পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে হইবে। জাত-তাতির হাত খুব সাফ। তাহারা খুব সরু। কাপড় বুনিতে পারে। সে কাপড়ে খাই-এর মাড় যােত পরিষ্কার দেখায়, ভাতের মাড় তেমনটা হইতেই পারে না ।” মহারাজাধিরাজ্য।--“আমি তাহার কি করিতে পারি ? সে হাত আপনাদের আর সে হাত বিহােরর। আপনার যদি মনে করেন, শুচি কাপড়ই চলিবে, অশুচি কাপড় চলিবে না, যাহারা সুগীর কাপড় পরিয়া জল আনিবে, তাহাদের জল আপনার লাইবেন না বা স্পর্শ ও করিবেন না, তেই তেঁাতির কাপড় চলিয়া যাইবে ।” ভবদেব। -“ব্ৰাহ্মণের তেলের ব্যবহার খুবই কম করেন। অনেকে সরিষার তেল মাখেন। কিন্তু অধিকাংশই তৈলস্নান করেন না। র্যাঙ্গারা তেল মাখন, তাহাদের বড়ই অসুবিধা। এখানে ঘানির মুখে চামড়া দেওয়া থাকে, চামড়ার ঠোঙ্গা বাহিয়া তেল একটি কলসীতে পড়ে। চামড়ার স্পর্শে সে তেল অশুচি হয়। সে তেল কিছুতেই মাখা উচিত নয়। আমরা ব্ৰাহ্মণের গ্রামে বন্দোবস্ত করিয়াছি, একটা কাঠের কোটুকোর ঠিক মাঝখানে ছিদ্র করিয়া ঘানিটি তাঙ্গাতে খুব অ্যাট করিয়া বসান হয়। ঘানি বহিয়া তেল কোটুকোয় পড়ে ; কেটকে ভরিয়া গেলে, নারিকেলের মালা করিয়া তেল একটি কলসীতে তুলিয়া রাখা হয়। যাচারা এইরূপে ভাবে তেল তৈয়ারি করিবে, আমরা তাতাদেরই জল-আচরণ করিব। চৰ্ম্মতৈলের ব্যবঙ্গার এইরূপে কনিয়া যাইবে।” 8 ভবদেব বলিয়া যাইতেছেন ঃ-—“যাহারা ফুলের ব্যবসায় করে, তাহাদের আমরা সািজাতি বলিয়া লইতে পারি, তাহাদের জল ব্যবহার করিতে পারি, S. So