পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J צf Se উছাতে আত্মা নামে কোন বস্তু প্রবেশ করে না ; তবে ষে চতুর্থ মাসে মাতা ভ্রণের অঙ্গসঞ্চালন অনুভব করেন, তাহা কেবল জরায়ু বৰ্দ্ধিত হওয়ায় ক্রণের অঙ্গস্পন্সন উদরের মাংসপেশী দ্বারা অনুভূত হয় । মানবশরীরের অনেক স্থলে এমন বিবিধ ক্রিয়। অনুক্ষণ সম্পাদিত হয়, যাহা আদেী অনুভব করা যায় না। সে জন্য প্রথম তিন মাস ক্রণের গর্ভাভ্যন্তরে অবস্থিতি অনুভব করা যায় না। সেইরূপ জীবননাশে প্রাণ বা আত্মা নামে কোন বস্তু দেহ হইতে বহির্গত হয় না । নিশ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হইলে, মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং কখনও কখনও শেষবায়ু মুখ-বিবর হইতে নিঃস্থত হওয়ায় উহা ব্যাদিত থাকে । তাহ দেখিয়া অনেকে অনুমান করেন, আত্মা মুখ-বিবর দিয়া বা অন্ত কোন দ্বার দিয়া বহির্গত इट्रेञ्चां यग्नि । اقے বিজ্ঞানের মতে, যেমন অন্তান্ত জীবজন্তু পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এবং কিছুদিন থাকিয়া কালগ্রাসে পতিত হয়, উহাদের প্রধান কৰ্ম্ম উদরপূরণ ও বংশবৃদ্ধি ; সেইরূপ মানবও এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং কিছুদিন এখানে সুখদুঃখ ভোগ করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন এবং চিরদিনের জন্ত অস্তহৃত হন ; উদরপূরণ ও বংশবৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে সমাজধৰ্ম্মপালন তাহার জীবনের প্রধান উদ্দেশু । ইহার মতে আত্মার অস্তিত্ব আদেী নাই, পরলোকের অস্তিত্ব নাই, আমরা কেবল ছাগছাগীর দ্যায় উপজাত ; ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম আমাদের সকলই মিথ্যা ; আছে কেবল আমাদের জ্ঞানশক্তি এবং এই জ্ঞানশক্তিবলে আমরা জগতে সভ্যতার উন্নতিসাধন করিয়া থাকি । ইহার মতে এই নশ্বর দেহনাশের পর আমরা পুনরায় জন্মপরুিগ্রহ করি না ; যে সকল পরমাণুপুঞ্জ একত্রিত হইয়া আমাদের দেহ নিৰ্ম্মাণ করে, হয়ত মৃত্যুর পর উহাদের পুনরায় একাধারে ঐরূপ সমাবেশ কস্মিনকালে ঘটে না এৰং যদি কখন উহাদের ঐক্কপ সমাৰেশ ঘটে, তবে আমরা পুনরায় জগতে আসিতে পারি। এই সকল নাস্তিক মৃতামত ৰিজ্ঞান আজকাল গগনভেরিবে প্রচার করে এবং যাহারা উহার কুহুকে মুগ্ধ, তাহারা উকার উপদেশে বিশ্বাস করিয়া ধৰ্ম্মের কাহিনী অবিশ্বাস করেন। কিন্তু মুখের বিষয় এই যে, বিজ্ঞানের মতামত অজ্ঞ জনসাধারণের ভিতর এখনও ভালরূপ প্রচারিত হয় নাই। উহার এখনও ঈশ্বর ও পরলোক মানির চলে। রে জড়ৰা জড়বিজ্ঞান ! তোমার এ কি