ঝিনুক-জাতীয় প্রাণীরা মরার সময় তাদের চুনের খোলস, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, শতাব্দীর পর শতাব্দী সমুদ্রের তলার উপরে ফেলতে থাকে। এভাবে কয়েক যুগ কেটে গেলে পর, যখন সে সাগরের জল আবার সরে পড়ার পালা পড়ে, তখন তার সেই তলা আবার হয় ডাঙা, কিন্তু আগেকার সে & R