পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে করিতে হয়। মাঝে মাঝে বড় বড় আটচালা,-সেইখানে বসিয়া তাহারা পরস্পর আলাপ করে, শাস্ত্রচর্চা করে, তর্ক-বিতর্ক করে, পড়া লয়, পড়া দেয়। কোন বিদেশী পণ্ডিত আসিলে তঁহাকে এইখানেই সংবৰ্দ্ধনা করে। মাঝে মাঝে ধৰ্ম্মশালা-বিদেশী লোকের থাকিবার স্থান তাহারও উঠানে আটচালা-গল্প-গুজব-আমোদ-প্ৰমোদের জায়গা । নালান্দার উত্তর-পূর্ব কোণে প্ৰকাণ্ড এক উঠানের মাঝখানে এইরূপ এক আটচালায় বোধিচৰ্য্যা ব্যাখা করিতে করিতে শান্তিদেব, মঞ্জুশ্ৰীর সঙ্গে afg*tGa 5fè3 RoR রাস্তার ধারে যে সকল বিহার ছিল, তাহার ঠিক মাঝখানে বালাদিত্যবিহার-চারি-তালা উচা । এখনকার লাট সাহেবের বাড়ীতে যেমন বাহিরু দিয়া প্ৰকাণ্ড এক সিঁড়ি দু-তালা পৰ্য্যন্ত উঠিয়াছে, তাহারও ঐরূপ এক সিড়ি একেবারে রাস্ত হইতে দুৰ্গ-তালা পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। দু-তালার উপর সিঁড়ির সামনেই একটা খোলা চাতাল, তাহার বাহিরে বারন্দোটি চারিদিক ঘুরিয়া গিয়াছে। রাব্রান্দার ওপাশে সারি সারি ঘর। বারান্দার নীচে একতালায় এক প্ৰকাণ্ড উঠান, তাহার এক কোণে একটা প্ৰকাণ্ড ও গভীর কুয়া। কিন্তু বারান্দার নীচে নীরেট পাচীল, একটিও দুয়ার বা জানালা নাই। উঠানে নামিবার বা কুয়া ব্যবহার করিবার একমাত্র উপায় একটা সিঁড়ি দিয়া নামা । দু-তালার বারন্দার উপর তিনতালার বারান্দা, তাহারও চারিদিকে ঘর। এইরূপ চার-তালায়ও বারান্দা ও ঘর। সিঁড়ির সামনে দু-তলায় যেখানে খোলা চাতাল আছে, তাহার উপরে তে-তালা ও চৌ-তালায় অধ্যাক্ষের থাকিবার স্থান । অধ্যক্ষ সর্বজ্ঞ পণ্ডিত, খুব লম্বা-চওড়া, বেশ সুপুরুষ ; এখন পাঁচাশী বছর বয়স হইয়াছে, তথাপি দেহের ও মনের বেশ জুৎ আছে। বিহারের নিয়মমত তাহার বার জন চাকর আছে। পালা করিয়া তিন জন তিন জন 956 o