পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ : te ] “ইহা কদাচ জন্মগ্রহণ করে না বা মৃত্যুপ্রাপ্ত হয় না ; ইহা হইয়া কদাচ হয় নাই বা হইবে না, অর্থাৎ ইহার কোনরূপ পরিবর্তন নাই । ইহা অজ, নিত্য, শাশ্বত ও পুরাণ, শরীর হত্যা করিলে, ইহার হত্যা হয় না ।” আত্মা পরমাত্মার ন্যায় মায়াতীত ও গুণাতীত । আত্মা ও জীবাত্মীয় অনেক প্রভেদ। যখন আত্মা দ্বিতীয় তত্ব বুদ্ধির যোগে সগুণ ও সোপাধিক হয়, তখন ইহাকে পুরুষ, ক্ষেত্ৰজ্ঞ বা জীবাত্মা বলা যায়। আত্মা সৰ্ব্বদা বুদ্ধির সহিত সংযুক্ত থাকে, কেবল নিৰ্ব্বাণকালে ইহা পরমাত্মায় মিলিত হয় ; তভিন্ন সকল অবস্থায় ইহা সোপাধিক । জীবাত্মা ইহার কৰ্ম্মফলবশতঃ ভিন্ন ভিন্ন লোকে জন্মগ্রহণ করিতে বাধ্য। সে জন্য এক অবস্থা হইতে অবস্থাস্তর প্রাপ্তিতে জন্মমৃত্যুরূপ যে দুইটী ঘটনা অপরিহার্য্য, তাহা আত্মা সহ করে না, ইহাব জীবোপাধিই তাহ সহ করে । বাসাংসি জীর্ণামি যথা বিহায় নবানি গৃহাতি নরোহপরাণি । তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্তান্তানি সংযাতি নবানি দেহী ৷ ( গীত ) “যেমন জীর্ণবস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া লোকে অন্ত নুতন বস্ত্র পরিধান করে, সেইরূপ জীবাত্মাও জীর্ণ পুরাতন শরীর ত্যাগ করতঃ নুতন দেহ ধারণ করে ।” দ্বিতীয় তত্বের নাম বুদ্ধি। জনসাধারণ যে বুদ্ধিকে জ্ঞানশক্তি বলে, ইহা সে বুদ্ধি নয় ; ইহা মহত্তত্ত্বের অংশ। আত্মা মায়াতীত, কিন্তু বুদ্ধিরূপ ইহার অংশটুকু মায়াময় ; ইহারা অনুক্ষণ একত্র থাকে বলিয়া জীবাত্মাও মায়াময়। বেদান্তে বুদ্ধি আনন্দময় কোষ বলিয়া উক্ত হয় ; কারণ জীবাত্মা স্থলদেহ হইতে মুক্ত হইলে বদ্ধিযোগে দেবলোকে বিমল ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করে। ইহজন্মে পুণ্যকৰ্ম্ম করিয়া যে আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়, তাহাও বুদ্ধি হইতে উপজাত। যোগশাস্ত্রে বুদ্ধি কারণোপাধি বলিয়া উক্ত হয় ; কারণ ইহাই জীবের অবিনশ্বর বা কারণ দেহ ; তদ্ভিন্ন অন্তান্ত অংশগুলি জীবের জন্ত বা নশ্বর দেহ । জীবাত্মাই অবিনাশী ও অমর ; তদ্ভিন্ন ইহার অন্যান্ত অংশ ক্ষণবিধ্বংসী । জীবের কৰ্ম্মফল জীবাত্মায় সংলগ্ন হয় এবং ইহা অনন্তকালের জন্ত উহার সাথের সার্থী। সাধারণতঃ পাপপুণ্য হইতে যে আত্মপ্লানি ও আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়, তাছাই