পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 2αν Ι t; জিত হয়। ইতিপূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে, সনকাদি দেবগণ ও নারদাদি দেবর্ষিগণ মানবমন স্বষ্টি করেন। এ সকল কথার এক শাস্ত্র ব্যতীত অন্ত কোন প্রমাণ নাই।' লিঙ্গ-শরীর স্থূলদেহের ছায়াস্বরূপ ; ইহারই আদর্শে স্থলদেহ পার্থিব স্থল উপাদানে গঠিত হয়। জীবদ্দশায় লিঙ্গ-শরীর, প্রাণ ও স্থলদেহ এই তিনের অবিচ্ছিন্ন সংযোগ বৰ্ত্তমান থাকে; দেহ জীবিত থাকিতে উহাদের সংযোগ কদাচিৎ ছিন্ন হইতে পারে না। বেদান্তে প্রাণ ও লিঙ্গ-শরীর প্রাণময়-কোষ এবং স্থূলদেহ অন্নময়-কোষ বলিয়। উক্ত হয়। প্রাণময়-কোষই জীবের জীবনীশক্তির আধার এবং উহ। দ্বারাই সমস্ত স্থলদেঙ্গ জীবিত থাকে। স্থলদেহ অন্ন দ্বারা পালিত হয় বলিয়৷ ইহা জীবের অন্নময়-কোষ ; যোগশাস্ত্রে লিঙ্গ-শরীর, প্রাণ ও স্থলদেহ এই তিনটা জীবের স্থলোপাধি ; ইহার অল্পাধিক স্থলোপাদানে গঠিত হয়। যখন প্রাণতত্ত্ব দেহ হইতে বহির্গত হয়, তখন অন্তান্ত তত্ত্বগুলি দেহ হইতে পৃথক হওয়ায়, স্থলদেহ বিনাশ প্রাপ্ত হয় ; ইহার পঞ্চতত্ত্ব বহিজগতের পঞ্চতত্ত্বের সহিত মিলিত হয়। তৎকালে লিঙ্গ-শরীরও ক্রমশঃ স্থলদেহ হইতে বিচ্ছিন্ন হুইয়া আকাশে বিলীন হয়। স্থলবিশেষে ও অবস্থাভেদে এই লিঙ্গ-শরীর প্রাণ, কামরূপ ও মন দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়া আকাশে স্বশ্নরূপে বিচরণ করে এবং প্ৰেতাদিরূপে মানবের দৃষ্টিপথে পতিত হয়। t উপরোক্ত সপ্তবিধ তত্ত্ব একাধারে ক্রমান্বয়ে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া আমিত্বজ্ঞানপিশিষ্ট জীব সংসারে উৎপন্ন। ইহার আমিত্বজ্ঞান মায়াসভূত। জন্মে জন্মে জীব বিভিন্নাবস্থাপন্ন শরীরে নিবদ্ধ হইয়া নুতন নুতন আমিত্বজ্ঞান লাভ করে। এক দেহ হইতে দেহান্তরে জন্ম লইবার পূৰ্ব্বে সূক্ষ্ম জীব ক্রমশঃ নিম্নলিখিত স্থান অধিকার করে, যথা— ১ ) ‘স্বৰ্য্যমণ্ডল ( ২ ) পঞ্চ মহাভূত (৩) অন্ন ( s ) 'রক্ত (৫) রেত ( ৬ ) মাতৃগর্ভ। শেষোক্ত স্থানে ইহা ব্যক্তরূপ ধারণ করে ; তদ্ভিন্ন সকল স্থানে ইহা অব্যক্তরূপেই বর্তমান থাকে। যেমন বসন্তাদি ঋতু নিজ নিজ সময়ে আবিভূত হয়, সেইরূপ জীবের কাল পূর্ণ হইলে এবং প্রাক্তলকৰ্ম্ম ফলোমুখ হইলে, ইহা ইহসংসারে বা অন্তান্ত লোকে জন্মগ্রহণ করে । কৰ্ম্মফলামুসারে ইহা উপযুক্ত মাতৃগর্ভ লাভ করতঃ রাশিচক্রের গ্ৰহনক্ষত্রাদির উপযুক্ত সন্মিলন প্রাপ্ত হইয়৷ জন্মগ্রহণ করে । কেহ যেন এমন ভাবেন না, ষে অন্ধদৈব ইহাকে এ জগতে আনয়ন করে এবং অন্ধদৈবই