পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? ૨૪ কতকটা কাৰ্য্যকারী হইলেও বেদবৎ পূর্ণ কাৰ্য্যকারী হইতে পারে না । যাহারা বলেন—ব্রহ্মজ্ঞের ভাষাই বেদ, র্তাহারা ঠিক কথা বলেন না। কারণ, তাহদের মতেও দুইজন পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞের মধ্যে কোন ভেদ থাকিতে পারে না । সুতরাং তাহাদের ভাষার মধ্যেও ভেদ থাকিতে পারে না। ব্ৰহ্ম এক হইলে পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞ একই হন । কারণ, বেদ মধ্যেই আছে “ব্রহ্মবিৎ ব্রহ্মৈব ভবতি” অর্থাৎ ব্ৰহ্মজ্ঞ বন্ধই হন । সুতরাং বেদের ভাষা একইরূপ হয়। কেহ কেহ বলেন—বেদ শবরোশি নহে, কিন্তু সত্য জ্ঞানরাশি, অথবা ঈশ্বরের যে নিত্য সত্যজ্ঞান, তাহাই বেদ । তাহা শব্দ নহে। শব্দের দ্বারা কখন কোন বিষয়ের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করা যায় না । ইক্ষুরস ও শর্করার যে মিষ্টতা শব্দদ্বারা সরস্বতীও তাহা প্রকাশ করিতে পারেন না। ইহা মহামতি বাচস্পতি মিশ্রও বলিয়াছেন। আর মহাপুরুষের ম্পর্শেও দান হয়, শব্দের তখন আবশ্যকতাই হয় না । অতএব জ্ঞানের জন্য শব্দ নিম্প্রয়োজন, আর সেই কারণে বেদ শব্দরাশি নহে, পরস্তু জ্ঞানরাশি । ইহার উত্তর এই যে, জ্ঞান যদি সাধারণভাবে দান করিতে হয়, তবে শব্দ ভিন্ন গতি নাই। ঈশ্বর যদি স্বষ্টির