পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४२8 1 হয়, তাছাই আজীবন বলবৎ থাকিয়া যায় ; এজন্ত সকলেই বাল্যকাল হইতে স্বধর্ণের প্রতি এত পক্ষপাতী হয় ; এমন কি, উহার অনুশাসন কস্মিনকালে পরিহার করিজে তাহার সমর্থ হয় না। কিন্তু উত্তর কালে বিভিন্নরূপ শিক্ষা প্রাপ্ত হইলে, বাল্যকালার্জিত সংস্কারও কথঞ্চিৎ পরিবর্তিত হইতে পারে এবং স্থলবিশেষে উহা সম্পূর্ণরূপে পরিবৰ্ত্তিত হওয়ায় লোকে ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করে । ধর্মের ক্রমোন্নতি বা ক্রমাবনতি । বিজ্ঞানের মতে জগতের যাবতীয় বস্তু, কি কৃত্রিম, কি অকৃত্রিম, কি প্রাকৃতিক, কি অপ্রাকৃতিক, সকলই ক্রমবিবৰ্ত্তনে বিবর্তিত ও ক্রমবিকশনে বিকশিত হয়। সেইরূপ ইহার মতে মানবধৰ্ম্মও সকল দেশে মানবজাতির বুদ্ধিশক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে ক্রমবিকশিত হয় ; যুগ যুগান্তরে ইহ। কতকগুলি স্তরের পর স্তর অতিক্রম করতঃ আধুনিক আকার ধারণ করে। পৃথিবীন্থ যাবতীয় জাতি, কি বৰ্ব্বর, কি অসভা, কি অৰ্দ্ধসভ্য কি সভ্য, কি মুসভ্য, সকল জাতির ধৰ্ম্ম সবিশেষ পর্য্যালোচনা করিলে, ভালরূপ বুঝিতে পারা যায়, মানবধৰ্ম্ম কালসহকারে কোন কোন স্তর অতিক্রম করতঃ ক্রমোন্নত হয়। বিজ্ঞানের মতে ইহাতে তিনটী প্রধান স্তর বর্তমান ; যথা, (১) জড়োপাসনা.( 2 ) পৌত্তলিকতা (৩) একেশ্বরবাদ । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বলেন, অতি প্রাচীনকালে বা আদিম অবস্থায় সমগ্র মাৰুরজাতি অজ্ঞানান্ধকারে আচ্ছন্ন ও অতি বৰ্ব্বর অবস্থায় অবস্থিত ছিল ; পরে সমাজে জ্ঞানামুশীলনের আরম্ভ হওয়ায়, সভ্যতার স্বত্রপাড় হয় এবং জ্ঞাম্বোড়ির সহিত সভ্যতারও ক্রমোন্নতি হয়। এখন আদিম বৰ্ব্বর মানবের শ্নে ক্রুিপ, অথবা তাহার মনে ধৰ্ম্মভাব উদিত কি না, তাহ নির্ণয় করা সুধীন। তাছাদের বিশ্বাস যে, ভীতি ও বিস্ময় হইতে মানবমনে ধৰ্ম্মভাব প্রথম উদ্ভূক্ষ বা প্রকটত্ব হয়। যেমন একটা ছদ্ধপোষ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু সামান্ত কারণে ভীত হইয়া মাতৃক্রোড় আশ্রয় করে ; সেইরূপ জাতীয় জীবনের অতি শৈশৱাবস্থার মানবও জগতের ভয়াবহ ঘটনাবলি সন্দর্শনে তীত ও চমকিত