পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । জয় শয়নকক্ষে নিদ্রাভিভূত। সিদ্ধ কাটিয়া জলিল ও তাহার অনুচরেরা নিঃশব্দপদসঞ্চারে সেস্থানে প্ৰবেশ করিল। পিলসুজে প্ৰদীপ জ্বলিতেছে। উহার আলোকে আলোকসামান্য যুবতীর স্বভাবসুন্দর মুখখানি আরও সুন্দর, আরও দীপ্ত হইয়া উঠিয়াছে। জলিল একদৃষ্টি সেই অপূৰ্ব্ব শ্ৰী দেখিতে লাগিল এবং উহাতে অসংখ্য সুষম সপ্ৰকাশ দেখিয়া হতবুদ্ধির মত নিস্তাৰূভাবে দাড়াইয়া রহিল। আহা, কিবা চারুতায় পূর্ণতায় ঢল ঢল সেই মুখখানি । তাহার উপর ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত ভ্ৰমরকৃষ্ণ অলকাগুচ্ছ । যেন পূর্ণিমার শশী মেঘে ঢাকিয়াছে! একটি সদ্যঃপ্ৰস্ফুটিত পদ্ম বুঝি সরাসীর কালো জলে ভাসিতেছে! অঙ্গে স্বল্পাভরণ, দিবসে দীপালোকের ন্যায়৷ দেহলাবণ্যের সংস্পর্শে হীনপ্রভ । কিবা উজ্জ্বলে মধুরে মেশামেশি! কিন্তু স্বচ্ছতোয়া ব্যাপীবক্ষে প্ৰতিবিম্বিত জলধরচ্ছায়াসম্পাতের ন্যায়। সেই সুন্দর মুখমণ্ডল যেন কিঞ্চিৎ স্নান, বুঝি বিরহমেঘে মলিন ! জলিল আর স্থির থাকিতে পারিল না । সে ঐ রূপের অমৃতত্ত্বদে মর্যালের ন্যায় সন্তরণ করিতে অধীর হইল, তরুণীকে বক্ষে ধারণা করিয়া হৃদয়ের “দাবদাহং জুড়াইতে উদ্যত হইল। বিকচকুসুমের পাশ্বে কোরকের মত তরুণীর পার্থে তাহার একমাত্র কন্যা বিমলা নিদ্রিতা ছিল। জলিল তাহার সঙ্গীকে কহিল, QS