পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لیلا ] পরলোক । যে মানবের জীবন জলবুদ্ধদের ন্তায় ক্ষণস্থায়ী, এই আছে ত এই নাই, সে মানব মৃত্যুর পর কোথায় যান, শরীরনাশের সহিত তাহার অস্তিত্ব কি একেবারে নাশপ্রাপ্ত হয়, না তিনি কি কোন অদৃগুলোকে বর্তমান থাকেন, এই রহস্তটা জানিবার জন্ত তিনি চিরদিনই একান্ত ব্যগ্র । কিন্তু এখন তিনি যে অবস্থায় অবস্থিত, তাহার আধ্যাত্মিকতা যে পরিমাণে অপগত, তাহাতে তিনি উপরোক্ত রহস্য মীমাংসা করিতে আদৌ সমৰ্থ নন। এখন তিনি এই পর্য্যস্ত জানেন— “That undiscovered land from whose bourne no traveller ever returns.” “সেই অনাবিষ্কৃত দেশ যাহার প্রান্তসীমা হইতে কোন পথিক কখন প্রত্যাগমন করে না ।” এখন মানবধৰ্ম্ম সকল দেশে পরলোকে বিশ্বাস করাইয় তাহার এই চিররহস্তটা মীমাংসা করিয়া দেয়। এ জন্ত পরলোকে বিশ্বাস আজকাল প্রায় সৰ্ব্ববাদিসন্মত। ঈশ্বরে বিশ্বাসের দ্যায়, ইহা এখন সকল ধৰ্ম্মের অঙ্গীভূত। কেবল প্রত্যক্ষবাদী ও জড়বাদী নাস্তিকগণ পরলোকে বিশ্বাস করেন না। তাহারা বলেন, যে সুখভোগ করিবার জন্ত মানব সদা লালায়িত এবং যাহ। তিনি ইহজীবনে তৃপ্তিপুৰ্ব্বক ভোগ করিতে পান না, সেই নিৰ্ম্মল পবিত্র মুখ নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোগ করিবার জন্য তিনি আশার স্তেীকবাক্যে বিশ্বাস করিয়া সকল দেশে ও সকল সময়ে পরলোকের অস্তিত্ব স্বীকার করেন। বস্তুতঃ পরলোক যে কোথায়, তাহ কেহ দেখে নাই ৰা দেখিবে না। তবে কেন আমরা পরলোক স্বীকার করি ? এই প্রকারে জড়বাদী বিজ্ঞান পরলোক উড়াইয়া দেয় । যে বিজ্ঞান আত্মা, ঈশ্বর কিছুই মানে না, সে বিজ্ঞান কি প্রকারে পরলোক মানিতে পারে । প্রেততত্ত্ব (Spiritualism ) পরলোকসম্বন্ধে যে সকল প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়, তাহাও বিজ্ঞান উড়াইয়া দেয়। বিজ্ঞান এই পৰ্য্যন্ত জানে— Imperious Caesar, dead and turned to clay, Shall patch a wall to keep the winter away. Shakespeare.