পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে ততদিন সমাজ হইতে ব্ৰাহ্মণ, কায়স্থ, বেণে, তেলি সজেঘ গিয়াছে। সমাজ সঙ্ঘের পুষ্টিসাধন করিয়াছে । কিন্তু এখন কি হইতেছে ? সতেঘ সকলেই শক্তি লইতেছে । বলে - শক্তি নাহিলে সাধন হয় না । সাধনা যত হউক ন। চাউক, হইতেছে ছেলে দেয়ে। প্রথম প্রথম সেগুলাকে দশশীল আও ড়াইয়া সজেঘ লাইত, এখন এত বেশী হইয়াছে যে, সজেঘ আর ধরে না, সেগুলার জন্য নূতন বিহার ও আর হইতেছে না। সুতরাং সেগুলা সমাজে আসিয়া পড়িতেছে । কিন্তু সমাজে তাহদের স্থান কোথায় ? আমাদের চাতুৰ্ব্বৰ্ণ-সমাজে ত তাতাদের স্থান নাই। বৌদ্ধ-সমাজে চাতুৰ্ব্বণ্য নাই । সেখানে তাহারা স্থান পাইতে পারে। কিন্তু তাতাদের ব্যবসায় কি হইবে ? সকলেরই ত একটা একটা ব্যবসায় আছে। নুতন যাহারা আসিতেছে, তাহারা দাড়ায় কোথায় ? তাই একজন বড় রাজা তাহদের যুগী উপাধি দিয়া তাহদের মোটা কাপড় বুনিতে দিয়াছেন। তাই বলিতেছিলাম, এখন আর সমাজ সজাঘ পোষণ করে না । সজেঘর লোক আসিয়া ভিডি তেছে। এই ত ধ্বংসের অবস্থা। ভিক্ষুদের ভিক্ষা সমাজের লোকে দিতে চায় না। তাহাদের যে ভূসম্পত্তি আছে, তাহাতেও কুলায় না । সুতরাং কাপড়ের ব্যবস। যদি জাকিয়া উঠে, সব সজেঘর লোক সেই দিকে ছুটিবে, বিহার পড়িয়া থাকিবে। সে বিহার জঙ্গল হইয়া যাইবে। জঙ্গল না হইয়া যদি ব্ৰাহ্মণের ভোগে আসে, ক্ষতি কি তাহাতে ?” মহারাজাধিরাজ বলিলেন,- “এ যুদ্ধ বেণেদের জন্য, জয়ও বেণেদের হইতে । বেণের আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছে । তাহদের কি পুরস্কার দেওয়া যাইতে পারে ?” কি পুরস্কার দেওয়া উচিত, বিহারীকে জিজ্ঞাসা করিলে সে বলিল“বেণের জমী-জমীদারী চায় না, ত্যাগ-দক্ষিণা চায় না। তাহারা চায় বাণিজ্যের একটু সুবিধা । তাহাও তাহারা ভূসী মালের ব্যবসা করে না, Y\9y.