পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? તેજ কারণ, আমরা যাহা রচনা করি, তাহ রচনার পূৰ্ব্বে আমরা জানি না। রচনা করিবার ইচ্ছার পূৰ্ব্বে তাহা আমাদের মনে ভাসমান থাকে না । আর যদি বেদ ঈশ্বরকর্তৃক রচনার পূর্বে “ছিল না” বলা হয়, তাহ হইলে জিজ্ঞাস্ত হইবে, সেই বেদ ঈশ্বরকর্তৃক রচনার পূৰ্ব্বে ঈশ্বর জানিতেন কি না ? যদি “ঈশ্বর জানিতেন” বলা হয়, তবে আর তাহার রচনা সম্ভবপর হয় না । আর যদি “ঈশ্বর জানিতেন না” বলা হয়, তবে ঈশ্বর আর সর্বজ্ঞ হইতে পারিলেন না । সৰ্ব্বজ্ঞের পক্ষে আমাদের মত রচনা সম্ভবপর নহে। অতএব বেদ ঈশ্বরেরও রচিত নহে—ইহাই বলিতে হইবে । সুতরাং বেদ ঈশ্বরসম নিত্য, ঈশ্বর যেমন নিত্য বেদও তদ্রুপ নিত্য এবং অপৌরুষেয় । যদি বলা হয়—ধেদের ব্রাহ্মণভাগ, বেদের সংহিতা পা মন্ত্রভাগের ব্যাথ্যাবিশেষ বলিয়া ব্রাহ্মণভাগটা রচিত গ্ৰষ্ঠ বলিয়া গণ্য হউক ? আর তাহা হইলে বেদের অংশবিশেষ পৌরুষেয় ও অনিত্যই হইল। কিন্তু তাহাও বলা যায় না। কারণ, অরচিত মন্ত্রভাগ যদি সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বরই শিক্ষা দেন, তবে তাহার অর্থও তাহকেই শিক্ষণ দিতে হুইবে । কারণ, যে মানব প্রথমে বর্ণাত্মক শদোচ্চারণরূপ ভাষাই শিক্ষা করিতেছে, সে মানব নিজে মিতঃ তাহর অর্থ