পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( తిరి ] উপর লোকের বিশ্বাস বন্ধমূল, তাহারাও মায়াতীত পরব্রহ্মের মায়ারূপ ; বৌদ্ধগগতে যে বুদ্ধদেবকে জনসাধারণ ঈশ্বররূপে ভাবে, তিনিও পরব্রন্ধের মায়ারূপ । নিজ মনের প্রকৃত্যন্থধারী ঈশ্বরকে ভাবিতে মানৰ সৰ্ব্বত্র সাধারণতঃ बॉभJ इन । এখন ঈশ্বর মান বা পরব্রহ্ম মান, এ জগতের যে এক আদিকারণ বিদ্যমান, তদ্বিষয়ে কোনরূপ সন্দেহ করা উচিত নয়। সেই অাদি কারণ আমাদের নিকট স্বতই কেন অজ্ঞেয় হউক না, ইহ। ষে বর্তমান, এমন কি সৰ্ব্বত্র দেদীপ্যমান, তাহা কে অস্বীকার করিতে পারে? ওহে নাস্তিকবাদি পণ্ডিতগণ! তোমরা যে একটা কেবল কথার কথা, তথা-কথিত প্রকৃতির দোহাই দিয়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার কর, বল দেখি, তোমাদের পূজ্যতম সেই প্রকৃতি কিরূপ শক্তিশালিনী ? চিৎশক্তি ব্যতীত অন্ধ জড়শক্তি দ্বারা কি এমন চৈতন্তময় জগৎ স্বই বা চালিত হইতে পারে ? জ্যামিতির প্রতিজ্ঞাগুলি বানর কর্তৃক উদ্ভাবিত ও অঙ্কিত বলা যেরূপ মসঙ্গত, এমন সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর, অনন্ত-কৌশলবিশিষ্ট, অনন্তবৈচিত্ৰ্যবিশিষ্ট জগং জড়প্রকৃতির অন্ধশক্তি দ্বার স্বপ্ত ও চালিত বলাও সেইরূপ অসঙ্গত। আমরা জুগত্রে যে দিকে নয়ন নিক্ষেপ করি, সেই দিকেই ইহার अनख ८कोनण, अनड जीन, अनड नामश्नष्ट, अनख श्रृंवर्षण ८नधिग्रा श्रायव्र! অনুক্ষণ বিমুগ্ধ হই ; এ সকল কি একটা অন্ধ জড়শক্তির ক্রিয়া হইতে পারে ? যে চিৎশক্তির কণামাত্র পাইয়। আজ আমরা জগতের অধীশ্বর, সেই অনন্ত চিৎশক্তিই অনস্ত জগৎ ব্যাপ্ত । ময়া ততমিদং সৰ্ব্বং জগদব্যক্ত মূৰ্ত্তিন মৎস্থানি সৰ্ব্বভুতানি ন চাহং তেত্ববস্থিতঃ । ( গীত ) “আমিই অব্যক্ত মৰ্ত্তিতে সমস্ত জগত অভিব্যাপ্ত ; যাবতীয় পদার্থ ও জীব আমাতেই বর্তমান ; কিন্তু আমি সে সকলে অবস্থিত নহি ।” ঈশ্বর বা পরব্রন্ধের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করিবার জন্ত আমাদিগকে দূরদেশে বাইতে হয় মা। মানবমনের গভীরতম ? দেশ অনুসন্ধান করিলেই, আমরা তাছার অস্তিত্ব উপলব্ধি করি। যে জীবাত্মা দেহপিঞ্জরে নিবন্ধ থাকিয়া আম দিগকে অমিত্ৰ জ্ঞান প্রদান করে এবং দেহকে চৈতন্তময় করে, সেই জীবাত্মাই পরমাত্মার অংশ।