পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৩৮ ) বিজ্ঞান এ কথার তীব্র প্রতিবাদ করে। ইহার মতে এ মায়াজগতে অবিনশ্বর জীবাত্মা মানবমনের সহিত যেরূপ সম্বন্ধে সম্বদ্ধ, তাহাতে ইহার জ্ঞানশক্তির মূৰ্ত্তির সহিতই ইহা আজকাল ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করে। এজন্ত ব্ৰহ্ম জ্ঞান আমাদের নৈসর্গিক জ্ঞান বলিয়া প্রতীয়মান হয় না বটে ; কিন্তু ইহা মানবমনের পাপপুণ্য-জ্ঞানের ন্তায় একরূপ প্রকৃতিদত্ত বা নৈসর্গিক। অতএব বলা উচিত, ব্ৰহ্মজ্ঞান বা ঈশ্বরজ্ঞান আমাদের বাল্যকালাজ্জিত সংস্কার হউক, লোকপরম্পরায় চালিত হউক, ইহা আমাদের একপ্রকার নৈসর্গিক জ্ঞান। যখন ঈশ্বরে বা পরব্রহ্মে বিশ্বাস ব্যতীত এ সংসারে পতিত মানবের গত্যন্তর নাই, তখন এ বিশ্বাস আমাদের একরূপ প্রকৃতিসিদ্ধ বলা উচিত। চিরকালই মানবধৰ্ম্ম সকল দেশে আমাদিগকে ঐক্কপ শিক্ষা দেয় এবং ঈশ্বরের সুমধুর নাম লইয়া আমরা চিরদিনই এই ভবার্ণব মুখে পার হই। অতএব র্তাহাকে আল্লা, খোদা, গড, ঈশ্বর, হরি বা বুদ্ধ যে নামে ডাক না কেন, সকল নামে বিশ্বের সেই অজ্ঞেয় আদি কারণ বা পরব্রহ্মকেই ডাকা হয় এবং যথার্থ বলিতে কি, সকল ধৰ্ম্মই এক পথের পথিক । এখন পরব্রহ্ম বা ঈশ্বরের স্বরূপসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ উল্লেখ করা কর্তব্য। এ বিষয়টা মীমাংসা করা কাহারও সাধ্য নয়। র্তাহাকে সগুণ বা মিগুণ ভাবে ভাব, অথবা তাহাকে সাকার বা নিরাকার ভাবে ভাব, তাহার যথার্থ রূপ নির্ণয় করা মানবের সম্পূর্ণ অসাধ্য। তাহাকে বিরাটমুৰ্ত্তিতে ভাব বা মানবমূৰ্ত্তিতে ভাব, র্তাহার যথার্থ রূপ নির্ণয় করা একেবারে অসাধ্য। আগম, নিগম, পুরাণ, বাইবেল, কোরণ প্রভৃতি যাবতীয় ধৰ্ম্মপুস্তক র্তাহার আদ্যন্ত ও স্বরূপ পায় নাই। ঈষ, মুম্বা, মহম্মদ, বুদ্ধ, শ্ৰীকৃষ্ণ, শঙ্করাচার্ঘ্য প্রভৃতি কেহই তাহার যথার্থ স্বরূপ পান নাই ; সকলেই তাছাকে নিজ নিজ মনের প্রকৃত্যন্থস্বামী-স্তাবিল যান। বেদে তিনি সচ্চিদানন্দ বলিয়। কথিত হন। পরব্রহ্ম "াঞ্চল, চৈতন্তস্বরূপ ও আননস্বরূপ ; তিনি মায়াতীত ও গুণাতীত, অথচ তিনি সংসারে মারাষোগে স্বপ্রকাশ। s অদ্বৈতবাদী হিন্দুর নিকট পরব্রহ্ম নিগুৰ্ণ বা গুণাতীত ; কিন্তু আধুনিক भरकर्थप्रदाििरत्रब ८गौकिक वेत्रव्र ग७१ । डिमि वाग्रांमब्र भांनबमप्नब्र आनcर्न ব্যক্ত। মানবমন স্বল্প ও নিয়াকার হইলেও স্থলদেহে নিবন্ধ হওয়ায় দেহের ।