পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ দেশী মালের ও ব্যবসা করে না । বিদেশী মাল, বিশেষ সাগরপারের মাল, সাঙ্গাতে অবাধে বিনা মাশুলে সাতগাঁ পৌছিতে পারে, এইটুকু করিয়া দিলে বেণেদের যথেষ্ট উপকাব করা হইবে । সাতগাই এ সকল মালের প্ৰধান আডিডা । এখানে যা মাশুল আদায় হয়, তাহার উপর ৩৪টা মুনাফা চড়িয়া মাল মহাৰ্য্য করিয়া দেয়। যদি এ মাশুলটা এক টাকা কমে, তবে মালের দাম দুই টাকা কমিবে, সারা-বাঙ্গলার উপকার হইবে। সারাবাঙ্গলাব অদ্ধেক ত মহারাজাধিরাজের, উহঁর প্রজাদের অনেক সুবিধা হইবে।” মহারাজাধিরাজ ৷-“তাহাতে রাজার যে বিস্তর লোকসান হে ! এ ত লোকসান দিয়া রাজা রাজ্য চালাইবে কিরূপে ?” বিহারী।—“প্রজার দুই টাকা লোকসান করিয়া রাজার এক টাকা লাভ, --বড় ভাল কথা নয় । সে দু’টা টাকা প্ৰজার ঘরে থাকিলে প্ৰজা ও দাশের জন্য, দেশের জন্য দশ টাকা খরচ করিতে পারিবে । রাজা ও দরকার হইলে মাঙ্গন-মার্থটি করিয়া যথেষ্ট আয় করিতে পরিবেন ।” সকলেই বিহারীর কথায় সায় দিল । তাহার পরে কথা উঠিল কাপড়ের । ভবদেব বললেন, “ব্ৰাহ্মণেব বাকলের অথবা রেশমের কাপড় পরেন, তুলার কাপড় অশুদ্ধ বলিয়। মনে করেন। তঁহারা পূজা অৰ্চনা করেন রেশমের কাপড় পরিয়া, রাধাবাড়া করেন রেশমের কাপড় পরিয়া, খাওয়া-দাওয়া ও করেন রেশমের কাপড় পরিয়া। তবে অন্য সময়ে অনেকে তুলার কাপড় পরেন বটে ; কিন্তু তাহাও পরা যায় না। কারণ, সব কাপড়েই ভাতের মাড় । নীচ জাতির এটাে ছয়ে অশুচি হইতে হয়। তাই আমরা রাঢ়ে ব্ৰাহ্মণদের গ্রামে জাত-তীতি বসাইয়া কাপড়ে খাই-এর মাড় দিবার ব্যবস্থা করিয়াছি। যুগীর কাপড় একেবারেই পরি না, স্পর্শও করি না। এখন স্থত হিন্দুর দেশ হইল। এখন এই কাপড়ের যাচাতে দেশে চলন হয়, তাহাই করিতে SVOS