পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J כאל ] অদভ্যাবস্থায় লোকে লৌকিক ঈশ্বর বুকুক বা না বুকুক, উহাদের প্রকৃতি সকলfদকে সরল ও বালোচিত থাকে ; আবার সভ্যাবস্থায় লোকে ঈশ্বরকে সৰ্ব্বান্তঃকরণে মান্ত করে ও তfহার প্রিয়কাৰ্য্য করিতে চেষ্টা পায়, অথচ তাহার। অন্তজাতির বক্ষঃস্থলে পদার্পণ পূৰ্ব্বক শ্মশ্রদেশোৎপাটনে সদা তৎপর হয় এবং প্রবঞ্চনায় ও শঠতায় সবিশেষ নিপুণ হয় । যাহারা মনে করেন, সভ্যতাবৃদ্ধির সঙ্গে জগতে ধৰ্ম্ম উন্নতিশীল, তাহার নেত্ৰোক্ষ্মীলন পূৰ্ব্বক সভ্যতম ইউরোপ সমাজ ভালরূপ নিরীক্ষণ করুন, বুঝিতে পারিবেন, সংসারে ধৰ্ম্ম ক্রমোন্নত, না ধৰ্ম্ম ক্রমশঃ জাহান্নমে পতিত হইতেছে । তবে হিন্দুশাস্ত্রোক্ত কথায় অৰিশ্বাস করিবার কোন কারণ নাই । কৃত্রিম সভ্যতার বৃদ্ধির সঙ্গে মানবসমাজের অবস্থা এখন যেরূপ, তাহাতে যে বেচারী ধৰ্ম্মভীরু ও ধৰ্ম্মপরায়ণ, তিনি হন পদে পদে প্রতারিত ; এখন যিনি সরল, তিনি হন মহানিবোধ ; এখন যিনি মনের কথা খুলিয়া বলেন, তিনি হন পাগল ; এখন যিনি লোকের চক্ষে ধূলি প্রদানে সমর্থ, তাহারই সৰ্ব্বত্র জয় জয়কার ; এখন যে সমাজে অধৰ্ম্মরূপিণী নারীজাতির যতোধিক সন্মান, সে সমাজ তত সভ্যতাপথে অগ্রসর ; এখন যে দেশে পার্থিব বিস্তার মত গৌরব ও উন্নতি, সে দেশ তত সভ্যতাসোপানে আরূঢ়। তবে হিন্দুশাস্ত্রোক্ত কথায় অবিশ্বাস করিবার কোন কারণ নাই । বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণ জড়োপাসন৷ হইতে একেশ্বরবাদ রূপ ধৰ্ম্মের যে ক্রমোন্নত অবস্থা নির্দেশ করেন, তাহ অধ্যাত্মবিজ্ঞানের অনুমোদিত নয়। ইহার মতে যে নিগুণ ব্রহ্মোপাসনা ও যোগাভ্যাস সত্য, ত্রেত,দ্বাপর যুগের ধৰ্ম্ম, তাহাই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম ; তদ্ভিন্ন জড়োপাসন, পৌত্তলিকতা ও আধুনিক একেশ্বৰাদ এ তিনই কলিযুগের অপকৃষ্ট ধৰ্ম্ম এবং ইহার ধৰ্ম্মের অবনত ভাব । কালক্রমে মানব প্রকৃতি ঈষৎ পরিবর্তিত হওয়ায়, ঐ সকল উপাসনাপদ্ধতি কলিযুগে প্রচলিত হইয়াছে। আধিভৌতিক উন্নতিসাধিক জ্ঞানশক্তি যখন মানবমনে ঈষৎ ফুরিত, তখন তিনি জড়োপাসক ; যখন সেই জ্ঞানশক্তি অৰ্দ্ধস্ফুরিত, তখন তিনি পৌত্তলিক ; যখন ইহা সম্যক ফুরিত, তখন তিনি একেশ্বরবাদী। কিন্তু এই তিন অবস্থায় যুগুধৰ্ম্মানুসারে তাহার আধ্যাত্মিকতা বা প্রকৃত ধৰ্ম্মভাৰ বিশেষরূপে অপগত । »ፃ