পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১ • } অপগত । অসভ্য মানবের ভ্রাণশক্তি যতদূর তীক্ষ, সভ্য মানবের ততদুর নহে । A. .অন্যান্ত জীব প্রকৃত্যমুযায়ী সহজজ্ঞানে চালিত হইয়া সুখ দুঃখ সম্বন্ধে সাম্যাবস্থায় অবস্থিত । উহাদের স্বখের ভাগ যেমন অল্প, দুঃখের ভাগও তেমনি অত্যন্স। বিজ্ঞানের মতে আদিম অবস্থায় মানব ও নৈসর্গিক জ্ঞান কর্তৃক চালিত হইয়া সাংসারিক মুখ দুঃখের বৈষম্যে পতিত না হওয়ায় প্রাকৃতিক সাম্যবস্থায় জীবন অতিবাহিত করেন। পরে বহুকাল ব্যাপিয়া জাতীয় সাধনার গুণে র্তাহার মানসক্ষেত্রে নৈসর্গিক জ্ঞানখৰ্ব্বকারিণী জ্ঞানশক্তি উদ্ভূত হয়। এই জ্ঞানশক্তি অনুশীলন করিয়া তিনি অপ্রাকৃত অবস্থায় থাকিতে আরম্ভ করেন । এই স্থলেই তাহার সভ্যতার স্বত্রপাত হয় এবং এই সময় হইতেই তিনি প্রকৃতিদেবীর কোপানলে পতিত হইয়া সংসার সমুদ্রের সুখদুঃখরূপ মহাবৰ্বে নিক্ষিপ্ত হন : যে সকল আপদবিপদ ও রোগশোক দ্বারা তিনি অহরহঃ নিষ্ঠুর ও নিৰ্ম্মম ভাবে প্ৰপীড়িত হন, সে সকল প্রকৃতিদেবীর ক্রোধ সস্তৃত জানিবে। তাহার সাক্ষ্য দেখ না, একটা অশেষ প্রতিপদ স্বকুমার সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হইবে, অথচ উহার, মাতাকে তজ্জন্ত কতই না ছৰ্ব্বিষহ যন্ত্রণ ভোগ করিতে হয় ? এই বিষয় লইয়া অনেকে प्रोभन्त्र ঈশ্বরে দোষারোপ করেন ; কিন্তু যাহারা প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞ, তাহারা বলেন, অপ্রাকৃত অবস্থায় পাকাই ঐরূপ যন্ত্রণাভোগের প্রধান কারণ । মানব প্রকৃতিদেবীর বিদ্রোহী সন্তান। তন্নির্দিষ্ট সহজ পথ উল্লঙ্ঘন করিয়া তিনি ভ্রমসঙ্কল কৃত্রিম জ্ঞানবলে এ জগতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্তির অভিলাষী। র্তাহার সভ্যতাবৰ্দ্ধনই প্রকৃতিদেবীর "সহিত মহা সংগ্রামসভঘটন। যে কালসমরে তিনি প্রকৃতিদেবীর কোপানলে পতিত, যে সমরে তিনি ছৰ্ব্বল, সহায় ও নিরূপায় হওয়ায় প্রকৃতি কর্তৃক পদে পদে দলিত, সেই কালসমরে ঝুঁক্লিয় তাহার একমাত্র সহায়। এই বুদ্ধিশক্তি বলে তিনি পুরাকাল हहैéड ধৰ্ম্মরূপ কল্পবৃক্ষের সুশীতল অনাতাপে থাকিরা সংসারের বিপদ আপদকে তুচ্ছঙ্গান করিতে শিক্ষা করেন। যথার্থ বলিতে কি, ধৰ্ম্মই তাহাকে সংসারের অশেষ বিপদ রাশির মধ্যে প্রকৃত মুখের পথ ও দর্শন করে। ভবসাগরে ধৰ্ম্মই র্তাহার পোতদীপস্বরূপ, স্বীয় সুবিমল জ্যোতি বিকীর্ণ করিয়া