পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ د ه د ] জাতির বলবান জন্তুগুলিই জীবন সংগ্রামে জয়ী হয় এবং উৎকৃষ্ট সন্ততিবর্গ উৎপাদন করতঃ স্বজাতির ক্রমোন্নতি সাধন করে ; ইহা দ্বারা প্রত্যেক ব্যক্তির বুদ্ধিশক্তি ও বলবীৰ্য্য সম্যক ফুরিত হওয়ার, তিনি প্রতিদ্বন্দিগণকে পশ্চাৎপদ করতঃ নিজের উন্নতি সাধন করেন । এই প্রকারে জীবনসংগ্রাম দ্বারা প্রত্যেক জাতির ও প্রত্যেক ব্যক্তির ক্রমোন্নতি সাধন হয় । অবনতির দিকে প্রকৃতি স্বভাবতঃ এত অধিক প্রবল, যে যদি উপরোক্ত প্রকার সাৰ্ব্বজনিক উন্নতির উপায় সৰ্ব্বত্র প্রচলিত না থাকিত, স্বষ্টি শীঘ্রই লয়প্রাপ্ত হইত। এই প্রকারেই জীবনসংগ্রাম দ্বারা জগতের অশেষ মঙ্গল সাধিত। ইহাতে প্রত্যেক জাতির প্রত্যেক জীবজন্তুর বুদ্ধিশক্তি ও বলবীৰ্য সম্যক ক্ষরিত। জীবনসংগ্রামের এত শোণিতপাত, এত জীবহত্য, এত যন্ত্রণ, এত রোদন ও এত কষ্টরাশির মধ্যে মঙ্গলময় ঈশ্বর সংসারের বে কত মঙ্গল সাধন করেন, তাহ আমরা কি বুঝব? অশেষ দু:খানলের মধ্যে প্রকৃত মুখসলিল বিতরণ করা, অশেষ ঝঞ্জাবীতে শাস্তিবারি অভিসিঞ্চন করাই মঙ্গলময়ের বাঞ্ছা । আমরা অসুক্ষণ যে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত, প্রকৃতিজগৎ, জীবজগৎ ও সমাজ জগতের যত প্রতিদ্বন্দ্বিধর্গের সহিত আমরা জীবনের প্রতিমুহূর্তে ভীষণ সংগ্রামে ব্যাপৃত, ইহাতে আমাদের বুদ্ধিশক্তি কত উদ্রিক্ত, বলবীৰ্য্য কত স্ফরিত, কণিকালোচিত শঠতা ও প্রবঞ্চনায় আমরা কত নিপুণ, তাহা সকলের ভাবা উচিত। এই জীবনসংগ্রামের অমুকরণে আধুনিক সভ্যজগতে প্রতিযোগিতা এত অধিক আদরনীয়া। আজকাল সংসারে যিনি পাচ জনের চক্ষে ধুলি প্রদান পুৰ্ব্বক যতই স্বার্থসিদ্ধি করিতে সমর্থ, তিনি ততই জীবনসগ্ৰংtমে জয়ী , তাহার সৰ্ব্বত্র তত্তই সন্মান ও সমাদর। এখন প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন ও যৌননিৰ্ব্বাচন এই হুইটী মহাশব্দের তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যান করা কৰ্ত্তব্য । ডারউইন প্রমুখ আধুনিক ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ এই দুই মহাশব্দ ব্যবহার করিয়া জাবতত্বের অনেক রহস্য মীমাংসা করেন। প্রকৃতি জগৎ বল, জীবজগৎ বল, ষে স্থলে যে বিষয়ের যেরূপ অনাটন, অভাব ও প্রয়োজন হয়, সে স্থলে সে বিষয়ের সেই অনাটন, অভাব ও প্রয়োজন ক্রমশঃ পূর্ণ হইয়া যায়। এইরূপে অনাটন পুরণ করাই প্রকৃতির স্বতঃসিদ্ধ