পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৩ ] ধৰ্ম্মশাস্ত্র বিরচিত। সুতরাং ধৰ্ম্মবিজ্ঞান উপদেশ দেয়, সমাজের উপযোগিতানুসারে স্বার্থপ্রবৃত্তিগুলিকে দমন করতঃ উহাদের অযথা চরিতার্থতা নিবারণ করিয়া পরার্থ প্রবৃত্তিগুলির সম্যক ফুৰ্ত্তি দ্বারা জনসমাজের শ্ৰীবৃদ্ধি-- সাধন করা এবং বুদ্ধিবৃত্তি দ্বারা চালিত হইয়া উহাদের ভিতর পরস্পর সামপ্রস্ত স্থাপন করাই প্রাকৃতিক ধৰ্ম্মের একটা মুখ্য উদ্দেশু । এস্থলে জিজ্ঞাস্য, ধৰ্ম্মসম্বন্ধে বিজ্ঞান যাহা উপদেশ দেয়, তাহাই কি অমোঘ সত্য ? ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিগুলি কি সামাজিক মানবে সমাজের মঙ্গলের জন্তই অস্কুরিত ও ক্রমশঃ ফুরিত হইয়াছে ? সমাজে বসবাস করিবার জন্তই কি ইহাদের একমাত্র প্রয়োজন ? তদ্ভিন্ন কি ধৰ্ম্মের কিছুমাত্র আবশুকতা নাই ? ইহাতে বোধ হয়, বিজ্ঞানের মতে ধৰ্ম্ম কেবল আমাদের ঐহিক ক্ষণস্থায়ী ভাব মাত্ৰ ; ইহজীবন নষ্ট হইলে, ইহা বিনাশ প্রাপ্ত হয় । কেবলমাত্র সমাজের মঙ্গলের জন্ত যে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম আবশ্বক, সে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করিবার কি প্রয়োজন ? যদি জনসাধারণের মনে এরূপ বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়, যে ধৰ্ম্ম কেবল সমাজের জন্ত আবগুক, বল দেখি, কোন ব্যক্তি সেই ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে অগ্রসর হন বা ইহাতে মন প্রাণ সমর্পণ করেন ? যাহা হউক, বিজ্ঞানের কথায় আমাদের মন কিছুমাত্র প্রবোধ মানে না ; অতএব অধ্যায়ুবিজ্ঞান এ বিষয়ে কিরূপ নির্দেশ করে, তাহার অস্থসরণ করা কৰ্ত্তব্য । ইহার মতে যুগধৰ্ম্মানুসারে মানবের আধ্যাত্মিকতা হ্রাসপ্রাপ্ত হওয়ায়, তাহার নিকৃষ্ট প্রবৃত্তিগুলি এ কলিযুগে এত বলবতী এবং সেই সঙ্গে তাহার ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিগুলি এত নিস্তেজ। ইহার মতে ধৰ্ম্ম তাহার জীবাত্মার চির সহচর ও অনস্তকাল ব্যাপিয়া সাথের সার্থী এবং ইহার অবিনশ্বর ভাব । এক এব মুহৃদ্ধৰ্ম্মে নিধনেহপ্যনুবাতি যঃ শরীরেণ সমং নাশং সৰ্ব্বমন্তজু গচ্ছতি । ( হিতোপদেশ ) "যে ধৰ্ম্ম মৃত্যুর পর আত্মার অনুগমন করে, সেই ধৰ্ম্মই ইহার এক মাত্র প্রকৃত বন্ধু। তড়ির অপরাপর যাবতীয় বস্তু শরীরের সহিত নাশ প্রাপ্ত হয়।” । ধৰ্ম্ম মানবের ক্ষণবিধ্বংসী ঐহিক সামাজিক ভাব নহে। পাশ্চাত্য মনেবিজ্ঞান বলুক, পাশ্চাত্য ধৰ্ম্মবিজ্ঞান বলুক, যে যাহাই বলুক না কেন, উহাদের কথায় মামাদের কর্ণপাত করা আদৌ উচিত নয় । উহারা আমাদের সামা y & وسعه