পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ oso ] বর্ণন করে, কিন্তু মানবমনের অদম্পূর্ণ গুণাগুণ তাঁহাতে আরোপ করিয়া তাহার কোনরূপ অবমাননা করে না। প্রকৃত হিন্দুর নিকট পরব্রহ্ম চিরদিন মায়াতীত ও গুণাতীত । যাহা হউক, বিজ্ঞান ঈশ্বর সঙ্গন্ধে যাহাই প্রচার করুক না কেন, এই পাপতাপপূৰ্ণ সংসারে ঈশ্বরে বিশ্বাস ব্যতীত দুৰ্ব্বল, অসহায় মানবের গত্যস্তর নাই । ভবপrরাবারে তাহার অন্ত কোন সহায় নাই, অন্য কোন বল নাই। ভগবানই ভবসমুদ্রে তাহার একমাত্ৰ কাণ্ডারী। জড়বিজ্ঞান জ্ঞান, শক্তির যতই কেন প্রশংসা ও ধৰ্ম্মের যতই কেন নিন্দাবাদ করুক না, কেবলমাত্র জ্ঞানযোগে ও বুদ্ধিযোগে আমরা ভৰসমূদ্র পার হইতে পারি না । ভবপারাবারে ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণ উক্তিতে বিশ্বাস করিলে আমরা মহংস্রমে পতিত হইব ; ইহাতে আমাদেব ইহলোক ও পরলোক উভয়ই নষ্ট হইবে এবং মানবজীবনের যথার্থ শ্রেয়োলাভে বঞ্চিত श्झेर । r দেখ, এ সংসারে র্যাহার ঈশ্বর মানেন না, তাহদের জীবন কত অকিঞ্চিংকর ও কত অপদার্থ ! তাহদের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান, নাই, তাহারা জীবনের যথার্থ হিতাহিত বুঝিতে অসমর্থ। তাহারা কেবল নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিয়া নিকৃষ্ট স্বথে নিকৃষ্ট জীবন অতিবাহিত করেন এবং আপনাদিগকে পশুতুল্য করিয়া ফেলেন। যে সকল দেবভাব বা স্বৰ্গীয়ভাব ধাৰ্ম্মিকদিগের মনকে দেবতুল্য বা ‘স্বর্গোপম করে, সে সকল উৎকৃষ্ট ভাবনিচয় তাহাদের মনে আদৌ স্থান পায় না ; তাহাদের মন ক্রমশঃ অধঃপতিত হয় এবং মৃত্যুর পরও তাঁহাদের জীবাত্মা অধোগতি প্রাপ্ত হয়। সত্য বটে, রাজদও ভয়ে বা লোকলজ্জা ভয়ে তাহার। দুষ্কৰ্ম্ম হইতে বিরত থাকেন ; কিন্তু কোনরূপ পুণ্যকৰ্ম্ম করিলে, জাস্থায় যে বিমল, বিশুদ্ধ আত্মপ্রসাদ লাভ হয়, তাহ ੋਂ হিট চিরদিন বঞ্চিত থাকেন। বস্তুতঃ তাহারা পরলোকে নিরয়গামী হউন বা না হউন, তাহীদের ইহজীবনই সৰ্ব্বপ্রকারে নরকতুল্য। সে ব্ৰহ্মানৱ নাই, সে আত্মপ্রসাদ নাই ; কিন্তু তৎপরিবর্তে সংসারের কতকগুলি জাল ও যন্ত্রণ, কৰ্ম্মভোগ, আর নৈরাপ্তসাগরে নিমজ্জন। বিজ্ঞানের যে কথায় আমাদের এতদূর অনিষ্টসাধন হয়, সে কথায় কর্ণপাত করা কি জাম