পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৭ ] একেশ্বরবাদ সম্বন্ধে বিজ্ঞান আরও নির্দেশ করে, মানবের ইহা স্বভাৰসিদ্ধ যে, জগতের কারণপরম্পরার অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলে, তিনি নিজ মনের আদশে সকল বিষয়ে একমাত্র আদি কারণে উপনীত হইতে চেষ্টা করেন। যেমন আমরা জীবনের যাবতীয় ঘটনাবলি বিবিধকারণসমুদ্ভূত হইলেও উহাদিগকে এক অদৃষ্ট হইতে উৎপন্ন জ্ঞান করি, সেইরূপ প্রাকৃতিক ঘটনাবলি বিবিধশক্তিসমুদ্ভূত হইলেও আমরা সমস্তই একেশ্বরে আরোপ করিয়া থাকি । দেখ, তোমার মন এক, এক আমিত্বজ্ঞানে পরিপূর্ণ। যখন তুমি সেই মন দ্বারা বিশ্বের আদিকারণ স্থির করিতে যাও, নিজ মনের অাদর্শে তুমি স্বতঃ ভাবিয়া থাক, এ জগতের একজন স্বষ্টিস্থিতিসংহার কর্তা বিদ্যমান । তোমার মনের প্রকৃতি ষেরূপ, তাহাতে ঐরূপ সিদ্ধান্ত করাই তোমার স্বভাবসিদ্ধ। ইহ। ব্যতীত তোমার গত্যন্তর নাই । এই প্রকার যুক্তি অবলম্বন করিয়া পূৰ্ব্বতন দার্শনিকগণ জগতে একেশ্বরবাদ প্রচার করেন। বিজ্ঞানের মতে এই প্রকারেই একেশ্বরবাদ জগতে সমুখিত"। এইরূপ নানা প্রকার নাস্তিকমত প্রচার করিয়া জড়বাদী জড়বিজ্ঞান ঈশ্বরের উপর জনসাধারণের বিশ্বাস মন্দ্রীভূত করিতে চেষ্টা পায়। রে জড়বিজ্ঞান ! তোমার এ कि আস্পদ্ধ, যে তুমি বিশ্বস্রষ্টা পরমেশ্বরকেও এক তুড়িতে উড়াইয়া দিতে চাহ ? যে করুণাময় পরমেশ্বরে বিশ্বাস করিয়া নিরুপায়, অসহায় মানব এই পাপতাপপূৰ্ণ সংসারে অশেষ শাস্তি ও সন্তোষের সহিত জীবন অতিবাহিত করেন, যে দয়াময় ঈশ্বর ব্যতীত তাহার গত্যন্তর নাই এবং যে দয়াময় ঈশ্বরকে তিনি জীবনের আদর্শ করিয়া ধৰ্ম্মপথে ও উন্নতির পথে অগ্রসর হন, সেই পরমেশ্বর হইতে তুমি তাহাকে বঞ্চিত করিতে চেষ্টা পাও ? হায়! তোমার কি হুবুদ্ধি । তুমি মূলে ভ্রাস্ত ; কেবলমাত্র জড়জগৎ অনুসন্ধান করিয়া তুমি যে সকল ঐকদেশিক সিদ্ধান্ত কর, তাহ দ্বার ঈশ্বরের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করা যায় না বলিয়া, তুমি ঈশ্বর মানিতে চাহ না। কিন্তু তুমি জগতের সর্বনাশ করিতে উদ্যত। তোমার নাস্তিকবাদ দ্বার সমাজের ষে কত অমঙ্গল ঘটিবে, তাহ বর্ণনাতীত। সত্য বটে, আধুনিক জড়বিজ্ঞান গগনভেদিরবে চীৎকার করে যে, ঈশ্বরজ্ঞান বা ব্ৰহ্মজ্ঞান আমাদের নৈসর্গিক জ্ঞান নছে ; কিন্তু অধ্যাত্ম - שכי