পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবtয়ার কৰ্ম্মফল। কৰ্ম্মফল বশতঃ জীবাত্মা ভিন্ন ভিন্ন লোকে জন্মগ্রহণ করিতে বাধ্য। পুরুষ বা জীবাত্মাই একমাত্র মুখদুঃখের ভাগী । ● পুরুষঃ প্রকৃতিস্থোইপি ভুঙক্তে প্রকৃতিজাম গুণান । কারণং গুণসঙ্গোহস্ত সদসদযোনি জন্মস্থ । (গীঙা ) “এই দেহরূপ'অঃপুরে যিনি বাস করেন, তিনি জীবাত্মা বা পুরুষ। ইনি দেহনিবদ্ধ হইয়। প্রকৃতিসমুংপন্ন গুণ গুলি ভোগ কবেন, অর্থাৎ মায়াজমিত সত্তরঞ্জস্তম ভোগ করতঃ মুখদুঃখের ভাগী হন । ত্রিগুণের আসক্তিবশতঃ ইনি উৎকৃষ্ট ও অপকৃষ্ট যোনিতে জন্মগ্রহণ করেন।” জীবাত্মা আবার কি প্রকার ? ইনি উপদ্রষ্টীমুমস্ত চ ভৰ্ত্ত। ভোক্তা মহেশ্বরঃ পরমাত্মেতি চাপুত্ত্বে দেহেইম্বিন পুরুষঃ পরঃ। ( গীত ) “ইনি উপদ্রষ্টা, অমুমন্তা, ভর্তা ও ভোক্ত ; ইনি মহেশ্বর ; ইনি এই দেহে পরমাত্মাশ্বরূপ। জীবাত্মা প্রকৃতি বা শরীরের ক্রিয়াগুলি উদাসীন ভাবে দেখেন , কিন্তু প্রকৃতির ক্রিয়াগুলি স্বপ্রকাশস্বরূপ আত্মাতেই প্রকাশিত, অতএব জীবাত্মা উহাদের উপদ্রষ্ট। ইনি আবার উহাদের অনুমন্ত বা অনুভবকারী ; প্রকৃতির ক্রিয়াগুলিতে ইনি স্বয়ং অপ্রবৃত্ত হইলেও উহারা তাছাতেই সুপ্রকাশিত; সেজন্ত জীবাত্মা উহাদের অমুমন্ত । ইনি সকলের ভৰ্ত্ত ও ভোক্ত ; ইনি সকলকে ধারণ করেন ও সকল ভোগ করেন। জীবাত্মা না থাকিলে কেহই প্রকাশ পায় মা' এবং কেহই ভোগ করে না। ইনিই শরীরের রাজা এবং ইনিই এই শরীরের পরমাত্মাস্বৰূপ পরম পুরুষ।” অদ্বৈতবাদিদিগের মতে জীবাত্মা ও পরমাত্মায় কোন প্রভেদ নাই ; উৎার এক। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদিদিগের মতে জীবাত্মা ও পরমাস্ত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন । তাহারী বলেন, যে জীবনবৃকের মূলদেশ উৰ্দ্ধে স্থাপিত এবং যাহার শাখা ও প্রশাখা অধোদেশ ব্যাপ্ত, সেই বৃক্ষে দুইটা পক্ষী বিদ্যমান, জীবাত্মা ও পরমাত্মা। প্রথমটা ভোক্ত এবং দ্বিতীয়টা কেবল সাক্ষীশ্বরূপ। জীবাত্মা সৰ্ব্বঞ্জ ইলেণ্ড যতদিন সংসারে স্থলদেইনিবদ্ধ থাকেন, ততদিন ইমি মর্ম ও ইঞ্জিঙ্কিপ দ্বার