পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t > ०२ ] নিয়ম। দেপ একটী বৃক্ষশাখা অনাতপে পতিত হইয়! ভালরূপ বৰ্দ্ধিত হইতে পারিতেছে না ; কিছু দন পরে দেখতে পাইবে, যে দিকে বদ্ধি ত হইলে স্বর্যালোক পাওয়া যায়, উহ। সেই দিকে ই বৰ্দ্ধিত হয় । এখন জি জ্ঞাস্ত, বৃক্ষ শাখাকে কে সেই দিকে পদ্ধিত হইতে শিক্ষা দেয় ? বৃক্ষ ত অচেতন পদার্থ ; উহা কেমন করিয়া বুঝিতে পারে দে ঐদিকে বৰ্দ্ধিত হইলে স্থৰ্য্যালোক পাওয়া যায় ? এস্থলে প্রকৃতি স্বয়ং উহার অনাটন পূর্ণ করিয়া দেয়। ‘জীবজগতে আব এ চট প্রধান নিয়ম দেখা যায়, জীবগণের চতুৰ্দ্দিকস্থ অবস্থার যেরূপ পৰিবৰ্ত্তন ঘটে, তখন নুতন অবস্থায় অবস্থিতির জন্য উহার অবস্তোপযোগী শারীরিক ও মানসিক প্রকৃতি পরিবর্তন করিতে শিক্ষা কবে । এরূপ পরিবর্তন না ঘটলে উহাবা কদাচ জীবনসংগ্রামে জয়ী হইয়া জগতে স্থায়ী হইতে পারে না। যেমন সকল বিষয়ে পরিবর্তনই যুগধৰ্ম্ম, সেইরূপ যুগপরিবর্তনে যাহারা অবস্থা বৈষম্যে পতিত হইয়া শারীরিক ও মানসিক প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটাইতে সক্ষম হয়, তদীয় বংশধরেরা জীবজগতে উত্তরোত্তর উন্নতিসাধন করিতে পারে ; আর যাহার সে বিষয়ে অসমর্থ হয়, তাহারা ক্রমশঃ লয় প্রাপ্ত হম | o এইরূপ অবস্থা পরিবর্তনে প্রয়োজনানুসারে জীবের শারীরিক ও মানসিক প্রকৃতির যে ক্রমশ: পরিবর্তন ঘটে, তাহ প্রকৃতি স্বয়ং ঘটাইয়া দেয় এবং জীবজগতে উচাকে স্থায়ী কবিয়া দেয় । প্রকৃতির এই প্রক্রিয়াট প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে সম্পাদিত, এরূপ বলা উচিত ; এস্থলে প্রকৃতি স্বয়ং পছন্দ করিয৷ ঐরূপ পরিবর্তন ঘটায় । দেখ, জলচর হংস জাতির পাদদ্বয়ের অঙ্গুলিগুলি চৰ্ম্মলিপ্ত ; জলে থাকিতে থাকিতে সস্তরণ দিয়া আহার অন্বেষণের জন্যই প্রকৃতি ঐ রূপ ঘটায় দেয় । কিন্তু স্থলচর হংসজাতির এরূপ তাবগু কত হয় না ; এজন্য উষ্ঠাদের অঙ্গলিগুলিও চৰ্ম্মলিপ্ত নয়। এস্থলে জনস1.ারণ বলিয়৷ থাকে, পরমেশ্বর হংসজাতিকে জলচর করিবার জন্য উহার অঙ্গুলিগুলি চৰ্ম্মলিপ্ত করিয়া দেন। কিন্তু উন্নত বিজ্ঞান একথার উপর উপহাস করে | @ মনে কর, যে দেশে এখন হস্তী বর্তমান, সেই দেশ ভৌতত্ত্বিক পরিবর্তন দ্বারা অল্প পরিমাণে জলমগ্ন হইয়া গেল। এই নুতন অবস্থায় স্থায়ী হইবার