পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ * २ ] স্কুলত্বের বিকাশ, সে বস্তু ততই নশ্বর । স্ত্রীপুরুধে বিভক্ত হইবার পর, যখন দৈত্যদগের ভিতর জ্ঞানশক্তি ও কাম প্রবৃত্তি স্ফরিত, তখন হটতেই স্থলত্বের চরমবিকাশ আরম্ভ এবং সেই সঙ্গে দৈত্যগণ ও নশ্বরত্ব প্রাপ্ত। যে স্থলে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম শিক্ষা দেয়, মানবের আদিপুরুষ আদাম ও ঈভ সল্পতানের প্রলোভনে নিষিদ্ধ জ্ঞানবৃক্ষের ফলাস্বাদন করায় মৃত্যুমুখে পতিত, সে স্থলে হিন্দুধৰ্ম্ম আমাদিগকে উপদেশ দেয়, বিষ্ণু মোহিনীমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া মানবের আদিপুরুষ দৈত্যগণকে ছলনা করতঃ নশ্বর করেন। শাস্ত্রপাঠে আরও অবগত হওয়া যায়, মান্ধাতার পিতা যুবনাশ্ব রাজা নিশাকালে পুংসবন জলপান করতঃ গর্ভধারণ করেন। তিনিও বিজ্ঞানমতে উভলিঙ্গ মানব । এখনও কেহ কেহ উভলিঙ্গ মানব দর্শন কলিয়া থাকেন । যtহ হউক, অলীক পৌরাণিক উপাখ্যানের ভিতরও কেমন বৈজ্ঞানিক সত্য নিহিত, তাহ! একবার সকলের ভাবা উচিত। যে শাস্ত্র আজ অনেকে জপাঠ্য বলিয়া ত্যাগ করেন, তাহার ভিতরও বৈজ্ঞানিক সভ্য ? "কিমশ্চৰ্য্য মতঃপরং” ? যুগধৰ্ম্ম । নৰযুগের নৰ সম্প্রদীক্ষগণের ধ্রুব বিশ্বাস, যে শাস্ত্রোক্ত চারিযুগ সৰ্ব্বৈব অলীক এৰং ইহা-হিন্দুধর্শ্বের একটা কুসংস্কার মাত্র । পাশ্চাত্য গুরুকুলের পুস্তকাদি অধ্যয়ন করিয়া উহাদের মনে এই সংস্কার এতদুর বদ্ধমূল, যে পুস্তকে কলিযুগের কথা সামান্যরূপ লিখিত, তাহার সে পুস্তকখানি দুরে প্রক্ষেপ না করির নিয়ন্ত হন না। যাহা হউক, তাহারা কি কোথাও শ্রবণ করেন নাই, .আধুনিক উন্নত জড়বিজ্ঞানও প্রভূত পর্যবেক্ষণাদি বলে ভূতত্ত্বাদি অনুশীলন করঞ্জ স্থিরসিদ্ধান্ত করে, যে লক্ষ লক্ষ বৎসর হইল পৃথিবী ও মানবজাতি স্বঃ এবং ইছ প্রকাগু ভাবে খৃষ্টধর্মের অলীক মতামতের মস্তকে পদাঘাত করে ? যখন এ বিষয়ে বিজ্ঞানও লক্ষ লক্ষ বৎসর নির্দেশ করে, তখন শাস্ত্রের কথা জাম্বর অমান্য করি কেন ?