পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ مهمة د ] তাড়নার যতই গ্রপীড়িত হও না কেন, ইহার বিবিধ জাল যন্ত্রণায় যতই অস্থির হও না কেন, ধৰ্ম্মামৃতপানে ও হরিনামের মাহাষ্ম্যে তুমি ততই ধৰ্ম্মপথে অগ্রসর হইবে এবং তোমার জীবাত্মা ও অনন্ত উন্নতির পথে ততই অগ্রসর হইবে। আধ্যাত্মিক স্ফৰ্ত্তি করাই মানবজীবনের সর্বপ্রধান উদেখ এবং যে আধিভৌতিক উন্নতিসাধনে আমরা প্রকৃতিকর্তৃক প্রণোদিত হই, তাহা ইহার গৌণ উদ্দেশু মাত্র। এখন এই উদ্দেশু লইয়া বিচার করিলে সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া মানা উচিত। বল দেখি, এ ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তিমার্গে শয়নে, স্বপনে ও জাগরণে তোমার সকল কৰ্ম্মে নিজ অনুশাসন চালাইয় এবং নিবৃত্তিমার্গে নানাবিধ ক্রিয়াযোগ উপদেশ দিয়া তোমার আধ্যাত্মিকতার যেরূপ শক্তি করিতে চেষ্টা পায়, এমন কোন ধৰ্ম্ম এ জগতে শিখায় ? আধিভৌতিক উন্নতি সাধনের জন্য শাস্ত্র ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষ এই চতুবৰ্গফলের মধ্যে কেবল অর্থ ও কাম এবং চতুরাশ্রমের মধ্যে একমাত্র গৃহস্থাশ্রম উপদেশ দেয় ; আর আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্ত ইহা চতুবৰ্গ ফলের মধ্যে ধৰ্ম্ম ও মোক্ষ এবং চতুরাশ্রমের মধ্যে প্রথমাশ্রম ও শেষোক্ত দুইটী আশ্রম উপদেশ দেয়। ইহারই গুণে হিন্দুজাতির আধ্যাত্মিকতা এ কলিকালেও এত অধিক ফুরিত হইয়াছে। ইহারই জন্য যুগধৰ্ম্মানুসারে যে আধিভৌতিকত্ব অধিক বদ্ধিষ্ণু, ইহাকে সঙ্কুচিত করিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম তৎপরিবর্তে জীবাত্মার প্রকৃত আধ্যাত্মিকতা স্ফৰ্ত্তি করিতে এত চেষ্টা পায়। কিন্তু আধুনিক পাশ্চাত্যবিদ্যা মানবের আধ্যাত্মিকতা সঙ্কুচিত করিয়া তাহার আধিভৌতিক উন্নতিসাধনের জন্য একান্ত তৎপর। ইহারই গুণে সভ্যজাতিমাত্রেই আজকাল অপর জাতির বক্ষঃস্থলে উপবেশনপূর্বক উহার শ্মশ্রদেশ উৎপাটনে এত ব্যগ্র । আজকাল এদেশের অধিকাংশ লোক পাশ্চাত্যশিক্ষায় স্বশিক্ষিত ; সুতরাং তাহারা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে একমাত্র আধিভৌতিক উন্নতির প্রার্থী এবং শাস্ত্রোক্ত আধ্যাত্মিকতা উড়াইয় দেন। কিন্তু আধিভৌতিক উন্নতির মধ্যে প্রকৃত আধ্যাত্মিক দুৰ্ত্তি করাই মানবজীৰনের সর্বপ্রধান উদ্দেশু।