পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ראכ } স্বারাই বাস্থ্যজগতের জ্ঞানলাভ করেন এবং দ্বন্দ্বজ মুখদুঃখের ভাগী হন। ৰোগিদের অষ্টসিদ্ধি জীবাত্মায় ফুরিত হয়। সমাধির অবস্থায় জীবাত্মার আত্মা ও বুদ্ধি এই দুই অংশ কদাচ পৃথক হয় না। মনস্তৰটা দুই ভাগে বিভক্ত, বিজ্ঞান ও ইচ্ছা, ভাব প্রভৃতি। পরমার্থ প্তান ও পাপপুণ্য জ্ঞান লইয়াই মনের বিজ্ঞানতত্ত্ব গঠত হয় ; তদ্ভিন্ন যে পার্থিব জ্ঞান আমরা বুদ্ধিযোগে উপার্জন করি, তাহা ক্ষণস্থায়ী। ইহা বিজ্ঞানের অংশীভূত হয় না। বেদান্তে বিজ্ঞান বিজ্ঞানময় কোষ বলিয়া উক্ত হয় । দেহনাশে ইহা আত্মা ও বুদ্ধির সহিত বা জীবাত্মার সহিত মিলিত হয়। জীবের ধৰ্ম্মধৰ্ম্ম, পাপপুণ্য বা কৰ্ম্মফল সংসারে আত্মপ্রসাদ ও আত্মগ্লানি ভোগ দ্বারা জীবাত্মার গভীরতমদেশে চিরাঙ্কিত হয় ; অতএব ইহু! মৃত্যুর পর জীবাত্মাব সঙ্গে সঙ্গে যায়। কখন কখন যোগেশ্বরদিগের আধ্যাত্মিকতা অধিক ফুরিত হওয়ায় প্রাক্তনবিজ্ঞান সহজাত হয় ; তাহাতে র্তাহারা জাতিস্মর হন । কিন্তু সাধারণতঃ জীবাত্মার জড়ত্ববশতঃ বিজ্ঞান ফুৰ্ত্তি পায় না। সে জন্য তুমি ও আমি পূৰ্ব্বজশ্বের কথা কিছুই অবগত নহি । গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ বলেন :– বহুমি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চাৰ্জুন তান্তহং বেদ সৰ্ব্বানি নত্বং বেথ পরস্তুপ। “হে অৰ্জুন ! তোমার ও আমার অনেক জন্ম অতীত হইয়াছে। আমি আমার সকল জন্ম জানি ; কিন্তু তুমি তোমার সে সকল জন্ম জান না ।” ইচ্ছা ও ভাব প্রভৃতি লইয়া মনের দ্বিতীয় অংশটা গঠিত। ইহা ক্ষণভঙ্গুর এবং দেহমাশে ইহা কামরূপের সহিত মিলিত হয়। এজন্য বেদান্তে কামরূপ ও মনের দ্বিতীয় অংশ মনোময়-কোষ বলিয়া উক্ত হয় । এই দুই অংশ দেহনাশে কামলোকে মিলিত হয়। ইহাতে বোধ হয়, মানবমনের নিকৃষ্ট প্রবৃত্তিগুলি, ইচ্ছা ও ঐহিক ভাবগুলি দেহনাশে লয় প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু উহাদের সারাংশটুকু বিজ্ঞানময় কোধের সহিত মিলিত হইয়া জীবাত্মায় সংলগ্ন হয়। মনোময়কোষ ও বিজ্ঞানমন্ত্রণকোষ জীবাত্মার সূক্ষ্ম উপাধি এবং উহার। সুক্ষজগতের উপাদামে নিৰ্ম্মিত হয়। জীবের মনোময়-কোষটা জন্মানুসারে বা অবস্থাভেদে পরিবর্তিত হয়। যে কৰ্ম্মফল ভোগ করিবার জন্ত শ্ৰীৰ ইহজগতে অবতীর্ণ চয়, সেই ধৰ্ম্মফণাঙ্গুসারে ইহায় মঙ্গোমা-কোষট স্বল্পজগতস্থ দেবগণ কর্তৃক সংযো