পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বৈকুণ্ঠের উইল ঘরখানি ইংরাজি-ধরণে সাজান ছিল—এইখানেই তার বন্ধুবান্ধবেরা দেখা-সাক্ষাৎ করিতে আসিত। গোকুল পা টিপিয়া কাছে গিয়া জানালার ভিতর দিয়া চাহিয়া দেখিল, বিনোদ চৌকিতে না বসিয়া নিচে মেজের উপর ওদিকে মুখ করিয়া চুপ৷ করিয়া বসিয়া আছে। তাহার এই বসিবার ধরণ দেখিয়াই গোকুলের দুটি চক্ষু জলে পরিপূর্ণ হইয়া গেল। সে নীরবে: দাড়াইয়া ছোটভায়ের মুখখানি দেখিবার আশায় মিনিট পাঁচছয় অপেক্ষা করিয়া শেষে চােখ মুছিয়া ফিরিয়া আসিল। চক্ৰবৰ্ত্তী কহিল, বড়বাবু, অধ্যাপক বিদায়ের ফৰ্দটাগোকুল সহসা যেন অন্ধকারে আলোর রেখা দেখিতে পাইল। তাড়াতাড়ি কহিল, এ সব বিষয়ে আমাকে আর কেন জড়ান চক্কোত্তিমশাই। মা সরস্বতী ত স্বয়ং এসে পড়েচোন। কে কেমন পণ্ডিত, কার কত মান-মৰ্য্যাদা বিনোদের কাছে তা চাপা নেই-তাকেই জিজ্ঞাসা করে ঠিক করে নাও না কেন ? আমি এর মধ্যে আর হাত দেব না চক্কোত্তিমশাই । চক্ৰবৰ্ত্তী কহিল, কিন্তু ছোটবাবু তা এখনো ঘুম থেকে ऐठेन नि । গোকুল মানভাবে একটুখানি হাসিয়া কহিল, ঘুম থেকে। তার কি আহার নিদ্ৰা আছে ? হাবুর মাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে দেখা-যে স্বচক্ষে দেখেচে । বলে বড়বাবু, ছোটবাবুর মুখের থানে চাইলেই আর চোখে জল রাখা যায় না- এমনি চেহারা হয়েচে । ভেবে ভেবে সোনার বর্ণ যেন কালিমারা হয়ে গেছে । বলিয়া তাহার বসিবার ঘরটা ইঙ্গিতে দেখাইয়া দিয়া বলিল,