পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৯৪ ] অন্ধক্রিয়ার উপর এই বিশ্ব প্রপঞ্চের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ আরোপ করা কি যুক্তিসিদ্ধ ও ন্যায়সঙ্গত ? জড়বাদি পণ্ডিতদিগের ইহা একটী মহৎ ভ্রম, যে র্তাহার অন্ধ প্রকৃতির স্বন্ধে চিৎশক্তির কার্য্য অর্পণ করেন । এস্থলে সাংখ্যকার পুরুষ বা চিৎশক্তির অবতারণা করিয়া যথার্থ মত প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে শাস্ত্রে অন্ধপঙ্গুর ন্যায় উল্লিখিত। প্রকৃতি অন্ধ ও পুরুষ পঙ্গু ; গন্তব্যপথে যাইতে উভয়েই অসমর্থ। কিন্তু যখন পঙ্গু অন্ধের স্কন্ধে আরূঢ় হয়, তখন পঙ্গু অন্ধকে যথার্থ পথে পরিচালিত করে। সেইরূপ বিশ্বের যাবতীয় ব্যাপারে অন্ধ জড় প্রকৃতি পুরুষ বা চিৎশক্তি দ্বারাই চালিত । দেখ, বিশ্বের স্বাক্ষাতিস্বক্ষ পরমাণু হইতে সুবিশাল স্বৰ্য্য অবধি প্রত্যেক বস্তুতে যে চিৎশক্তি বা ঐশ্বরিক বুদ্ধি নিহিত , যাহার গুণে ভৌতিক শক্তিগুলি ষাবতীয় ভৌতিক পদার্থকে কয়েক মুমহৎ উদ্বেগু সাধনের জন্য পরিচালিত করে এবং যাহার গুণে বিশ্বসংসারে এমন সাৰ্ব্বজনিক সামঞ্জস্য দেদীপ্যমান, সেই চিৎশক্তি সকলের মূলাধার এবং অন্ধ জড় প্রকৃতি তাহার উপাদান মাত্র। তবে কেন সকলে বিজ্ঞানোল্লিখিত প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন রূপ মহৎবাক্যে ব্যামোহিত হন ? নবোধিতে নববিজ্ঞান যে সকল উপায় অবলম্বন করিয়া লোকের মনে ঈশ্বরবিশ্বাস ক্রমশঃ মন্দীভূত করিতে প্রয়াস পায়, তন্মধ্যে ইহ একটা উহার সর্বপ্রধান উপায়।